somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার এবং বইমেলা-২০১৯।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুক্র-শনিবার সকল মেলা, পার্ক, বাজার, বিনোদন কেন্দ্র, শপিং মল......ইত্যাদিতে প্রচুর ভিড় থাকে। তাই অতি সাবধানে ঐসব স্থানে শুক্র-শনিবার আমি যেতে চাই না কিংবা বলতে পারেন যাই না। এতো লোকজনের ভিড়ে ঠিকমতো হাঁটাই দুষ্কর। কিন্তু গত শনিবার (১৬.০২.২০১৯) বিকেল বেলা কোন কাজ না থাকায় এবং ছোট ভাইয়ের মতো পিয়াসের অফিস বন্ধ থাকার কারণে হুট করেই সিদ্ধান্ত নিলাম বই মেলা ঘুরে আসি। যদিও আরো একটি কারণ ছিল যে, শুক্র-শনিবার গেলে সামুর বিভিন্ন ব্লগারদের সাথে দেখা হতে পারে। তাই সময় করে চলেই এলাম, একুশে বইমেলা' ২০১৯ ঘুরতে।

বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ঢুকে পড়ি মেলার একাডেমীর প্রাঙ্গনে। ছিমছাম-সারি বদ্ধ স্টলগুলো ঘুরে দেখতে ভালো লেগেছে। তখন মেলার এপাশের এলাকায় ছিল হালকা ভিড়। ছোট-বাচ্চাদের বইয়ের প্রতি আকর্ষণ বা কৌতুহল ছিল চোখে পড়ার মতো এবং তাদের জন্য মেলায় ছিল প্রচুর বই। ছোট বেলা থেকেই ছোট সোনামনিদের বই পড়ার অভ্যস গড়ে উঠুক। সেক্ষেত্রে প্রতিটি অভিভাবককে তাদের সন্তানের হাতে তুলে দিতে হবে যথাযথ বই।

ঘণ্টা-খানেক সেখানে ঘুরে চলে আসি মেলার প্রাণকেন্দ্র সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গনে। এখানে এসে মেলার আমেজ অনুভূত হলো। পাঠক-লেখক-ক্রেতা-বিক্রেতা-দর্শনার্থীতে মুখরিত ছিল সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গন।

সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গনে কিছু স্টলে ঘোরা-ফেরা আর কিছু বই হাতে নিয়ে নাড়া-চাড়া করে মনে হলো, আর সময় নষ্ট করে লাভ নেই। চলে যাই, আমাদের প্রিয়সব ব্লগারদের সাথে দেখা করতে। খুঁজে নিলাম, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি স্টল। পথেই দেখা হয়েছিল নীল'দার সাথে। এরপর স্টলে গিয়ে প্রথমে দেখা পেলাম ব্লগার অগ্নি সারথী, নেক্সাস ও হামিদ আহসানকে। একটু পরেই দেখা হলো, ব্লগার মাহবুবুল আজাদ, জাহিদ অনিক, শিখা রহমান, রাবেয়া রাহীম, মনিরা সুলতানা আপু। তারপর সবাই মিলে "লেখাজোকা সংকলন" বইটি হাতে নিয়ে ছবি তুললাম। সবার সাথে দেখা হওয়ায় খুব খুশি হয়েছি। এর ফাঁকেই কিনে নিলাম, লেখাজোকা সংকলন, নজরবন্দী এবং কঙ্কাবতীর কথা। তার একটু পরে এসে হাজির ব্লগার উম্মে সায়মা।

ছবি-০১।



ছবি-০২।



ছবি-০৩।



এরপর মনিরা আপু, সায়মা, আজাদ, অনিক সহ চলে এলাম ঋদ্ধ তিন সংগ্রহ করতে। মনিরা আপু নিজে এক কপি নিলেন এবং সায়মা ও আমাকে এক কপি করে উপহার দিলেন। না করে ছিলাম, তবুও......আপুদের ধন্যবাদ দিতে হয় না। এরপর আপুর ব্যস্ততার কারণে মেলায় থাকতে পারেনি, চলে গিয়েছিল। অনিক, আপুদের এগিয়ে দিতে চলে গেল।

আমি আবার চলে আসি এক রঙ্গা এক ঘুড়ি স্টলে। সেখানে এসে আড্ডা আর অনেক কথা হলো ব্লগার অগ্নি সারথী এবং নেক্সাসের সাথে। দেখা হয়েছিল রেজা ঘটক এবং চারু মান্নান ভাইদের সাথে। পরিচয় ছিল না বলে, কথা হয়নি। এরমাঝে আমাদের সাথে এসে হাজির হয় ব্লগার রেজওয়ান তানিম। সবাই মিলে অনেক আড্ডা দিলাম। তানিম ভাই, অগ্নি সারথী ভাইয়ের বইটি হাতে নিয়ে উনাকে বই সম্পর্কে কিছু উপদেশ নিলেন। পরে নেক্সাস ভাই আমাকে নিয়ে উনার এক বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য নিয়ে গেলেন। বন্ধুকে আইসক্রিম আর আমাকে কফি খাওয়ালেন। মূল আড্ডাটা হয়েছে এক রঙ্গা এক ঘুড়ি স্টলে।

ছবি-০৪।



ছবি-০৫।



ছবি-০৬।



ছবি-০৭।



এরপর আসলেন আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার কাওসার চৌধুরী। পরিচিত হলাম, আড্ডা হলো, ছবি তুললাম, ঘুরলাম এবং আবার আড্ডা হলো। আমাদের আড্ডা যেন শেষ হয় না। এরপর আসলেন জনপ্রিয় ব্লগার হাসান মাহবুব এবং তারপর এলেন ব্লগার মাহমুদ ০০৭। এ যেন সামুর পূর্ণমিলনী। সবার চোখে-মুখে ছিল অনেক আনন্দ। যাক, আমার শনিবারের যাওয়া বৃথা হয়নি। শুভ'র "ঈর্ষার পাশে তুমিও জুঁইফুল" বইটি সংগ্রহ করতে ভুলে যাইনি।

এখানে কাউকে আলাদা করে প্রশংসা কিংবা ধন্যবাদ করা বা বলা হয়নি। সবাই ছিল অমায়িক ভালো এবং আন্তরিক। মনে হয়েছিল, আমরা অনেক দিন ধরে পরিচিত এবং খুব কাছের মানুষ। যদি বলা হয়, ব্লগিং করে কি পেয়েছ ?? আমি বলব, অসাধারণ কিছু মনের এবং কাছের মানুষ পেয়েছি।

কাওসার ভাই নিয়ে গেলেন তার বইয়ের স্টলে। সেখানেও কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম এবং সংগ্রহ করে নিলাম উনার বায়স্কোপ বইটি। সবার সাথে আড্ডা দিয়ে, রাত সাড়ে আটটার দিকে মেলা থেকে অনিককে নিয়ে বের হয়ে গেলাম।

ছবি-০৮।



ছবি-০৯।



মেলা থেকে আসার সময় মজার একটি ঘটনা ঘটেছিল। ইত্যাদি'তে একজন মজার সব কৌতুক করেন কিন্তু আমরা কেউ উনার নামটি মনে করতে পারিনি, উনি এসেছিল আমাদের সাথে বেতার বাংলা'র পক্ষে সাক্ষাৎকার নিতে। আগে কোন দিন সাক্ষাৎকার দেইনি। আজ দিয়েই দিলাম। প্রথমে অনিক দেয়নি। আমি দেবার পর, এসে দিয়েছে। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। সব মিলিয়ে মজাই হলো।

সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করলাম। স্মৃতির পাতায় এর কথা কখনো হারাবে না। তবুও সামুতে রেখে দিলাম যত্ন করে।

ছবি-১০।



সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
৫২টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র

এআই দ্বারা তৈরিকৃত রাজনৈতিক কার্টুন—যেখানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অসাম্যতা ও রাজনৈতিক নির্ভরতার প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৬


বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৮




ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।

এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান আর চালাক হলো না!

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৬


ওরা আগেও বলদ ছিলো, এখনও আছে। এই বক্তব্যর পর ভারত এখন আরও জোর গলায় বলবে যে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলা পাকিস্তানের ইন্ধনেই হয়েছে এবং ফুল ফোর্স নিয়ে স্ট্রাইকে গিয়ে কাশ্মীরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধলে বাংলাদেশের কি করণীয় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৬


কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম হওয়ায় এবং ভারত বিদ্বেষী(যৌক্তিক কারণ আছে) হওয়ায় এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×