এটা কোনো ইউরোপের দৃশ্য না । মরক্কোর দৃশ্য। মরক্কোর এই সুইমিং পুলে বুরকিনি, পুরো ড্রেস পড়া নিষিদ্ধ । বিকিনি পড়া বাধ্যতামূলক । ৯৯% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে। এমনকি তিউনিসিয়া, লেবানন, তুরস্কের এধরনের অনেক পুল আছে সেখানেও বিকিনি ছাড়া অন্যকিছু পড়া নিষিদ্ধ।
মরক্কো শুধুমাত্র ফ্রান্সের একটা অঙ্গরাজ্য।যেমন আমরা আগে ছিলাম ,তবে অন্তত ভারতের পাশাপাশি দেশ হওয়ায় দেশে এত পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব পড়েনি। তবে ফ্রান্স তার নগ্ন সংস্কৃতি ঠিকই তিউনিসিয়া, মরক্কো, মিশর, লেবাননে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফিল্ম মুভির ক্ষেত্রেও মিশর, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিসিয়ায় তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে, ১৯৪০-৮০ এর দশকে মিশর, সিরিয়া, লেবাননে তো ফ্রেঞ্চ কিসিং একেবারে কমন ছিল , এখনো ফ্রেঞ্চ স্টাইলে মুভি বানায় তিউনিসিয়া, মরক্কো, লেবানন সহ আরো আরব দেশগুলো। এমনকি নারীর ড্রেস এর দিক দিয়েও তাদের প্রভাব স্পষ্ট। অধিকাংশ আরব দেশে স্কার্ট, মিনি স্কার্ট নরমাল।
১৯৫০,৬০,৭০ দশকে তো ফ্রান্সে পোশাক আসার পরের দিনই তা মিশর, তুরস্ক, লেবাননের নারীকে পড়তে দেখা যেতো । যখন যখন ফ্রান্সে মিনি স্কার্ট আবিষ্কৃত হয় তার ১ সপ্তাহ পরেই তা তুরস্ক,মিশর,ইরান,ইরাক, লেবানন, তিউনিসিয়া, মরক্কোর মেয়েদের বিপুলসংখ্যক পড়তে দেখা যেতো । সবচেয়ে বেশি প্রভাব ছিল মিশর, তুরস্ক, লেবানন, ইরানে। মিডিয়া তেও এর প্রভাব ব্যাপক ছিল ব্যাপক। ফ্রান্স দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে মিশর ১৯৪০ দশক থেকেই লিপ কিস নরমালি দেখা দেখানো হয় ও অধিকাংশই ফ্রেঞ্চ , ফ্রান্সে যখন বিকিনি দেখানো হয় চির কয়েক মাস পর মিশরের মুভিতে ও বিকিনি দেখানো শুরু হয় ।
বাংলাদেশে যেমন ভারতের জন্য বিফ নিষিদ্ধ ছিল, তেমনি মরক্কো, তিউনিসিয়া এমনকি লেবাননেও বহুসংখ্যক বীচে বিকিনি ছাড়া লম্বা ড্রেস পড়ে পুলে যাওয়া নিষেধ। এ নিয়ে আপনার মতামত কি?
এরকম আমাদের দেশে হলে কি হতো বলে ধারণা আপনার?

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



