somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সঠিক সময় পাল্টা আঘাত দেওয়ার,শুরু হোক প্রতিবাদ, গড়ে উঠুক প্রতিরোধ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভাই সকল নারী মানেই কিন্তু এক পিন্ডি মাংসের টুকরা নয়, যেখানে সেখানে দেখা মাত্রই লালা ঝাড়াবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী গেটে বাংলা নববর্ষের সুন্দর মুহুর্তে আমার দেশের মেয়েদেরকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করেছে আমাদের পশু সমাজ। মেয়েদের উড়না টেনে ছিড়ে পোষাক খুলে উলঙ্গ করে দিয়েছে নরপশুর দল। আশেপাশে বাকি ছাগলের বাচ্চা গুলা ভুভুজেলা বাজিয়ে উল্লাস করেছে, কেউ কেউ আমার ইউটিউবে দেওয়ার জন্য মোবাইলে ছবি আর ভিডিও করতেছে। তাহলে বাংলাদেশ কি সত্যিই এতটায় নিচে নেমে গেল যেখানে মেয়েদের রাস্তায় বের হওয়া পর্যন্ত মানা।


‘‘ হে নুনুভূতি ওয়ালা ভাইসব! বোরকা আমি পড়লাম, কিন্তু বোরখায় উপর দিয়ে আমার শরীরের ভাঁজ খোঁজা তোমার বন্ধ হবে তো ? ’’

আবার কতগুলা ধমার্ন্ধ পশু বলে বেড়াচ্ছে চারুকলা বিভাগ নাকি এখন হিন্দুকলা বিভাগ। আমার তো মনে হয় না, তারা তাদের বাপের পেয়ারের দেশ ফাকিস্তানকে ভুলতে পারছে। বসবাস করে এই দেশে কিন্তু মায়া কান্না করে বাপের দেশের। এই দেশে আমাদের নিজেদের বাঙ্গালিয়ানা সংস্কৃতি বলে যে কিছু একটা আছে সেটা হয়তো ধর্মান্ধ মাথা মোটা জঙ্গিদের অজানা। যদি জানা থাকত তাহলে এমন কথা তো মুখে নিত না।


‘‘আমার পোষাক নয়, বরং তোমার নজর ঠিক করো ’’
যদি এমন চলতে থাকে তাহলে দেশটাতে কেউ আর লাল,হলুদ,কিংবা সাদা শাড়ি, লাল,সাদা, হলু পাঞ্জাবী পরে বার হবে না রাস্তায়। কেউ আর কখনো হাত ভত্তি লাল,নীল, হলুদ,বেগুনী রঙ্গের চুড়ি পরে সাঁজতে যাবে না। কেউ আর কখনো কালো, সাদা, লাল, হলুদ করে কপালে টিপ ও দিবে না।


‘‘নতুন বছরে এক হাত চুড়ি হাতে কারো জন্য অপেক্ষায় বাংলাদেশের ললনা’


‘‘চুড়ি গুলার চাইতে চুড়ি ওয়ালির হাতের প্রেমে আমি নিজেই মুন্ধ অপলক নয়নে তাকিয়ে আছি। বার বার চুড়ি ওয়ালির প্রেমে পড়তেছি। এক হাত রঙ্গীন চুড়ি হাতে কোন এক সন্ধ্যা বেলায় সে ও কারো জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণতেছে বসে বসে’’

কেউ আর মজা করেও বছরের একটি দিনে পান্তা ইলিশ খাবে না। কেউ আর মাথায় নানান রকমের ফুল দিয়ে সাজতে যাবে না। কেউ আর বলতে সাহস পাবে না "শুভ বাংলা নববর্ষ" সবাই কালো কালো বোরকা পরে দেশটারে পুরাই আফগানিস্তান বানাইবে। তখন তালেবান হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের বর্তমান তরুন সমাজ।


‘‘ভীড় দেখিলেই নারী দেহ ছুঁতে মন টা করে হাঁসফাঁস
এই.. তুমিই তো বেশ সযত্নে নারী দেহে ছিলে দশ মাস’’
আর তত দিনে ইয়ে মানে আমরা সুশীল সমাজ আঙ্গুল পশ্চাৎ দেশে দিয়ে চুলকাইতে থাকি। চুলকাইতে চুলকাইতে লালে লাল করে ফেলি । সেই দিন আর বেশি দিন নাই রে, হয়তো একদিন এমনো অবস্থা হতে পারে আগামীতে আপনার,আমার,সকলের মা, বোন, বউ, ভাগনীদের কে রাস্তায় ফেলে বিবস্ত্র করা হবে। রাস্তায় যাওয়ার পথে করবে, স্কুল কলেজের সামনে করবে, শেষে বাড়িতে গিয়ে ঢুকে করবে তাও আবার আপনার চোখের সামনে, আর তখন বাকিরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবে মজা নিবে। আপনি তখনও কিছুই করতে পারবেন না, কারন এর আগেও আপনি দর্শকেরে ভূমিকায় ছিলেন এখনো আছেন বাকিরাও থাকবে। এইভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকবে যদি না প্রতিরোধ এখনি না করি। সাপকে নিয়ে খেলা করতে নাই। ওরা হচ্ছে সমাজের কাল সাপ তাই তাদের বিষ দাঁত এখনি ভেঙ্গে দেওয়া উচিত। তা না হলে সাপের বংশধরে মারা যাবে আমাদের প্রাণ প্রিয় এই দেশের আমাদের নিজস্ব বাঙ্গালিয়ানা দেশীয় সংস্কৃতি।


‘‘ অশ্লীলতা আমার পোষাকে নয়, তোদের মনে, সময় থাকতে জানোয়ার থেকে মানুষ হতে চেষ্টা কর ’’
আপনিও প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন। আমি প্রতিবাদ করতেছি। আপনিও করুন, হোক প্রতিবাদ প্রতিটা ঘরে ঘরে, প্রতিটা মহল্লাতে, প্রতিটা এলাকায়, প্রতিটা গ্রামে গঞ্জে। কলঙ্ক মুক্ত করতে নরপশুদের ধরিয়ে দিয়ে আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করুন। তারা আর যাই হোক তাদের একটায় পরিচয় তারা নরপশু, তাই তাদের ধরিয়ে দিয়ে রক্ষা করুন স্বাধীন বাংলার মান। মনে রাখবেন, পশুত্ব আর পুরুষত্ব এক নয়।


‘‘ আমাদের কাপড় ঠিক করতে বলার আগে, নিজের চরিত্র ঠিক করো’
এই নুনুভূতিওয়ালা লোকজনের জন্য কুঙ্গদা'র কথাটাই বলতে হয়...



‘‘ওড়নার প্রয়োজনীয়তা নারীর চাইতে পুরুষের বেশি— ইমানদন্ড ও অন্ডকোষ টাইট করে বেঁধে রাখার জন্য ৷
সুতরাং, ওহে ভাইয়া ওড়না গলায় না দিয়া ধোনে দেন, কামে দিব’’

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×