somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তযুদ্ধ: পাদুয়া ২০০১

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে ঠিক পনর বছর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। ঐতিহাসিক এ অর্থে, সেই সময়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত-যুদ্ধটা হয়েছিল। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (তৎকালিন বিডিআর) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে তিন দিন ধরে যুদ্ধটা চলে। ১৬ জন বিএসএফ জওয়ান এবং ৩ জন বিডিআর সৈন্য নিহত হয়। ভুল পড়েননাই। পরাশক্তি ভারতের ১৬ জন নিহত হয় সে যুদ্ধে!

মূলত অপদখলীয় জমি থেকে সমস্যার সূত্রপাত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যকার কিছু জায়গায় সীমান্ত চিহ্ণিত ছিলনা। এজন্য আগে থেকেই দুই দেশের মধ্যে টুকটাক ঝামেলা চলছিল। তাছাড়া ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে বিডিআর সিলেট সীমান্তে পাদুয়া নামক এক জায়গা বিনা রক্তপাতে দখল করে নেয় যেটা বিএসএফ ১৯৭২ সাল থেকে অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছিল।

সেটার প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যেই ১৮ এপ্রিল খুব ভোরে সূর্য ওঠার বেশ আগে বিএসএফের দুই হাজার সৈন্য সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। উদ্দেশ্য, কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়িতে অবস্থিত বিডিআর ক্যাম্প দখল করা। পথিমধ্যে লাল মিয়া নামক একজনকে জিজ্ঞেস করে বিডিআর ক্যাম্পটা কোন দিকে। পেশায় গ্রাম্য চিকিৎসক লাল মিয়া বিএসএফের মতলব টের পেয়ে যান। বিএসএফকে বোকা বানিয়ে উল্টোদিকে একটা বিল্ডিং দেখিয়ে দেন। আর নিজে দৌড়ে খবর দিয়ে আসেন বিডিআর ক্যাম্পে। মুহূর্তের মধ্যে বিডিআর প্রস্তত হয়ে যায়। ওয়্যারলেস মারফত কাছাকাছি অন্যান্য বিডিআর ক্যাম্পেও খবর পৌঁছে যায়। সবমিলিয়ে ১ হাজার বিডিআর সৈন্য দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত হন। তৈরি করা হয় অ্যামবুশ। বিএসএফ সেই ফাঁদে পা দেওয়া মাত্র শুরু হয় নির্বিচার গুলি। স্থানীয় মানুষজন কেউ কেউ সংঘর্ষের সময় পালিয়ে দেশের আরো ভেতরে চলে আসলেও অনেকে বিডিআরের সাথে দেশরক্ষায় যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। গার্ডিয়ানের ভাষ্য এরকম: ”They (বিএসএফ) were disarmed by hundreds of Bangladeshi villagers who appeared from nowhere and handed over to the Bangladeshi Rifles.”

সে সময়ে ভারতে ক্ষমতায় ছিল কট্টর বিজেপি। তাই ঘটনা আরো খারাপের দিকে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা ছিল। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সময়টা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং। বিডিআরের ডিরেক্টর জেনারেল ফজলুর রহমানকে অপসারন করা হয়। এবং বাংলাদেশে ‘জাতীয়তাবাদের’ ঢেউ ওঠে। ফলস্বরূপ, কিছুদিন পর বিএনপি ক্ষমতায় আসে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×