কৃতজ্ঞতাবোধ না থাকা মানুষগুলোর থেকে আমি বরাবরই দূরে থাকার চেষ্টা করি, যতটা পারা যায় । সেটা যদি আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ হয় তাঁর সাথেও ।
কথা বলি, সম্পর্ক গড়ি আমার মাইন্ডসেটের মতো মানুষদের সাথে । বন্ধুসুলভ সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে কে ধনী, কে গরীব, কে কালো, কে সাদা, কে চিকন, কে মোটা এইসবকে তুচ্ছ করে দেখেছি ।
কোনো বৃদ্ধের সাথে বন্ধুত্ব গড়তেও আমার দ্বিধা নেই যদি তাঁর মাইন্ডসেট আমার মতো হয় । ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাঁর সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলা যায়, কোনো বোরনেস কাজ করেনা সেরকম মানুষ ।
বেশ কয়েকমাস পূর্বে একজন সাংবাদিককে ই-মেইল পাঠিয়েছিলাম তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, সেই সাংবাদিক আমাকে রিপ্লাই দিয়েছিলেন খুব আন্তরিকতার সাথে । আমি আশা করিনি যে তিনি আমাকে রেসপন্স করবেন, রিপ্লাই পাঠাবেন ।
বাঙালীদের অন্যতম বড় দোষ এঁদের কৃতজ্ঞতাবোধ কম, যদি কেউ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাকে আঁতেল ভাবে, ছোট ভাবে । কারোর থেকে একটা পথের ঠিকানা জানার পরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানায় । বিপদে সাহায্য পেলেও নূন্যতম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা । কারোর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেই ভাবে তাঁর লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো বোধহয়!
আমি বরাবরই চেষ্টা করি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে । এই গুণটা আমার মায়ের মধ্যে ভীষণ আকারে আছে, তাঁর থেকেই পেয়েছি । মা’র একটা জিনিস খারাপ লাগে সেটি হলো তিনি অতি নমনীয়, দয়ালু, মহানুভব মানুষ হওয়ার কারণে । কেউ কিছু চাইলে সাহায্য না করে তাকে থামানো যাবেনা ।
আমি বারবারই বলি, মা নিষ্ঠুর হতে শেখো, কঠোর হতে শেখো । তখন মা নবীজী(সা.) এঁর উদাহরণ টানেন । ইউসুফ(আ.) এঁর উদাহরণ টানেন । আমি ভীমড়ি খেয়ে পড়ি । চুপচাপ হয়ে পড়ি...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
১৬ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | রোববার | ৩১ জুলাই ২০২২ ইং | পূর্বধলা, নেত্রকোনা