তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নিজেই এই ব্যার্থ অভ্যুত্থান সাজিয়েছেন তার ক্ষমতা কুক্ষিত করার জন্য এমনটাই মনে করেন তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেন। তাইয়েপ এরদোয়ান ও তার নিজ পরিবারের সদস্য বিশেষ করে তার ছেলের দুরনিত নিয়ে সরব হয়েছিল বিচার বিভাগ। কথিত অভ্যুত্থান ব্যার্থ হওয়ার প্রথম সুযোগেই এরদোয়ান তুরস্কের ২৫০০ বিচারককে চাকুরিচ্যুত করেছেন, যাতে করে তার ভবিষ্যত নিস্কণ্টন করার জন্য। বিচার বিভাগে সাথে অভ্যুত্থানরে কোনই সম্পর্ক নাই, অথচ তিনি বিচার বিভাগকেই দুরবল করলেন। অভ্যুথানে রাষ্ট্রের প্রধানকে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু অভ্যুথান করীরা কেমন পরিকল্পনা করলেন যে এরদোয়ান ঠিকই তার অভ্যুত্থানের পর তার কার্যক্রম চালিয়ে গেল।এরদোয়ান দল একেপির হাজার হাজার সশস্ত্র কর্মিদের মাঠে নামিয়ে আনার পিছনে যে একটি সাংগঠনিক পরিকল্পনা ছিল তা সহজেই অনুমেয়। দ্বিতিয়ত কথিত অভ্যুত্থানে সাধারন জনগনের চেয়ে সেনাবাহিনির সদস্যরাই বেশী মারা গেছে, যদি এটি সত্য সত্যই একটি অভ্যুত্থান হত তবে সন্যরা জনতার উপর গুলি চালাত, জনতাকে হত্যা করত নির্বিচারে যেমনটি হয়েছিল চিলিতে ১৯৭৩ এ। এই অভ্যুত্থানে তা করা হয়নি, বরাং সেনাবাহিনির সদস্যরা ছিল আনেক বেশি শান্ত, তারা সহজেই পুলিশের কাছে অত্মসমর্পন করেছিল, কোনরুপ প্রতিরোধ ছাড়াই তারপর অল্পসংখ্যক সেনা দিয়ে অভুথ্যান ঘটাতে চাইল আবার বিমান বাহিনী ও ছিল অল্পসংখ্যক। বিচার বিভাগে সাথে অভ্যুত্থানরে কোনই সম্পর্ক নাই, অথচ তিনি বিচার বিভাগে হস্তেক্ষেপ করে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিলেন। তুরস্কে অনেক কারনে এরদোয়ান বিতর্কিত তার কাজ বিনা বাধায় চালাতে ব্যপক ক্ষমতা দরকার সবাইকে এক প্লাটফের্মে আনা দরকার ছিল যা এই ব্যার্থ অভ্যুথানের কারনে সম্ভব হয়েছে তাছাড়া করো কাছে স্পশ্ট ধারণা নেই কার আদেশে ব্যার্থ অভ্যুত্থান সংঘঠিত হয়েছে। বলা বাহুল্য পক্ষে বিপক্ষে মত থাকবেই কিন্তু রাজনীতি যে কত কৃটিক্যাল হয়ে থাকে তা উভয় পক্ষের কথা শুনলে একটু বোঝা যায় অপর দিকে এই ব্যর্থ অভ্যুথানের পিছনে মার্কিন বা ইসরাইলের হাত থাকতে পারে কারন এত দিন তারা ছিল আমেরিকার পক্ষে হঠাৎ রাশিয়ার সাথে ভাল সম্পর্কে নতুন সমীকরন হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে। এরদোয়ানের রক্ষনশীল নীতি হয়ত সেনাবাহিনীর পছন্দনা তবে রাজনীতি বড় জটিল


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




