somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাজিদ ঢাকা
পড়াশোনা কোন রকমে শেষ , , এখন আমি কর্পোরেট __ > সামুতে কেবল ভ্রমণ ব্লগ লিখি , না আসলে লিখতাম আবার লিখা শুরু করবো , , , শার্ট টাইয়ের নিছে বৈরাগী মনটা এখনও জীবিত আছে তাই মাঝে মাঝে সব কিছু তুচ্ছ করে বেড়িয়ে যাই বাংলার পথে থে থে থে থে থে

বাংলার পথে (পর্ব ১২) -- বুনো ঝর্ণা "হামহাম" , সৌন্দর্য জয়ের পথে ...

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পূর্বের পোস্ট গুলান ডকুমেন্টারি টাইপ , অর্থাৎ প্রয়োজনীয় তথ্য আর ছবি । কিন্তু হামহাম নিয়ে লিখতে গিয়ে মনে হল , হালকা বর্ণনা যদি না দেই তবে প্রকৃতির সাথে বেইমানি হবে , , আর প্রকৃতি যদি প্রতিশোধ নেয় তাইলে আর বাচন নাই , , ,

হামহাম এর খোঁজ পাই সামু থেকেই , , কাওসার রুশো ও সৌম্য ভাইয়ের ব্লগ থেকে , , এরপর মস্তিস্ক এবং শরীরে যেন পোকা ঢুকে গেল , , দিনরাত খালি কিলবিল করে , , ,

টিংকু ভাইয়ের এই ভিডিওটা দেখার পর ভ্রমণপিয়াসী বা নন পিয়াসী , সাহসী বা ভীতু , পুরুষ বা মহিলা মোট কথা রক্তমাংসের মানুষ যে আনন্দে হাসে দুঃখে কাঁদে , যার খাবার খাওয়া পূর্বে এনজাইম নিঃসৃত হয় এবং নিয়মিত প্রকৃতির ডাকে সারা দেয় , তার প্রথম এক্সপ্রেসন হবে আমিও যাব

শিরোনামেই বলেছি সৌন্দর্য এবার জয় করব , , টিকেট কেটে দেখার সুযোগ নেই , ,

এবার আসি আমাদের হামহাম ভ্রমণ , , ,

প্রথমে চলে গেলাম শ্রীমঙ্গল , হোটেল টি টাউন উঠলাম , থাকা খাওয়া নিয়ে বিস্তারিত জানতে বিস্তারিত

আগের দিন সন্ধ্যায় একটা জিপ ঠিক করে রেখেছিলাম ১৮০০ টাকা যাওয়া আসা সারাদিন থাকবে + গাইড ও ঠিক করে দিবে। ৬ জন ছিলাম আমরা তাই খরচটা অনেক কমই হল। জিপে ৬-৮ জন বসতে পারবেন। এই দেখুন জিপটা

সকাল ৬ টায় রউনা দিলাম , সাথে স্যালাইন , পানি , বিস্কুট,
পাউরুটি , একসেট কাপড় , ফাস্টএইড, সাবান সহ যা যা লাগে তবে ব্যাগ বেশি ভারি করবেন না । কারন এই ব্যাগ নিয়ে বনের ভিতর ৮ ঘণ্টায় প্রায় ১৬-১৮ কিমি হাঁটতে হবে , ,
এই ৮ ঘণ্টায় খাওয়ার কোন দোকান পাবেন না,স্যালাইন খাবেন খালি , ভারি খাবার খেয়ে পথে ঘাটে বড় টয়লেট করার বিরম্বনা এড়িয়ে চলুন । ,

জিপে করে প্রথমে যেতে হবে চাম্পারা চা বাগানের কলাবন গ্রামে। শ্রীমঙ্গল থেকে যেতে এক দেড় ঘণ্টা লাগবে। কলাবন গ্রামের পাশেই রাজকান্দিবন , বনের ভিতর যাওয়া আশা প্রায় ১৬-১৮ কিমি হাঁটতে হবে যদি আপনি হামহাম দেখতে চান
যাওয়ার পথে
পৌঁছে গেছি কলাবন গ্রাম এইখান থেকে এইখান থেকে পাবেন গাইড , থাকার ব্যাবস্থা ও আছে , আর জীবনরক্ষাকারী বাঁশ কিনতে ভুলবেন না , মাত্র ৫ টাকা দিয়ে সারাজীবন বাঁশকে খালি গালি দিলাম, কিন্তু এই বাঁশের যে কি উপকারিতা টা হামহাম না গেলে বুজতে পারবেন না
কলাবন
বাঁশ নিয়ে আমরা রেডি

হামহাম যাওরা জন্য বনের ভেতর ২ টা পথ আছে। বনের শুরুতেই দেখবেন ২ টা পথ , ডানে আর বামে , , একটা দিয়ে যেতে হবে আরেকটা দিয়ে আসবেন । ডানের পথ দিয়ে ঢুকে বাম দিয়ে বের হবেন এটাই ভালো , কারন ডানের পথটা দীর্ঘ এবং অনেক গুলো উঁচু টিলা বাইতে হয় , , যা ফেরার পথে পরলে খুব কষ্ট হবে , তাই প্রথমে কষ্ট করেন আসার সময় একটু আরাম করে আসবেন , ফেরার পথ কম না তবে সমতল বেশি , টিলা কম বাইতে হবে
বনে ঢোকার পথে

লড়বরে সাঁকো , একজন একজন করে পারহন

সরকারি পোস্টার

গহিন বন
নির্বিচারে বনের সেগুন গাছ কেটে সাবাড় , দেখার কেও নেই

এরকম অনেক গুলান টিলা বাইতে হবে

যাওয়ার পথে কেবল অর্ধেক পথ আসলাম ২ ঘণ্টায়

বিশাল বাঁশ ঝাড় , এই পথ গুলো বাগানের লেবাররাই তৈরি করেছে , ,
এবার শুরু পানির পথ , , জোঁক আর সাপ দেখে ভয় পাবেন না, , জোঁক রক্ত খাওয়ার পর আপনাআপনি আপনাকে ছেড়ে দিবে , , দিলেন না হয় একটু রক্ত খেতে জোঁকও তো মানুষ , , আর সাপ দেখলে চুপচাপ থাকুন , আপনি কিছু না করলে সাপ ও কিছু করবে না।

শীতকাল তাই পানি কম, ,
আমার মতে পুরো পথের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা , দুপাশে বাঁশঝাড় মাঝখানে পানিপথ , ,

অনেক গুলো টিলা বাওয়ার পর আমরা কিন্তু এখন অনেক উপরে , , এত উপরে এত বড়বড় পাথর , , সত্যি বিশ্বয়

সবচেয়ে আশ্চর্য লাগলো , এই পানি পথের প্রায় পুরো রাস্তা তাই পাথরের অর্থাৎ পানির নিচে যেন পাথর গলে রাস্তা হয়ে গেছে , , তাই কাদা কম । তবে কিছু কিছু জায়গায় মাটি ও কাদা আছে

সামনে কাদা ও গভীর তাই এবার উপরে


৪ ঘণ্টার বেশি হাঁটার পর আমরা হামহাম এর কাছে , , শীতকাল তাই পানি কম , , বলতে গেলে ন্যাড়া ঝর্ণা , , আমরা আগেই জানতাম তাই বেশি একটা নিরাশ হই নাই, ,

হামহামের বর্ষা ও শীত , , দুই রূপই দেখেন , , আপনারা যেন নিরাশ না হন তাই এডিট করলাম


আজ এখানেই খ্যামা দিলাম , , পরের পোষ্টে হামহাম এর চূড়ার ছবিসহ ফেরার পথ

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ , , ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে অবহিত করলে কৃতজ্ঞ থাকব।




সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২২
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×