খুব সকাল সকাল বের হয়ে গেলাম। আগের দিন ৩ টি রিক্সা ঠিক করে রেখেছিলাম ৬০০ টাকা করে প্রতিটি । ঠিক করেছি এইভাবে বিরিশিরি থেকে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে রানিখং গ্রামে সাধু জোসেফের ধর্মপল্লী , রাসমনি স্মৃতিসৌধ এরপর বিজয়পুরে চীনামাটির পাহাড় ঘুরাবে মাঝে কিছুক্ষন বিডিআর কাম্পে যাত্রা বিরতি।
ঐ দেখা যাচ্ছে সোমেশ্বরী নদী
ভোরের আলোয়
শীতকালে পানি একেবারেই কম থাকে হেঁটেই পার হওয়া যায়
নদী পার হয়ে এবার নাস্তা করার পালা
কাঁচা রাস্তা ধরে রিক্সা এগিয়ে চলল চীনামাটির পাহাড়ের দিকে
চীনামাটির পাহাড় - - লাল নীল বেগুনি গোলাপি রঙের মাটি। দেশের সিরামিক কারখানার জন্য এখান থেকে মাটি নেয়া হয়। মাটি কাটার ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই ধরণের ছোট ছোট পুকুর। পানির রংও ভিন্ন। দেখতে চমৎকার। মনে হয় যেন শিল্পীর আঁকা ছবি।
রাসমনি স্মৃতিসৌধ
বহেরাতলিতে রয়েছে টংক ও কৃষি আন্দোলনের পথিকৃৎ নেত্রি হাজং মাতা রাসমনির ও তার সহ যোদ্ধা সুরেন্দ্র হাজং এর স্মৃতিসৌধ। ১৯৪৬ সালে ৩১ জানুয়ারি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগঠিত টংক বিদ্রোহে তারা প্রথম শহীদ হন।
সাধু জোসেফের ধর্মপল্লী
রানিখং গ্রামে এই ক্যাথলিক গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১২ সালে। অনেক পুরনো তাই এটা দেখতে চলে এলাম। ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় গির্জার ভিতরে আর ঢুকা গেলো না।
এবার বিডিআর ক্যাম্পে বিশ্রাম। এখানে বিরাট এক জলপাই গাছ আছে। সবাই মিলে লবণ দিয়ে বেশ করে খেলাম। তবে হ্যাঁ , প্রবেশের পূর্বে অনুমতি নিয়ে নিবেন।
একটি রামকৃষ্ণ আশ্রম আছে তাও ঘুরে এলাম ।
দুপুরে ফিরে আসলাম , লাকি হোটেলে ভাত খেয়ে ঢাকার পথে রউনা।
নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি
এখানকার বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি খেতে হলে চলে আসতে হবে নেত্রকোনা শহরে। গয়ানাথের বালিশ মিষ্টি । এক একটি মিষ্টি ২০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। না খাইলে পস্তাইবেন।
![]()
![]()
স্বল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারেন বিরিশিরি। ৫-৬ জনের দলে ১৭০০-২০০০ টাকা হলেই ২দিন ১ রাত থেকে ভালো মত ঘুরে আসতে পারবেন।
পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন , , রেখে আসবেন পদচিহ্ন আর নিয়ে আসবেন শুধুই ফটোগ্রাফ।
=============================================
সাজিদ ঢাকা'র ভ্রমণ পোস্ট সংকলন
=============================================

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




