
বিকেলবেলা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চায়ের স্টল খুলে একজন চা'ওয়ালা আয় করছেন ৫০০-৭০০ টাকা ।
একজন রিক্সাচালকের দৈনিক আয় ৮০০-১৫০০ টাকা । ৩০০ টাকা মালিককে দিলে তাঁর দৈনিক রোজকার ৫০০-১২০০ টাকা থাকে ।
একজন খুচরা ব্যবসায়ীর আয়ও দিনে ৮০০-১২০০ টাকা ।
হোটেল মালিকের দৈনিক ইনকাম ২০০০-৩০০০ টাকা(কর্মচারী খরচ বাদ দিয়ে) ।
অথচ একজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে এত বছর ব্যয় করার পরও ২০,০০০ টাকা বেতন দিতে(সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি চাকরি) কতটা বেগ পেতে হয় সেটা সে-সকল শিক্ষিত বেকাররাই জানে ।
যাঁরাও একটাসময় শিক্ষিত বেকার ছিলেন তাঁরাও ব্যাপারটাকে নিয়ে হেয়ালিপনায় মেতে ওঠেন । উপহাস করতে পছন্দ করেন । সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো নিয়েওতো সরকারি পর্যায়ের লোকেদের কত কথা শুনলাম, শাহবাগ রক্তাক্ত হতে দেখলাম ।
এদেশের কোন সেক্টরটা ভালো আছে, সুস্থ্য আছে তা নিয়ে আমার ভীষণ কিউরিওসিটি আছে । এটা আওয়ামী লীগ আমল বলেই শুধু বলছিনা বিএনপির আমল নিয়েও আমার একই কিউরিওসিটির পরিমাণ সমানে সমান ।
পাঁচ হোক, দশ হোক, পনেরো হোক এত বছর কেটে যাবার পর সরকারি দল পরিবর্তন হয়ে অন্য দল সরকারে গেলেও কোন সরকার বেতন(উহ্য), উপার্জনটা সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না সেটার দিকে নজর দিয়েছে । একটা সাম্যের জায়গা তৈরি করেছে । করে নাই!
একটা দেশের বেতন কাঠামো, উপার্জনের কাঠামোতে এতটা বৈষম্য এতটা ফারাক । শিক্ষিতদের নিয়ে প্রহসন, অবহেলা, অবজ্ঞা । অথচ সরকার টিকিয়ে রাখতে, সরকারের গদিতে যেতে দরকার পড়ে এসকল শিক্ষিতদেরই ।
জানিনা কবে এসবের অবসান হবে । ততদিন বোধহয় আমরা থাকবোনা, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই একই হা-হুতাশ করে বেড়াবে । এভাবেই যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে হারিয়ে যাবে শত-শত প্রজন্ম, শত-কোটি শিক্ষিত বেকাররা...
সাব্বির আহমেদ সাকিল
১২ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | শুক্রবার | ২৮ অক্টোবর ২০২২ ইং | আপন নীড়, বগুড়া
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




