কিছু মৌলবাদী দাবী করতে চায়, সে মৌলবাদীই কারণ মৌলবাদ মানে ইসলামের মূলের মধ্যে থাকা। তাঁর চাওয়াটা খুবই সাময়িক। তিনি শিঘ্রই উপলব্ধি করেন, এটা সুন্দর কিছু নয়, মীর জাফর, আল বদর, আল শামস, রাজাকার, খন্দকার মোশতাক ইত্যাদি নামের মতোই ঘৃণার নাম। মৌলবাদ শুধু ইসলামের বিষয় নয়, হিন্দু, খৃস্টান, ইহুদী সব ধর্মেই থাকার কথা। কিন্তু শব্দটি অনেক বেশি যায় ইসলামের সাথে। তাই বহু মানুষই মৌলবাদ বলতে মুসলিম মৌলবাদকেই বুঝে। ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ বলতেও মানুষ ইসলামের দিকেই চোখ দেয়। আপনি চোখ তুলে ফেলার ভয় দেখাতে পারবেন কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষের কাছে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে না পারলে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না। ধর্মের ভিতর কিছু সুন্দর সুন্দর কথা আছে। তাদের মতো করেই খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলা আছে। কিন্তু মৌলবাদীরা ধর্মের গভীরে থেকেও কোন পাপ থেকেই বিরত থাকে না। তারা নারী নিপীড়ন করে, অন্যের অধিকার ক্ষুন্ন করে, ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে, অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন করে, ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করে, হত্যা করে .. .. .. এ তালিকার কোন সীমা নেই। কেন করে? কারণ তাদের শিক্ষার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। তারা যে শিক্ষা গ্রহণ করে তার কোন মান নেই, আধুনিক শিক্ষা নেই তাদের, আধুনিক জীবনবোধ নেই। তারা নারীকে মানুষ হিসাবে গণ্য করে না, অন্য ধর্মের মানুষের কাছ থেকে কিছু শিখতে চায় না, তারা বিজ্ঞানমনষ্ক নয়, মানবাধিকার সম্পর্কে তারা ধারণা রাখে না। যারাই মুসলমানদের উন্নতির জন্য কাজ করতে চায়, তাদের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের কথা বলতে চায়, মান সম্মত শিক্ষার কথা বলে, গবেষণার কথা বলে, বিজ্ঞান চর্চার কথা বলে তাদেরকেই উল্টো চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়, নাস্তিক-মুরতাদ আখ্যা দেয়া হয়। তাহলে বিশ্ববাসীর কাছে মুসলিমদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে কিভাবে? তারা মৌলবাদ থেকে বের হবে কিভাবে?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৮