somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চেরনোবিল, ধামাচাপা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পারমানবিক দুর্ঘটনা ‘চেরনোবিল বিপর্যয়’ এর ৩০ বছর পুর্তি। এই দুর্ঘটনা সোভিয়েত সরকারের একটা ত্রুটি ছিল সন্দেহ নাই। কিন্তু তার চেয়েও বড় ভুল তারা করেছে দুর্ঘটনা ঘটার পরের পদক্ষেপগুলোতে।
তখন চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। আমেরিকা এবং রাশিয়র মধ্যে সুপারপাওয়ার হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এমতাবস্থায় সোভিয়েত ইউনিয়নের ভয় হয়, এই দুর্ঘটনা সারা বিশ্বের দরবারে তাদের মাথা হেঁট করে দিবে। তাই তারা পুরো ঘটনা চেপে গেল। সারা বিশ্ব দূরে থাক, খোদ সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষও সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকল এ বিষয়ে। হিরোশিমায় যে পারমানবিক বোমাটা ফেলা হয়েছিল তার চাইতে চারশত গুণ বেশি তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয় এ দুর্ঘটনার ফলে। এ সময়ে দরকার ছিল দ্রুত আশেপাশের এলাকার মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু সেটা করতে হলে আগে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার তো করা চাই!
সুদূর সুইডেনের সেন্সরে সর্বপ্রথম বাতাসে তেজস্ত্রিয় রশ্মির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ধরা পড়ে!
ঘটনার দুইদিন পরে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ ১৫ সেকেন্ডের একটা বিবৃতি দেয়। “There has been an accident at the Chernobyl nuclear power plant.”, “assistance has been provided”, “an investigative commission has been set up”.
কিন্তু এ ঘটনার পর গর্বাচেভ নতুন পলিসি glasnost গ্রহন করতে বাধ্য হয় যেখানে তথ্যের ব্যাপক প্রবাহের কথা বলা হয় যেটা থাকলে চেরনোবিল দুর্ঘটনার ফলাফল অনেকাংশে কমানো যেতো। এবং এই নতুন পলিসিই একসময় সোভিযেত ইউনিয়নের পতনের অন্যতম কারন হযে দাঁড়ায়।

‪#Moral_of_the_story‬:
ধামাচাপা দিয়ে গদি রক্ষা করা যায়না। Transparency brings long-term benefit.
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৪
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×