somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শব্দহীন আত্মচিৎকার

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি প্রত্যুষে পাখির কন্ঠে শুনতে পাই-
কবিদের জন্য কবিতার আত্মচিৎকার।
যদি পার, সকল কবিতা ভস্ম করে দেও।
পারবে না!
কবিতা বিনাশ করলে পৃথিবীর সকল ভাষা কবিতা হয়ে যাবে।
পান্ডুলিপির পাতায় জ্বলন্ত দিয়াশলাই ছুড়ে দিলে- সমগ্র ভূবন জ্বলে যাবে।
অরণ্যে কোন পাখি গাইবে না।
ক্লান্ত ঢেউয়েরা আর সৈকতের বুকে আছড়ে পড়বে না।
আসমান শূন্য হয়ে যাবে কোন মেঘ উড়বে না।
আর কখনো কোন কালে বসন্ত আসবে না।

আমি নব্য শিশুর ক্রন্দনে শুনতে পাই-
ধরণীর জন্য কবিদের আত্মচিৎকার।
যদি পার, কবিদের হত্যা কর।
পারবে না!
একজন কবিকে হত্যা করলে হাজারো মানুষ কবি হয়ে যাবে।
কলম হয়ে যাবে মিসাইল আর " ইউ টু থার্টিএইট " হয়ে যাবে কালি।
কবর থেকে মৃত অগ্নিগিরি জেগে উঠবে।
রাখালের বাঁশি মহাপ্রলয়ের হুঙ্কার দেবে।
বাউলের একতারের কম্পনে পৃথিবী থর থর করে কাঁপবে।

আমি প্রতিটি সংবাদ শিরোনামে শুনতে পাই-
প্রেমিকের জন্য ধরণীর আত্মচিৎকার।
যদি পার, প্রেমিকের টকবগে ধমনী স্তব্ধ করে দেও।
পারবে না!
একজন প্রেমিকের ধমণী প্রবাহ থামিয়ে দিলে
হাজারো যুবক প্রেমিক হয়ে যাবে।
সকল প্রেমিক গ্ল্যাডিয়েটর হয়ে যাবে।
মাটিতে ডঙ্কা বাজিয়ে স্পাটাকাস উত্থিবে।
প্রেমিকার শিমুল কোমল হাত বুমেরাং হবে।
রাজপথে রক্ত প্রবাহ শুরু হয়ে যাবে।
ফুরাতের সমস্ত জ্বল বাষ্প হয়ে যাবে।
মাতৃগর্ভ চিরে অপরিপক্ক শিশু এসে উপস্থিত হবে রণক্ষেত্রে।

আমি সহ্য করতে পারিনা, সহ্য হয় না-
নগরের জন্য প্রেমিকের এ আত্মচিৎকার।
এ নগর ধংস করে দেও ভয়ঙ্কর তান্ডবলীলায়!
আমি এখানে শুদ্ধ প্রণয়ের চাষ করব।
এরপর!
আর দালাল বুদ্ধিজীবীর গোলটেবিল বৈঠক হবে না।
অধিবেশন বসবে কেবল প্রেমিক প্রেমিকার।
একটি নারীও আর কভু হবে না পতিতা।
একটি শিশুও আর থাকবে না বুভূক্ষে।
ক্ষুধার রাজ্যে আর পৃথিবী হবে না গদ্যময়।
শহরে কোথাও আর থাকবে না কোন বিলবোর্ড।
নগর রক্ষায় আর লাগবে না সমরাস্ত্রের সওদা।
শ্রমিকের রক্তে আর একটি রাজপ্রসাদও উঠবে না।
কোন রাজ্য থাকবে না, কোন রাজা থাকবে না, কোন রাজপদ থাকবে না।
শুধু মানুষ থাকবে মানুষ।
আর পৃথিবী হবে একটি নগরের নাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×