somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যখন কেউ বলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক ভাল আছে, তখন গালে জুতার বাড়ি দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে-

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যখন কেউ বলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক ভাল আছে এখানে। তখন তাদের মুখে জুতার বাড়ি দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে- আমরা ভাল আছি মানে, আমরা কি কারো দয়াতে বেঁচে আছি ? যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছিল আমাদের পূর্ব পুরুষেরা। জাতে সবাই বাঙ্গালি ছিল।


এখানে সব ধর্মের মানুষ ছিল। সংখ্যাগুরু হিসাবে যেমন সুযোগ সুবিধা, আমারো একি সমান অধিকার। কারন দেশটা স্বাধীন হয়েছিল ধর্মের উপর ভিত্তি করে নয়, অসমাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসাবে। যদি সন্দেহ হয় যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের জিজ্ঞাসা করেন উত্তর পেয়ে যাবেন। রক্ত এ দেশের জন্য সকলে দিয়েছে, ডোম-মেথর-হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিষ্টান-উপজাতি সবাই। রক্ত দিয়েছিল এই দেশ স্বাধীন করতে, দরকার হলে আরো দিবে। আপনার জাতে মুসলমান ইয়াবা ব্যবসায়ী রোহিঙ্গারা এসে রক্ত দেয় নি। কিংবা দিবেও না। কারন তারা এ দেশের নাগরিক নয়, দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।


বাংলাদেশে বড় দুই আর্থিক সহায়তা কারি দেশ জাপান এবং চীন। যাদের বিরাট অংশ ধর্মে বৌদ্ধধর্মালম্বী। বাংলাদেশের উন্নয়নে যদি তারা পাশে না থাকে, পিন্দনের কাপড় থাকবে না পাছায়। পাছায় যদি কাপড় দেয় চীন, জাপান দিচ্ছে ট্যাবলেট ব্যবসায়ী রোহিঙ্গারা নয়। সহায়তা কিংবা ভিক্ষার সময় জাপান ভাল, চীন ভাল, যখন সহায়তা শেষ তাগো মায়েরে বাপ। বাঙ্গালির স্বভাবটা আজকের নয়। যে পাতে খায় সে পাতে পায়খানা করে দিয়ে আরেক জনের ভাতের থালা নষ্ট করে । যে দেশে মুজিবের মত মানুষকে মারা হয় সে দেশে সব কিছুই সম্ভব।


সত্য কথা বলতে লজ্জা কোথায় ? আপনার বাবা রাজাকার ছিল, আপনি তো আর রাজাকার না! আপনার বাবা ধর্মান্ধ, আপনি তো না। আপনার বাবা ডাকাত আপনি তো ডাকাত না!

অশান্তিতে সংখ্যালঘুরা থাককে কেন ? তারা কি সেনা ক্যাম্পে গিয়ে সেনাদের হত্যা করেছি ?নাকি মসজিদ ভেঙ্গেছিল, নাকি সংখ্যাগুরুদের অত্যাচার করেছিল বাংলাদেশে কিংবা করতেছে ? রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অন্যায় করেছে, যার কারনে আজকে সাধারণ মানুষের এমন নির্মম অবস্থা। গুটি কয়েক সন্ত্রাসীদের জন্য গোটা রোহিঙ্গা জাতি কষ্ট পাক সেটা কেউ কখনো চাই না। তবে আমাদের দেশে এমনটা হলে কি বলতেন কিংবা আমাদের সেনাবাহিনী কি করতেন ? নয়জন বর্ডার পুলিশকে হত্যা করেছে। আর্মি ট্রাকে হামলা করেছে। তারপর এই ঘটনাটা (সেনা অভিযান) ঘটেছে।” নানান রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত রোহিঙ্গারা। নিজেদের কু- কর্মফলে নিজেরা মরতেছে।


বাংলাদেশে এখানকার বিচার ব্যবস্থা কিংবা দাঙ্গা, মসজিদে আগুন দেওয়ার জন্য আমরা দায়ী থাকতে পারি, সেটার দায় ভার আমরা নিব। মিয়ানমার কিংবা ভারত আমার কে হয় ? এই যে বাংলাতে কথা বলেন, বাংলাতে দুই লাইন গড় গড় করে প্রতিবাদ করেন, এ সব কিছুর পিছনে আমাদের বৌদ্ধদের অবদান। চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম কাব্য তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনা এটি। খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলি রচনা করেছিলেন। যদি মনে সন্দেহ থাকে তো ইতিহাস দেখুন, আর নয়তো গুগুলে গিয়ে উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষে সার্চ দিয়ে দেখুন "চর্যাপদ" উত্তর পেয়ে যাবেন।


রোহিঙ্গা নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ বলতে চান না কফি আনান।
সুতরাং, তিনি তো চা খান না কফি খান, সো এইবার তারে নিয়া গালি পারেন। লোকটা খুব খারাপ , খুব বেশিই খারাপ। তাই নিজে গিয়ে রোহিঙ্গা নির্যাতনের দৃশ্য দেখে আসলেন। তিনি তো আর রোহিঙ্গাদের দালাল নয়, ওদের পক্ষে বলে নাই বলে এখন তিনিও খারাপ! খারাপ সবাই যদি সত্যেটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এমন কি আমিও খারাপ। আমিও অসাম্প্রদায়িক।


সাধারণ রোহিঙ্গারা এ ঘটনায় দায়ী নয়, হত দরিদ্র মানুষ গুলা না বুঝে জঙ্গী অপরাধ মুলক কাজ করে। যার কারনে আজকে তাদের এমন নিমর্ম পরিণতি। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি, তাই বলে তাদের সাথে এ দেশের সংখ্যা লঘুদের সাথে তুলনা করা মানেই হাস্যকর ব্যপার সেপার।


আমি জানি এই লিখাটা উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতো। ধর্ম নিয়ে লিখতে একেবারে মন চায় না, যখন দেখি মিথ্যার দাবানলে সত্যে হারিয়ে যায়, তখন চুপ থাকতে না পেরে লিখতে বসা। যদি আমার এই লিখাটা দিয়ে যদি একজন মানুষেরও চোখের কালো পর্দাটা সরাতে পারি, তাহলেই আমার স্বার্থকতা।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২০
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×