উনার গায়ে গণ্ডারের চামড়া ! এটুকু ধাক্কা বা আঘাতে উনার কিছু হবে না। এই ধাক্কা উনার চামড়া, ত্বক তথা মাংশপেশীতে কোন অনুভূতি সৃষ্টি করে না এবং স্নায়ুতন্ত্রের নিউরন কোন সংকেত প্রেরণ করে না। কিন্তু উনার পঞ্চইন্দ্র সুষ্ঠ ও সচল। তারপরেও উনি দেখতে-শুনতে পারছেন না বলেই ভান করেন। যেমনটি করে থাকেন আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা ! দেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাস্পিয়ন হচ্ছে, তবুও তারা দেখছে না। পুলিশের সামনে ভাঙছে মন্দির-গাড়ি, পুড়ছে বাড়ি, নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ তবুও তারা নিশ্চুপ। এই যে, দেশের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের গ্রাফটা উর্ধ্বমুখী আর উন্নয়নেরটা নিম্নমুখী সেদিকে কারো নজর নাই। যদি এসব পুকুর চুরি বিবেচনা করা হয়, তবে উনি যেটা করছেন তেমন কিছু না।
দিচ্ছি, যাও, পরে, ঘুরে আয় - এসব বলে উনি বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছে বাসের বেচারাম কনডাক্টরকে। ভাবখানা এমন, উনি হয়তো ভাড়াটা দিতে চাচ্ছেন না কিংবা ভাড়ার টাকা যদি পকেটে আরো কিছুক্ষণ থাকে-মন্দ কি! এ যে, পকেটটা হালকা ভারী মনে হচ্ছে। উনি যে ভাড়া দেবেন না, তা কিন্তু নয়। অবশ্যই দিয়ে যান। তারপরেও যতক্ষণ পারেন ঘুরাবেন। পকেটটা দেরীতে হালকা হোক।
উনি মাঝে মাঝে বলে উঠেন, একদম শেষে যাব। তোমরা বারবার চেয়ে বিরক্ত করো। মনে রাখতে পারো না। আসল কথা কিন্তু একটাই, পকেট হালকা ভারী থাকুক। ওরা যে বিরক্ত করে, সেটাও সত্য। কারণ, সে একা। আর আমরা শ’খানেক। রাস্তার মাঝে বারবার উঠি-নামি। এরমধ্যেও আছে একদম না দিয়ে নেমে যাবার কিছু দল। আর আছে বিরাট এক ছাত্রদল। মানে, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাফ ভাড়া। লাভ-ক্ষতির হিসেবটা নাই করলাম। আমার-তোমার কাজটা ঠিক করেই, না হয় করে গেলাম।
তবে যদি বলা হয় দেয়া হয়েছে, তাহলে কিন্তু ওরা শান্ত। না হলেই বিরক্ত করবে আর বাঁকা বাঁকা কথার বাণ ছুড়বে। পাশের লোকটিও আড় চোখে বিরক্ত নিয়ে দেখে নেয় একবার উনাকে। এরচেয়ে ভাল দিয়ে দেয়াটা। যেহেতু দিতে হবে, তবে হোক যথাসময়ে পকেট হালকা।
পুনশ্চ: প্রতিদিন বাসে যাতায়তের কারণে, এ ধরনের হালকা পকেট ভারী করে রাখার লোক দেখা যায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




