স্বপ্নাশ্রয়ী মানুষ গুলো স্বপ্ন দেখে দিন, রাত, দুপুর, বিকেল..... যেন কোন ক্লান্তি নেই স্বপ্ন দেখায়। স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে এক সময় বাস্তবতা থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে।রচি স্বপ্নাশ্রয়ী মানুষ না বাস্তববাদী। তাই অপূর্ণ স্বপ্ন দেখার সাধ তার নেই। কিন্তু বেঁচে থাকার তাগিদে সব কিছুকে পেছনে ফেলে আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কল্পনার পাখায় ভর করে স্বপ্ন গুলো ডানা মেলতে থাকে আর আশায় বুক বাধে রচি। নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে বিধাতাকে বলে পুরন করবে আমার স্বপ্ন গুলো.... ? তারপর ফিরে যায় অনেক পেছনে। বন্ধু শব্দের অর্থ বুঝার আগে থেকেই তারা পাশাপাশি। একে অপরের খুব আপন জন।তারপর এক পা দু পা করে পাড়ি দিয়েছে জীবনের অনেকটা পথ। মাথার উপরে বিশাল আকাশ, বাসার পেছনে পাহাড়, ফুল, পাখি আর ওই মিথি। মিথি রচির আশৈশব বন্ধু। বড় বড় দুটি চোখ আর স্নিগ্ধ হাসির জন্য যে কেউ ওকে দেখলে মুগ্ধ আর রচি তো..... শৈশব কৈশরের রঙিন দিন গুলো পেরিয়ে আঠারোর গণ্ডিতে পা রাখে। ধীরে ধীরে জীবন সম্পর্কে বুঝার চেষ্টা আর প্রত্যাহিক সুখ দুঃখ নিয়েই চলছিল জীবন। হঠাৎ করেই যেন এর মাঝে অন্য সুর ধরা পরল। এইতো সে দিন মুঠো ফোনটা বেজে উঠতেই চমকে উঠল মিথি। অপরিচিত নাম্বার থেকে ছোট্ট একটা মেসেজ। তারপর অপরিচিত নাম্বারটা দেখতে দেখতে অতিপরিচিত হয়ে ওঠে। আর নিষ্পাপ চোখ দুটি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। আর রচি স্বপ্ন দেখে "ছোট্ট একটা রেল ষ্টেশনে কোন এক শ্রাবনের বিকেলে ভারী বর্ষণের পর আকাশটা যখন গাঢ় নীল তখন একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে মিথি আপেক্ষা করছে। আপেক্ষার অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। কিছুটা আনমনে হয়ে যায় মিথি। তখনই একটা অতিপরিচিত কণ্ঠস্বর শুনে স্বস্তি ফিরে পায়। অবাক হয়ে উপলব্ধি করে এত দিনের আপেক্ষার একটা অধ্যায় শেষ হল। স্বপ্ন পুরনের আনন্দে ওর চোখ দিয়ে দু ফোটা জল গড়িয়ে পরল। আর তখনই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়, ওর চোখের জলের সাথে বৃষ্টির পানি মিশে একাকার হয়ে যায়।
তারপর সমান্তরাল রেললাইন ধরে ওরা এগিয়ে যায় স্বপ্ন পুরনের তাগিদে...।"
আবার আকাশের দিকে তাকাই, নীল আকাশটা ধীরে ধীরে লাল হচ্ছে অর্থাৎ গুধোলী লগ্ন। আর বিধাতাকে প্রশ্ন করি আমার স্বপ্নটা কি অনেক বড়...?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬