আমি ঠিক জানি না কেন যেন সামুর লিংকে ঢুকতে পারছিলাম না অনেকদিন। কী কী জানি হয়েওছিল! সত্যি বলতে ব্যক্তিজীবনের নানা চড়াই-উৎড়াই পার পার করতে করতে সামুর প্রতি খেয়ালই ছিল না। চলছে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ। ইতোমধ্যে অপূরণীয় ক্ষতিও হয়ে গেছে। হারিয়েছি বাবাকে। নিজেও দীর্ঘ অসুস্থতার ভেতর দিয়ে সময় পার করছি। স্রষ্টার অসীম কৃপায় চাকরিটা অন্তত আছে এবং বেতনও পাচ্ছি এখন পর্যন্ত ঠিকঠাক। এতসব ব্যক্তিগত কথা এখানে বলা কেন? পাঠকের প্রশ্ন জাগতেই পারে। সত্যি বলতে আজ থেকে সাড়ে ৪ বছর আগে সামুতে আসা। এমন একটা কঠিন সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম হয়ে সামুর প্রতি একটা মায়া জন্মে গিয়েছিল আর তা থেকেই এত বলা।
বিচ্ছিন্নতা ভয়ঙ্কর কিন্তু একাকিত্বের আবার স্বাদও আছে। যে পেয়েছে সে সমাজবিচ্ছিন্ন হতে পেরেছে। আখেরে ক্ষতি সমাজ ও ব্যক্তি দুইয়েরই। তাই ফিরে আসার ব্যাকুলতাও প্রয়োজন।
এখন লেখালেখি করা হয় কম। একটা সময় ছিল ৫২ না ৫৩ ধারার ভয় ছিল। এখনো আছে। তবে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষফোঁড়ার ফাটিফাটি অবস্থা। সুতরাং সাবধানের মার নেই। এতসব ভেবে আর কি লিখবো! বয়স তো কম হলো না। ৩০ পার হচ্ছে। প্রিয়ার প্রতি হৃদয়ের উষ্ণ ভালোবাসার কাব্য আর আসবে না। কঠিন গদ্যই এখন সম্পদ। কিন্তু অসি অপেক্ষা মসি তো দুর্বল প্রায়। মহা সঙ্কট।
তবু ফিরে এসেছি। বারবার ফিরে আসবো। লিখতে ভালোবাসি। লিখবো। অনেককেই মিস করতাম। আবার তাদের লেখা পড়বো।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭