
র্যাব পুলিশ যা করেছে তা দেখে কিছুতেই এটা বলার সুযোগ নেই যে তারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে কেবল ওপরের হুকুম পালন করেছে।
কারণ তারা কেবল আন্দোলন দমন করেই সন্তুষ্ট ছিলো না। তারা ঠান্ডা মাথায় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিলো।
এমনকি তারা কেবল হত্যাযজ্ঞ করেই ক্ষান্ত ছিল না, তারা নির্মম নৃশংস ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করতে চেয়েছে।
এমনকি তারা নির্মম নৃশংসতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আহতদের চিকিৎসা নিতে বাধা দিয়েছে।
শুধু চিকিৎসা নিতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, যারা চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের উপরও আক্রমণ করেছে।
যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় এক রিকশাওয়ালা ভদ্রলোক ফ্রিতে আ-হ-তদের হস-পিটালে নিয়ে আসতেন। এটি আইডেন্টিফাই করার পর পুলিশ রিকশাওয়ালা ভদ্রলোককে জুলাইয়ের শেষদিকে আ-ট-ক করে।
রিকশাওয়ালা তখন বলেন, স্যার আমাকে মা-ইরে/ন না, আমার বউটা পো-য়া-তি। পুলিশ তখন বলেছে, তাহলে তোরে জানে মা/র-মু না, কিন্তু গু/লি তোর খাইতেই হবে। কই খা-বি বল?
পুলিশ গু/লি করে উনার দুই পা একদম ঝাঁ/ঝ-রা করে দিয়েছে। উনি অনাবিল হস-পিটালে ভর্তি ছিলেন। পা দুইটা পঁচে গিয়েছে। এই ঘটনা বর্ণনা করার সময় অনাবিল হস-পিটালের ইনচার্জ বারবার থেমে যাচ্ছিলেন, চোখ মুছছিলেন।
প্রশাসন কার্যকর রাখতে গিয়ে যদি সরকার এদের বিচারের কথা এড়িয়ে যায়, তবে এই সরকারকে সন্দেহ করুন। সে যে আরও শক্তিশালী হাসিনা হয়ে উঠবে না তার কোনো গ্যারান্টি নেই।
সময় প্রয়োজন সেটা স্বীকার করি, তবে আমাদের বিশ্বাস করাতে হবে যে আপনি সময় চাচ্ছেন, ভুলে যাওয়ার জন্য কালক্ষেপণ করছেন না!
লেখা: আহাম্মেদ রফিক।
ছবি: প্রতিকি।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



