বেশ কিছু দিন ধরে ব্লগে লেখা পড়ি। পড়তেই বেশি ভাল লাগে কিন্তু ব্লগে বন্ধুদের লেখায় মন্তব্য করব সে সুযোগ নেই। তাই ভাবলাম নিজেও কিছু লিখি। অন্তত মন্তব্য দেয়ার পাশাপাশি এক সময়ের লেখার চর্চাটাও হবে।
কিন্তু কি লিখব তা ভেবে পাই না। নিচের উপক্রমণিকা তা আব্যশক না হলেও বলা ভাল।
আমি প্রবচন বা বিখ্যাত ব্যক্তিদের কথা পড়তে পছন্দ করি। ইংরেজিতে যেসব কে বলা হয় "Aphorism" এবং "Quote"। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি এসব একটা মানুষের চিন্তাধারা,মনোভাব ও মানসিক অবস্থা স্পষ্ট করে তোলে অন্যের কাছে। বলা বাহুল্য যে এটা আমাদের জীবনকেও নানা ভাবে প্রভাবিত করে।
আমি এই ধরণের প্রবচন পড়ার সাথে সাথে আমার নিজের চিন্তাগুলো কে একটা ডায়েরিতে লিখে রাখতাম। হয়ত সেগুলো এত অসাধারণ নয় তবুও তা আমার চিন্তাপ্রসূত। এটা ভেবেই অনেক আনন্দ পেতাম।
কিন্তু একসময় আমি সবচেয়ে জরুরী একটা ব্যাপার লক্ষ্য করি। লিখার অনেক পরে যখন নিজে প্রবচনগুলো পড়তে বসি তখন দেখতে পাই আমার নিজের জীবনধারা,চিন্তা-চেতনা,দৃষ্টিভঙ্গি কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কখন এই পরিবর্তন ছিলো হতাশাজনক কখনও বা আনন্দের। এটা বাস্তবিকই নিজের পরিবর্তনের পথ দেখায়।
১। সিদ্ধান্তহীনতা ধ্বংশ নয়, ভুল সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ধ্বংশ।
২।জীবনের গুণ হচ্ছে সন্দেহ কিন্তু এই এই একটা ব্যাপারে গুণ প্রদর্শনে মানুষ আগ্রহী নয়।
৩।সারা জীবন নিশ্চয়তাহীন পরিকল্পিত কাজ করেছি। এখন মনে হয় সবই ছিল পরিকল্পনাহীন অনিশ্চিত কাজ।
৪।সফলতা এবং ব্যর্থতার সীমারেখা খুব সুক্ষ্ণ কিন্তু তাদের ফলাফল অনন্ত কালের পথ।
৫।এক মুহূর্তের ভালবাসা সহস্র বছরের ঘৃণার থেকেও শক্তিশালী।
৬।ভাল লাগাই ভালবাসা নয় এটা সবাই জানি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে ভালবাসাই সবসময় ভাল লাগা নয়।
৭।মানুষ সেভাবেই বাচেঁ যে ভাবে সে বাচঁতে চায়।
৮।ভালবাসার নদীটা খুবই খরস্রোতা,কেবলমাত্র ঘৃণার বাধই পারে একে রুখতে।
৯।প্রত্যাশার চাপ চিন্তাকে শাণিত করে কিন্তু চিন্তাকারী কে প্রায়শই হতোদ্দম করে তোলে।
১০।মানব সম্প্রদায় টিকে আছে কারণ মানুষ তার সুখ পুরোটাই ছড়িয়ে দেয় এবং দুঃখ পুরোটাই নিজের কাছে রেখে দেয়। এর বিপরীত যেদিন ঘটবে সেদিন এই সভ্যতার ধ্বংশ শুরু হবে।