কোটা বাতিলে বিশাল এক শোভাযাত্রা দেখলাম। হাজার হাজার প্রতিবাদী তরুণ শ্লোগানে শ্লোগানে এগিয়ে যাচ্ছে নীলক্ষেত হতে টিএসসি। আমি হলফ করে বলতে পারি চাকুরীতে সমান সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে রাজপথে নামা এই তরুণদেরই শেষপর্যন্ত আর চাকুরী হবে না। বিষয়টা এমন নয় যে রাষ্ট্র এদের চাকুরী দেবে না। বিষয় হচ্ছে সরকারি চাকুরী পাওয়ার জন্য যোগ্যতা হিসেবে মুখস্থ বিদ্যার যে ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে তাদের সেটা নাই। তবে তাদের রয়েছে শাহস এবং সৃজনশীলতা, যার কোন ভ্যালু সরকারি চাকরির বাজারে নেই। কিন্তু এই প্রতিবাদের কারণে যাদি কোটা বাতিল হয়, তবে সেটার সুবিধাভোগী, অর্থাৎ যারা চাকুরী পাবে, সেসব কা-পুরুষ আবার এসব মিছিলে কখনো আসবে না। এরা ঘরে বসে বসে দেখবে, আর মনে মনে খুব করে চাইবে কোটা যেন বাতিল হয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, যাদের আ-ন্দো-লন এবং ত্যাগের ফলে এরা চাকুরী পাবে, চাকুরী ঢুকে ক্ষমতাহীন এই নেমক-হারা-ম কা-পুরুষরা কয়ডা টাকার জন্য ক্ষমতাসীনদের আদেশে আইন নামক অন্যা-য়ের ছায়াতলে বসে সেসব প্রতি-বাদী জনতার বিরু-দ্ধেই নিজের ক্ষমতা দেখাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে । অথচ ক্ষমতাসীনদের অন্যা-য়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে 'না' বলার সামর্থ্যটুকুও এই কা-পুরুষদের হবে না। সবচেয়ে বিশ্বস্ত গোলাম বলা হয় কুকুরকে, কিন্তু আমি এদের চেয়ে বিশ্বস্ত গোলাম আর দেখিনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯