somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

# আমার ফজর সালাত

০৩ রা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনি জানেন সকালটা আসলে কাকে পুরস্কৃত করে?
যে মানুষটি আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়, ঘুমের আরাম ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, সেই মানুষকেই।

অনেকেই বলে — “উঠতে পারি না।”
কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমরা যেটাকে প্রাধান্য দিই, সেটার জন্যই জেগে উঠতে পারি।
ফ্লাইট ধরতে হলে, চাকরির ইন্টারভিউ থাকলে, কিংবা প্রিয় দলের ম্যাচ থাকলে — এলার্ম না দিয়েও উঠে যাই!
তাহলে ফজরের সময় কেন পারি না? কারণ এখনো আমাদের প্রাধান্যের তালিকায় আল্লাহ সবচেয়ে উপরে নেই।

চলুন দেখি, ফজর মিস করলে আসলে কী কী হারাচ্ছেন—

১. আপনি দিনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়টা হারাচ্ছেন।
ভোরের সময় মস্তিষ্ক সবচেয়ে পরিষ্কার থাকে, মন শান্ত থাকে। এ সময়ের উৎপাদনশীলতা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

২. বরকতের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন নিজেই।
ফজরের পরের সময়টাই হলো বরকতের সময়। যত কাজই করুন, যত টাকা রোজগারই হোক, বরকত না থাকলে প্রশান্তি পাবেন না।

৩. আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হারাচ্ছেন।
ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়া মানে আপনি ঘোষণা দিচ্ছেন— “আমি আপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি, হে আল্লাহ।” এই অনুভূতি যতটা পবিত্র, ততটাই শক্তি জোগায় সারাদিনের জন্য।

এখন প্রশ্ন: কিভাবে উঠবেন?

প্রথমত, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ইশার নামাজের পর ফোন নামিয়ে রাখুন। রাত ১১টার পর জেগে থেকে ফজর মিস করার দায় নিজেকেই নিতে হয়।

দ্বিতীয়ত, এলার্মের অবস্থান বদলান। বিছানা থেকে দূরে রাখুন, যাতে উঠেই বন্ধ করতে হয়।

তৃতীয়ত, একজন সঙ্গী খুঁজে নিন। একে অপরকে কল দিন, মনে করিয়ে দিন। একা না, একসাথে লড়াই করুন। এতে অনুপ্রেরণা টিকে থাকে।

চতুর্থত, নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। প্রথম কয়েকদিন কষ্ট হবে, তারপর শরীর অভ্যস্ত হয়ে যাবে। ধৈর্য ধরুন।

পঞ্চমত, চোখের সামনে রিমাইন্ডার রাখুন। আয়নায়, ফোনের স্ক্রিনে লিখে রাখুন:
“ফজর মিস মানে দিন মিস।”

আজ রাতেই সিদ্ধান্ত নিন— কাল ফজরের সময় উঠবেন, ইনশাআল্লাহ।
একবার এই অভ্যাস তৈরি হলে আপনার দিন বদলে যাবে, জীবন বদলে যাবে, দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই আলোকিত হবে।

ফজর শুধু নামাজ না—
ফজর মানে শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, শান্তি আর সাফল্যের সূচনা।

নিজের সাথে এরাদাঃ--
এখন থেকে উঠবো প্রতিদিন ফজরে।
ইনশাআল্লাহ।

------RabAh ✍️
#RabAhsকাব্যকথা
#RabAhsmovment
----৩১১২০২৫ ইং
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×