somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেহেশ্তিগণ কেমন হবেন - আব্দুল্লাহ আল বাকী

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাশরের ময়দানে আল্লাহর আদালতে ডান পাশের দল সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন, “এরা লাভ করবে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ছায়াযুক্ত কণ্ঠহীন কুল ও ফলবাগান আর সর্বদা প্রবাহিত পানির ঝর্ণাধারা ও অফুরন্ত ফলমূল। এ সকল ফলমূল সকল মৌসুমেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে এবং তা লাভ করবেও তার স্বাদ লাভ করতে কোন বাধা বিপত্তি থাকবে না। তারা উচ্চ আসনে সমাসীন থাকবে। তাদের স্ত্রীদেরকে নতুন করে গঠন করা হবে। তাদেরকে কুমারী বানিয়ে দেয়া হবে। তারা হবে প্রেমদায়িনী। তাদের বয়স হবে সৌন্দর্য পরিস্ফুটিত হবার বয়স। এ সবকিছু ডান পাশের মানুষের জন্যে।” (সূরা তুর)

সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা জান্নাতি হবেন তারাই ডান পাশের দলে অবস্থান করবে। বেহেশতে কুমারিগণ ওই সমস্ত নারীই হবেন পৃথিবীতে যারা ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন-যাপন করেছেন। পৃথিবীতে তারা বৃদ্ধা অবস্থায় ইন্তেকাল করলেও বেহেশতে তারা হবে নব যৌবনা। দুনিয়ায় তারা সুন্দরী অথবা কুৎসিত থাকুন না কেন, বেহেশতে তারা হবেন অকল্পনীয় সুন্দরী। তারা একাধিক সন্তানের মা হয়ে ইন্তেকাল করলেও বেহেশতে হবে চির কুমারী। স্বামীর সাথে অসংখ্যবার মিলিত হলেও তাদের কুমারীত্ব মুছে যাবে না। এসব সৌভাগ্যবতী নারীগণের স্বামীগণও যদি বেহেশতবাসী হন, তাহলে সেখানে তারা একে অপরকে লাভ করবে। অন্যথায় তাদের নতুন করে বিয়ে হবে। তিরমিজি শরীফে একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, একদিন এক বৃদ্ধা নারী নবী (সা: ) এর কাছে এসে বললো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা: ) আমার জন্যে আপনি দোয়া করুন। আমি যেন আল্লাহর বেহেশত লাভ করতে পারি।

মহানবী (সা: ) সাধারণ হাল্কা রসিকতা করে মানুষকে অনেক সময় আনন্দ দান করতেন। ওই বৃদ্ধার সাথে রসিকতা করে তিনি বললেন, কোন বৃদ্ধা তো বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না! (একটা কথা মনে রাখতে হবে, নবী (স: ) রসিকতা করতেন বটে, কিন্তু সে রসিকতা হতো সত্য ও ন্যায়ভিত্তিক। কাল্পনিক কোন কথা বা মিথ্যে কথা দ্বারা তিনি রসিকতা করতেন না) নবী (সা: )-এর কথা শুনে বৃদ্ধা হতাশ হয়ে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে চলে যেতে লাগলেন। তিনি (সা: ) অন্য সাহাবাদের বললেন, তোমরা ওই নারীকে ডেকে বলে দাও, কোন বৃদ্ধা বেহেশতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ যে নারীদেরকে বেহেশত দান করবেন তাদেরকে তিনি কুমারী করে পাঠাবেন।

অর্থাৎ কোন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বেহেশতে থাকবে না। পৃথিবীতে মানুষ যত বৃদ্ধ অবস্থায় উপনীত হয়েই মৃত্যুবরণ করুক না কেন, তারা যদি বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি পায়’ তাহলে তারা নতুন যৌবন লাভ করবে। তাবারানীতে হযরত উম্মে সালমা (রা: )-এর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, তিনি নবী (সা: )-এর কাছে কুরআনে বর্ণিত বেহেশতের কুমারীগণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন।

মহানবী (সা: ) বলেছিলেন, এরা হলেন সেই সব নারী যারা পৃথিবীতে মৃত্যুবরণ করেছিল। আর তারা ছিল বৃদ্ধা। তাদের চোখ ছিল কোঠরাগত। মাথার চুল ছিল পাকা এবং সাদা। তারা এরূপ বৃদ্ধা হবার পরেও আল্লাহ তাদেরকে কুমারী করে পয়দা করবেন। হযরত উম্মে সালমা (রা: ) জানতে চাইলেন, পৃথিবীতে যদি কোন নারীর একাধিক স্বামী থাকে, তাহলে বেহেশতে সে কোন স্বামীর সংগ লাভ করবে? নবী (সা: ) বললেন, তাকে পূর্ব স্বামীদের মধ্যে একজনকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেয়ার অধিকার প্রদান করা হবে। মহিলা ওই স্বামীকে বেছে নেবে, যার স্বভাব চরিত্র আচরণ ছিল সর্বোত্তম। সে নারী আল্লাহর নিকট এভাবে আবেদন করবে, ‘হে আল্লাহ, যেহেতু অমুকের ব্যবহার ও আচার আচরণ আমার প্রতি অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো ছিল, সুতরাং আমাকে তারই হবার অধিকার দাও।”

তারপর মহানবী (সা: ) বললেন, “উম্মে সালমা, উত্তম চরিত্র ও আচার ব্যবহার এভাবে লুটে নেবে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ-মংগল।

বেহেশতে যে সব পুরুষগণ প্রবেশ করবেন, তারাও নতুন যৌবন লাভ করবেন। অপূর্ব সুন্দর চেহারা-স্বাস্থ্য হবে তাদের। তাদের বয়স হবে নব্য যুবকের ন্যায়। অদ্ভূত সুন্দর হবে তাদের দেহ সৌষ্ঠব।

ইত্তেফাকে প্রকাশিত

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×