মেয়েটিকে দেখে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। এই শীতের আরামদায়ক রোদেও মাথার উপর ছাতা ধরে হাঁটছে। সাদা শাড়িতে সবাইকে মানায় না অথচ মনে হচ্ছে যেন এর জন্মই হয়েছে সাদা শাড়ি পরে খোলা চুলে হেঁটে বেড়ানোর জন্য। ছাতাটা যে বেমানান লাগছে তাও কিন্তু না। তবুও এই শীতের দিনে না আছে বৃষ্টি না আছে রোদের তীব্রতা সেখানে ছাতাটা চোখে লাগবেই।
দাঁড়িয়ে আছি বাংলা একাডেমির সামনে। আমার সামনেই ফুটপাত ধরে হেঁটে আসছে মেয়েটি। চেহারায় অদ্ভুত কোমলতা। কেবল তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে।
কৈশোরে এমন একজনের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। ছোট্ট মফস্বলের পরিচিত জগতের সবার বাইরে একটা মানুষ। কেমন ঘোর লেগে যেত তাকে দেখলে। সেই বোধহয় প্রথম প্রেমে পড়া। বয়সে সে আমার যথেষ্ট বড় ছিল। তার নাম পরিচয় নাহয় গোপনই থাক। আমার সাথে প্রতিদিনই তার দেখা হতো। দেখা হতো না বলে আমি তাকে দেখতে যেতাম বলাটাই শ্রেয়।
সেই মানুষটি বোধহয় বুঝতে পেরেছিল আমার অসম্ভব পছন্দের একজন সে। আস্তে আস্তে তিনি আমাকে প্রশ্রয় দিলেন। শ্রদ্ধা আর ভালবাসার এক অদ্ভুত অনুভূতি আমার ভেতরে বেড়ে উঠলো দিনে দিনে। প্রজাপতির পাখার নাচনে কেটে গেল মুহূর্তগুলো। আমার শহর ছেড়ে তিনি চলে গেলেন দূরে। কোথায় গেলেন জানিনা। জানা সম্ভব হয়নি। চাইওন আবার দেখা হোক। কিছু ভালবাসা থাকুক না পরম আদরে।
মেয়েটি চলে যাচ্ছে। অদ্ভুত সুন্দর মেয়েটি। যাক। মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে। কতজন পারে এটা!!
আমি চেয়ে আছি। রাস্তাটা অসম্ভব ফাঁকা। আমার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছে কেন?? আজব!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১২