ছবি দুটো পাশাপাশি রেখে দেখুন তো, প্রথম ছবিটা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের। গরু কুরবানির পর তিনি একটা ছবি ফেইসবুকে আপলোড করেন। ছবিটা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়। যারা নিজেদেরকে সেক্যুলার, প্রগতিশীল, আর মুক্তমনা বলে পরিচয় দেয়, তারা মুশফিকের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুশফিকের ওপর নোংরাভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে, একটা সময় বেচারা মুশফিক ছবিটা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
ছবিটার বিষয়ে তাদের আপত্তি হচ্ছে, এই ছবি দেখলে নাকি শিশুরা ভয় পাবে। রক্তাক্ত ধারালো ছুরি শিশুমনে ভয় আর আতঙ্কের সৃষ্টি করবে।
পরের ছবিটা দেখুন, একটা রাক্ষসমূর্তি৷ বড় বড় ভয়ংকর চোখ এবং দাঁত, আবার সেই দাঁতে লেগে আছে রক্ত। মনে হচ্ছে আস্ত কাউকে চিবিয়ে খেয়েছে৷ হাতে আবার একটা ধারালো চাপাতিও আছে, সেই চাপাতিতেও লেগে আছে রক্ত। পুরা অবয়বটা দেখার পর বলুনতো, কোন ছবিটা শিশুদের জন্য বেশি নেতিবাচক? কোন ছবিটা শিশুদের মনে সত্যিই ভয় ধরিয়ে দেবে? মুশফিকের ছবিটা? নাকি এই মূর্তির ছবিটা?
তবে যাইহোক, ভন্ডামির বিষয় এই যে, মুশফিকুর রহিমের সিম্পল এই ছবি নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য এবং ঘৃণা ছড়ানো অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, বাঙ্গুরা দ্বিতীয় ছবিটির কারিগর।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩