স্বাধীনতার প্রায় ৪২ বছর পর আজ আমার বলতে ইচ্ছা করছে এবং আমি বলতে চাইও যে আমি একজন লজ্জিত বাঙ্গালী।স্বাধীনতার অনেক পরে আমার জন্ম।স্বাধীন দেশের নাগরিক আমি।আমার হওয়া উচিৎ একজন গর্বিত বাঙ্গালী নারী।কিন্তু আমি লজ্জিত,সত্যি লজ্জিত।
ঘটনা গুলো আমরা সবাই জানি।কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করি না।সাগর-রুনি হত্যাকান্ড,ইলিয়াস আলী গুম,বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড,টাঙ্গাইলের ছাত্রী ধর্ষণ এর মত এত বহুল আলোচিত এবং নিন্দিত ঘটনার এখনো কোনো বিচার হয়নি।মনে হয় হবে ও না।হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখি না।
লজ্জার এখানেও শেষ না।ভারতের আলোচিত ধর্ষণ ঘটনায় ভারতবাসীর তীব্র প্রতিবাদ দেখে যখন কিছু বাঙ্গালী টাঙ্গাইলের ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় মানব বন্ধনে stop rape লেখা কাগজ হতে দাঁড়িয়ে ছিল তার একদিন পরই মিরপুরে ১০ বছরের বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিত হল।পরের দিন আবার ৭ বছরের বাচ্চার ধর্ষণের খবর কাগজে আসল।তারপরের দিন ৪ বছরের শিশু ধর্ষনের খবর আসল কাগজে।
আমরা নিরব বাঙ্গালী।আমরা বোবা থাকতে ভালবাসি।কারন বোবার কোনো শত্রু নাই।এই জন্যই আজ আমাদের এই অবস্থা।আরে ওই ৪ বছরের শিশুর কি দোষ ছিল???সে ও তো বোবাই ছিল।
ইভটিজিং,ধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে কিছু পুরুষ মুখ বাঁকা করে বলে নারীরা নিজেরাই এর জন্য দায়ী।তারা পুরুষদের প্রলোভন দেখায়।কিন্তু নিজেদের নজর খারাপ,মতলব খারাপ এটা তারা স্বীকার করবে না।একটা ৪ বছরের শিশু কিভাবে যৌন প্রলভন দেখায় যার কারনে সে ধর্ষিত হল????
আমরা প্রতিবাদ করি না।প্রতিবাদ করতে শিখিও নি।একজন অথবা দুইজন করতে গেলে তাদের সাগর-রুনির মত মরতে হবে।
আমরা একটা স্বাধীনদেশে স্বাধীনতার পরের কোনো হত্যা,ধর্ষণ,গুমের ঘটনার কোনো বিচার পাই না।কিন্তু পরাধীন বাংলার কিছু অপরাধীর বিচার নিয়ে আজও আমরা হইচই করি।সকল অপরাধীর বিচার আমিও চাই।কিন্তু আমার মতে কোন বিচার আগে হওয়া উচিৎ এটা সচেতন বাঙ্গালী সমাজের বোঝা উচিৎ।যদি এভাবেই অপরাধীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়ায় তাহলে অন্যরা তো অপরাধ করতে প্ররোচিত হবেই।আমার মতে আমাদের বিচার ব্যবস্থা অপরাধীদের অপরাধ করতে উষ্কানি দেয়।কারন তারা প্রমান করেছে বাংলাদেশে অপরাধ করা সহজ কিন্তু অপরাধ করে শাস্তি পাওয়া কঠিন।