আবারো খতনা করাতে যেয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার এক বারো বছরের শিশু। খতনা করার সময় চিকিৎসক শিশুর লিঙ্গের কিছু অংশ বাড়তি কেটে ফেলেন এতে দ্রুত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। চিকিৎসক রক্তক্ষরণ বন্ধ করার সব রকম চেষ্টা করে ব্যার্থ হন ।বেথা সহ্য করতে না পেরে শিশুটি যখন চিৎকার শুরু করে তখন আত্মীয় স্বজন ডায়গনষ্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে দেখে এই অবস্থা।শিশুটির আত্মীয় স্বজন ও চিকিৎসকদের মাঝে শুরু হয় ধস্তা ধস্তি পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসক সিলেটে সেই শিশুর আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করে এবং তাদের নিজ খরচে উন্নত চিকিৎসার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ।আত্মীয় স্বজনের সম্মতিতে পরে শিশুটিকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের আল হরামাইন হাসপাতালে সেখানে আইসিইউতে রেখে শিশুটির চিকিৎসা দেওয়া হয়।চিকিৎসকরা আবার শিশুটির অস্ত্র প্রচার করে এখন শিশুটি এখন বিপদ মুক্ত। নতুন স্বাস্থ মন্ত্রী দায়িত্ব নেবার পর এটি ছিলো খতনা সংশ্লিষ্ট তৃতীয় দুর্ঘটনা এর কিছু দিন আগে দুটি ভিন্ন দুর্ঘটনায় খতনা করতে যেয়ে বাড্ডা ও রামপুরাতে দুটি শিশুর করুন মৃত্যু হয়।
কপালে মৃত্যু লেখা থাকলে চিকিৎসক তা ঠেকাতে পারবেন না। কিন্তু চিকিৎসকের অবহেলায় যদি মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে করণীয় কি ? হঠাৎ এমন অভিযোগ তুলার কারণ ব্যাখ্যা দিচ্ছি। খতনা করানোর জন্য বারো বছরের শিশুটিকে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজার এলাকায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় অথচ পনেরো দিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকার কারণে সেই ডায়গনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দিয়েছিলো । ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসক দুই জন তালা ভেঙে শিশুটিকে অপারেশন রুমে ঢুকায়। বাড্ডা ও রামপুরার খতনা সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা ঘটার পর স্বাস্থ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নড়ে চরে বসে তারা দেশব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দেন এতে অনুমোদন বিহীন ডায়গনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়। বাস্তবতা হচ্ছে চিকিৎসক আর অবৈধ ডায়গনেস্টিক সেন্টারের মালিক একে ওপরের সাথে হাত মিলিয়ে সেখানে লুকিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।এই দুর্ঘটনা তো তাই প্রমাণ করে ।
হাসপাতাল গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখবেন ডাক্তারের চেম্বারের সামনে রোগীর তুলনায় ফার্মাসিটিকেল কোম্পানি লোক বেশি থাকে । আমার তো মনে হয় এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার আর ফার্মাসিটিকেল কোম্পানি গুলা ডাক্তারদের বাসার বাথরুমের টয়লেট পেপার থেকে শুরু করে গাড়ি ফ্ল্যাট সব কিনা দেয়। বিদেশী ফার্মাসিটিকেলস গুলা এরকম অনৈতিক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে রাজি নয় তাই তারা দেশি ফার্মাসিটিকেলস গুলার কাছে সারেন্ডার করে সব কিছু বিক্রি করে ব্যাবসা গুটিয়ে চলে যাচ্ছে। এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা খুব কঠিন কারণ বেশিরভাগ ফার্মাসিটিকেলস কোম্পানির মালিক বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার মালিক। এরা একটা মাফিয়া সিস্টেম বানায় ফেলছে এমনকি সরকার ও এদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে দুই বার ভাবে।
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু খতনার ক্ষেত্রে নয় সাধারণ রোগীদের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে । স্বাস্থ খাতে হঠাৎ কেনো এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো তা নিয়ে সবার ভাবা দরকার। সাধারণ মানুষ তো আর সিঙ্গাপুর লন্ডনে যেতে পারে না দেশের চিকিৎসাই তাদের শেষ ভরসা। কর্তৃপক্ষ যদি এতো নরম আচরণ করে তাহলে কেউ পাত্তা দিবে না একটু কঠিন হতে হবে প্রয়োজনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৮