দাতা দেশ গুলার তুলনায়, বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি অনুদান এই পর্যন্ত যারা করেছে তাদের ছাড়িয়ে রেকর্ড পরিমাণ অনুদান দিয়েছে এই বৌদ্ধদের দেশ জাপান।
এক হাতে ভিক্ষা নিয়ে, আবার সেই হাতে বৌদ্ধ মূর্তি ভাঙ্গা হয়, ভাত খেয়ে, ভাতের থালাকে লাথি মারা হয়, বৌদ্ধদের তাড়িয়ে দিয়ে অশিক্ষিত মূর্খ বর্বর রোহিঙ্গাদের স্থান দিতে চায়! আমাদের দেশের সেই সব বাংপাকি, যারা একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস হয়ে, ভাইরা ভাই নীতিতে নিজের দেশের গলা কেটেছে তারাই আজকে রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়ে বৌদ্ধদের তাড়াতে চায়!
বৌদ্ধদের টাকায় বাংলাদেশের রাস্তা,ব্রীজ, সেতু, রেল, বিমান, হতে শুরু করে সাবমেরিন ইত্যাদি সেক্টরে অনুদান দিয়ে যাচ্ছে বৌদ্ধ প্রতিরূপ দেশগুলা। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে এখনো সহায়তা করে যাচ্ছে। আর অকৃতজ্ঞ বাঙ্গালি তাদের ও গালি কিংবা আঙ্গুল তুলে কথা বলতে ছাড়ে না। বার্মার জন্য, পৃথিবীর অন্য বৌদ্ধধর্মালম্বীরা দায়ী নয়। ওটা বার্মার সমস্যা, সমগ্র বৌদ্ধদের নয়।
ওরা কারা, যারা তাদের নিয়ে খুব উচু গলায় গর্ব করে গর্ভবতী হয়, যাদের নিয়ে গর্ব করে, তারা কানা কড়িও দেয় না ! দেশ স্বাধীন একা তারা করে নি, কিংবা বার্মার রোহিঙ্গারা এসে করে নি! সবাই একসাথে করেছে, দেশ স্বাধীন করেছে বাংলাদেশীরা, আর সেখানে সব ধর্মের মানুষ ছিল।
আজকের জাত ভাই রোহিঙ্গারা ৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল, দেশটাকে আরাখান সহ পূর্ব পাকিস্তান করতে সত্যে কথা সব সময় তিতা হয়। দেশটাতে ছাগলে ভরে গেছে, তাই তাদের মাথা হতে ভাল কিছু আশা করা যায় না, এতই যখন দরত দুই চারটা করে রোহিঙ্গাদের নিজেদের বাড়িতে আশ্রয় দিক, মোটা তাজা করুক কয়েক বছর যাক, তারপর বুঝবে রোহিঙ্গা কি জিনিস! তারা যে সুযোগ পেলে দেশটারে আবার পাকিস্তান বানাবে এটাতে কোন সন্দেহ নাই!
সন্ত্রাসী যে দেশের হোক, যে জাতি হোক, তার পরিচয় সে সন্ত্রাসী। ধর্মের দিক বিবেচনা করে জাত ভাই বলে মায়া করার দরকার টা কি! মায়ের পেটের ভাই এরশাদ শিকদার কিংবা বাংলা ভাই ও হতে পারে। রক্ত যদি খারাপ হয়, খারাপকে খারাপ আর ভাল কে ভাল বললে জাত যায় না। যারা সন্ত্রাসীদের সাপোর্ট করে, তারাও সম অপরাধী। ধর্ষণ যে করে, কিংবা যারা ধর্ষকের হয়ে কথা বলে, তারাও ধর্ষক, তারাও অপরাধী।
যে সকল ভাইপ্রীতি দেশ রোহিঙ্গাদের অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দেয়, তারা যদি সে টাকা দিয়ে তাদের জন্য বিদ্যালয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যয় করতো, তবে রোহিঙ্গাদের জীবন অনেকটা পাল্টে যেত।
বৌদ্ধ প্রতিরূপ দেশ বার্মা এ দেশের বৌদ্ধদের কেউ হয় না! সেই দেশে গিয়ে রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে না যে, তার দায় ভার এ দেশের বৌদ্ধরা নিবে! এ দেশের বৌদ্ধরা বাংলাদেশী এটাই তাদের বড় পরিচয়, দেশটা আমাদের। এখানে যদি তাঁরা মসজিদে আগুন দেয়, আর্মি ক্যাম্পে হামলা করে, বাংলাদেশ সরকারের বিপক্ষে কথা বলে, তখন তার দায় দায়িত্ব বৌদ্ধরা নিবে! অন্য দেশের ঝামেলার জন্য তাদের মায়া কান্নাও নাই, ভারতের সাথে চীনের যুদ্ধ দেখার তাদের শখ নাই! তারা এই দেশে যেমন আছে তেমনি থাকবে। ঘরের ভাত খেয়ে, বনের মোষ তাড়ানোর স্বভাব বৌদ্ধদের নাই।
ধ্বংসাত্মক এই লীলাভূমির শিশুটিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খুন করে নি, ইয়েমেনের এই নিরপরাধ দুধের শিশুটিকে বোমারু বিমান হতে ছুড়ে দেওয়া বোমার আঘাতে মেরেছে সৌদি জোট সেনাবাহিনী।
" ধর্মে মুসলিম বলেই রোহিঙ্গারা হত্যা ও নির্যাতনের শিকার" এটি একটি ডাহা অপপ্রচার।
মায়ানমারের মোট জনসংখ্যার ধর্মীয় ভিত্তিতে ৩.৪% লোক মুসলিম। আবার জাতিগত ভিত্তিতে মোট জনসংখ্যার ৪% রাখাইন। রাখাইন রাজ্যে মুসলিমের বসবাস আনুমানিক ২০%। যা দেশের টোট্যাল জনসংখ্যার ০.৮৯% প্রায়। তারমানে টোট্যাল ৪..৩% মুসলিমদের ভেতর ০.৮৯% লোক নির্যাতন, উচ্ছেদ ও হত্যাকান্ডের শিকার। বাদবাকি মুসলিমগন অন্যান্য রাজ্য সমূহে বহাল তবিয়তে পর্যাপ্ত সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে আছেন।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ রোহিঙ্গাদের বিষয়টা ধর্মীয় ইস্যু নয়,এটা ওদের জাতিগত সমস্যা! এ ছাড়াও ১৭ টা জাতিগত সমস্যা রয়েছে বার্মাতে। কিন্তু এক শ্রেণি র মানুষ জোরপূর্বক এটা কে ধর্মীয় ইস্যু বানানোর চেষ্টায় তৎপর। মিয়ানমার বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বলে, এ দেশে বৌদ্ধরা আছে বলেই তাদের এত জ্বালাপোড়া!
কিন্তু সেই সব ভাইরা ভাই যখন ইয়েমেনের মুসলামানদের সৌদির সেনাবাহিনী মারে, আজ পর্যন্ত একটা প্রতিবাদ সমাবেশ তো দূরের কথা, ওদের বিরুদ্ধে একটা কথাও কাউকে বলতে দেখি নাই। তারা আসছে রোহিঙ্গাদের সমবেদনা নিয়া! মানবতা সবার জন্য থাকতে হয়, একক ভাবে নয়! মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আন্দোলন, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করে ? কখনো কি একবারো সৌদির অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে ? ইয়েমেনের মানুষ গুলাও ধর্মে ইসলাম, কই তাদের জন্য তো কখনো সমবেদনা করে না তারা!
বক ধার্মিকতা কেবল রোহিঙ্গাদের নিয়ে, ইয়েমেনিদের জন্য কিছুই নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭