somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দক্ষিণ কোরিয়ার আইনের শাসন

২৭ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক.
প্রথম গল্পটা শুনেছি এক কোরিয়ান প্রফেসরের কাছে। বেটা হারামির হারামি। নাম প্রফেসর তায় হাউয়ান ইউ। আমেরিকার পারডিউ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি। খুব কড়া বললে সাধরণ হবে। ব্যবহার খারাপ। পছন্দ না হলে লেখা ধরে মুখের ওপর ছুড়ে মারে। তার স্বাভাবিক কথাবার্তাও গালিগালি মনে হয়। এর অধীনে কোন শিক্ষার্থী পড়তে গেলে তার প্রতিদিন কয়েকবার সুইসাইড করতে ইচ্ছা হবে। আমিও তার কবলে পড়েছিলাম। সেই গল্প অন্য দিন করা যাবে। তবে তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছিও। আজ তার বলা গল্পগুলো শোনাবো। আজকের দিনে এসব গল্প শুনতে ভালো লাগবে।

দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বে শীর্ষ দশটি ইকোনমির একটি দেশ। এখনকার জিডিপি পার ক্যাপিটা প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার মার্কিন ডলার। ১৯৬০ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৯ ডলার। আমরা মাথাপিছু আয়ে এখন যে অবস্থায় রয়েছি তারা ১৯৮১-৮২ সালের দিকে সেই অবস্থানে ছিল। আমাদের উন্নয়নের রূপকল্প তাদের আদলে তৈরি করা হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক উত্থানের পেছনে গোটা দশেক কোম্পানির সরাসরি হাত রয়েছে। এরা একেকটা বৃহৎ গ্রুপ অব কোম্পানি। পারিবারিক ব্যবসা। এদেরকে Chaebol বলা হয়। সরকার নীতি গ্রহণ করেছিল, দেশে কিছু সক্ষম কোম্পানিকে তারা বৃহৎ গ্রুপে রূপান্তরিত করবে। সেই অনুযায়ী তাদের পলিসিগত সাপোর্ট দিয়েছে। ওই সব কোম্পানির নিজেদেরও ইনোভেশন ছিলো। সরকারের সহায়তা পেয়ে তারা দেশটাকেই পরিবর্তিত করে দিয়েছে। এর যে কোন একটি কোম্পানির বাষির্ক টার্ন ওভার তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশের বার্ষিক বাজেটের চেয়ে বেশি। এর আগের একটা লেখায় বলেছিলাম, একটা দেশের আমদানির চেয়ে রপ্তানির পরিমাণ বেশি হলে সেদেশের উন্নতি নিশ্চিত। কোরিয়ার সেই কাজটি করে দিয়েছিল বৃহৎ গ্রুপ অব কোম্পানিজগুলো। মানুষ সরকারি চাকরি নয়, ওই সব কোম্পানির চাকরি বেশি প্রেস্টিজিয়াস মনে করে। এখনো লাখ লাখ মানুষ সেসব কোম্পানিতে চাকরি করে। আমরা স্যামসাং আর এলজির নাম জানি।

এরকম একটি কোম্পানির নাম কোরিয়ান এয়ার। ২০২০ সালে কোরিয়ান এয়ারের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ২৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা এসময় সরকারি মালিকানাধীন ছিল। তবে ১৯৬২ সাল থেকে হানজিন গ্রুপ এটি কিনে নেয়। কোরিয়ান এয়ার হনজিন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। হানজন গ্রুপের মালিকের মেয়ে চো হিউন-আ কোরিয়ান এয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। একবার চো হিউন আ নিজেদের বিমানে কোথাও যাচ্ছিলেন। এক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাকে বাদাম পরিবেশন করেন। তার পছন্দমতো না হওয়ায় প্লেটসহ বাদাম ছুড়ে মারেন। এঘটনায় মিডিয়া তাকে ‘নাট রেজ’ আখ্যা দেয়। এই গ্রুপের মালিকের পরিবারের সদস্যদের কিছু কর্মকান্ড নিয়ে ২০১৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি সিএনএন ‘কালচার অব অ্যাবিউজ অ্যান্ড ভায়োলেন্স অ্যাট দ্য হার্ট অব সাম অব সাউথ কোরিয়ানস বিগেস্ট কোম্পানিজ’ একটা নিবন্ধও প্রকাশ করে। যাই হোক এ পরিবারের সদস্যদের এসব ঘটনার বিচারে সাজার বিষয়ে কোরিয়ার মানুষ দ্বিধাভিভক্ত হয়ে যায়।

কোরিয়ায় কোন সেক্টরে কারা কাজ করতে পারবে তা ২০০২ সালের একটি কর্ম ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম নীতির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কেউ গৃহে অথবা সার্ভিস সেক্টরে কাজ করতে চাইলে তার এফ-৬ অথবা এফ -৪ ভিসা থাকতে হবে। এফ-৬ ভিসা কোরিয়ান কোন নাগরিক বিয়ে করলেই পাওয়া যায়। আর এফ-৪ ভিসা পেতে হলে বিদেশী নাগরিক হলেও জাতিগত কোরিয়ান হতে হয়। এর বাইরে কাউকে দিয়ে বাসায় কাজ করালে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ২০ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন পর্যন্ত জরিমানার বিধান করা হয়। কোরিয়ান এয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওই বিধিটা কৌশলে ভেঙ্গেছিলেন। তিনি কোরিয়ান এয়ারের ফিলিপাইন অফিসের দশজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে সিউলের বাসার কাজে নিয়োজিত করেন। এটা ধরা পড়তে সময় লাগেনি। কোরিয়ান এয়ারের মতো কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে বিদেশি মেয়েকর্মীদের তার ঘরে কাজ দিয়েছেন বলে মাফ পেয়ে যাবেন এমনটা হওয়ার নয়। কোরিয়ান কায়দায় মাফ চেয়েছিলেন। কিছুতে কাজ হয়নি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অপরাধের মাত্রা নিয়ে তার পক্ষেও জনমত গড়ে ওঠে। কেউ কেউ বলতে চাইছিলেন, এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হানজিন গ্রুপের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। তার অপরাধটা যেন হালকা করে দেখা হয়। এসবে কোন লাভ হয়নি। বিচারে তার দুই বছরের সাজা হয়। তদন্তে দেখা যায়, ওই কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্টের দুটো সন্তান যাতে ইংরেজি শিখতে পারে, সেকারণেই ফিলিপিনো স্টাফদের হাউজকিপার হিসেবে নিয়োজিত করা হয়েছিল। ফিলোপিনো মেয়েরা ভালো ইংরেজি বলতে পারে। কোরিয়ার ইংরেজি শিক্ষার প্রতি ক্রমবর্ধমান যে হুজুগ তা ঘটনাটা আবারও সামনে এনে দেয়।

যাই হোক, এটাই কোরিয়া। কোরিয়ান এয়ারের মালিক তো পরের কথা, স্যাস্যাংয়ের মালিককেও জেল খাটতে হয়েছে। তিনি ধর্মঘটৈর ডাক দলে, স্যামসাংয়ের কর্মীরা রাস্তায় নামলে গোটা কোরিয়া অচল হয়ে যেতে বাধ্য। তবে কোরিয়ায় এটা সম্ভব নয়। এটাই আইনের শাসন। প্রফেসর বলছিলেন, কোরিয়র উন্নতির পেছনে আসলে বৃহৎ শিল্প; না কী কেউ অপরাধ করলে মাফ নেই, সে যেই হোক না কেন- কোনটা বড় ভূমিকা পালন করেছে তা মোটদাগে বলা মুশকিল। তবে এই আইনের শাসনই যে বড় গ্রুপ অব কোম্পানিজগুলোকে সফল করেছে তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

দুই:
কোরিয়ান এয়ারের মালিকের বিষয়টা ডালভাত। দেশটির সাবেক দু্ই প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে কারাবন্দী আছেন। এদের একজন পার্ক গিউন হি বর্তমান প্রেসিডেন্টের আগের মেয়াদে ছিলেন। তার অপরাধ শুনে আমি হেসে ফেলেছিলাম। তার বান্ধবি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল। বান্ধবির মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব খাটিয়ে ভর্তি করেছে। বান্ধবির কাছে প্রেসিডেন্টের ভাষণের কপি পাওয়া গেছে। দল চালাতে স্যামসাং থেকে অনুদান নেয়া হয়েছে। অথচ তার বাবা পার্ক চুন হি ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভাগ্যের কারিগর। সাবেক প্রেসিডেন্ট। সাবেক আর্মি অফিসার।কোরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত। খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশ গঠনে কাজ করেছেন। তার গৃহীত নীতিমালা কোরিয়ার ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। ওই যে বলছিলাম, বৃহৎ শিল্পগ্রুপ তৈরি করার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। আরেকটা না বললেই নয়, কোরিয়ার বেশিরভাগ প্রফেসর আমেরিকা থেকে পিএইচডি। তাও একটি নীতির আলোকে। প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে। কোরিয়ানরা তখন খেতে পেতোনা। আর তিনি ছাত্রদের ধরে ধরে সরকারি খরচে পিএইচডি করতে আমেরিকা পাঠিয়েছিলেন। হাজারে হাজরে। তারা দেশে ফিরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এখন বিশ্বের সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় কোরিয়ার ৫০-১০০ টি বিশ্ববিদ্যলয়ের নাম। একদিকে অর্থ আসছে, অন্যদিকে মানসম্মত শিক্ষা। একটা দেশ এগিয়ে যেতে আর কী লাগে। বাকীগুলো আপনা আপনি উন্নত হয়ে গেছে। আমি ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি পড়তে গিয়ে তাদের নীতিমালার হারমোনাইজেন দেখে বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে পারিনি। প্রফেসর বলেছিলেন, কোন জাতি চাইলে মালয়শিয়া হতে পারে, দক্ষিণ কোরিয়া হওয়া সম্ভব নয়। কারণ এখন আর সেই সময় নেই। কোন কালে কোন জাতি এমন ম্যাজিক দেখাতে পারেনি। যার হাত ধরে বিশ্বকে এমন একটা প্রাকৃতিক সম্পদবিহীন শ্রমিকের জাতি সগৌরবে মাথা তুলে দাড়িয়েছিল, তার মেয়েকে ভালোবেসে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিল। তাকে সাধারণ ক্ষমা করলে কোরিয়ানদের অাপত্তি থাকবেনা। কিন্তু আইনের শাসন। কে কী, কে কার মেয়ে তা দেখার বিষয় নয়। এ বছর সুপ্রীম কোর্ট থেকে তার ২০ বছরের করাদণ্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। বাবার জনপ্রিয়তা তার মেয়ের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকাই রাখেনি।

পার্ক গিউন হি’র আগের প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাককেও ক্ষমতা ছাড়ার পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে ঘুষ, আত্মসাৎ এবং কর ফাঁকির অপরাধে গ্রেফতার করে বিচার শেষে ১৭ বছরের সাজা দেয়া হয়। যতটুকু জানি তিনিও বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন৷

লি মিউং বাক-এর আগের প্রেসিডেন্ট রো মো হিউন ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা ছাড়েন। ৮ ডিসেম্বরেই তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে দাইয়ু কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশি টাকায় দুই লাখ টাকার মতো অবৈধভাবে গ্রহণের দায়ে সাজা দেয়া হয়। আর রো মো হিউনের বিরুদ্ধেও সরকারি ফান্ডে অনুদান গ্রহণ ও সেখান থেকে পারিবারিক খরচে ব্যয় করার অভিযোগ আনা হয়। তিনি অবসরের পর গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর বাড়ির পেছনে পাহাড়ে উঠে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। একটা সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল-সবার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার জন্য ব্যথিত হয়োনা। জীবন মৃত্যু কী প্রকৃতির অংশ নয়?

যেদেশে প্রেসিডেন্টদের এই অবস্থা, বাকীদের কী হতে পারে তা বলাটাই বাহুল্য। অহেতুক লেখাটা কলেবড়ে বাড়ানোর কী দরকার!

কাজী সায়েমুজ্জামান
২৭ এপ্রিল ২০২১
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৩
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×