অচেনা মানুষের প্রতি অচেনা মানুষের মায়া মমতা সিম্প্যাথি কমই কাজ করে যদি না সে নরম মনের মানুষ হয়, রুক্ষ এই সমাজে কে কার প্রতি মায়া দেখাবে, দীর্ঘদিন যে পরিবারের সাথে মানুষ বড় হয় সময়ে সেই পরিবারকেই অস্বীকার করে নতুন প্রজন্মরা, এতে কার কি করার থাকে, যার মুখ তার সাথে সেই মুখ দিয়ে দুই চারটা অতি অশালীন কথা বের হলেও কিছুই করার থাকেনা।কাজেই এই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না করাই ভালো যে প্রতিপক্ষের মুখ থেকে নোংরা মন্তব্য শুনতে হয়।
বনানী দিয়ে গুলশান ঢোকার রাস্তাটা অথবা নতুন বাজার দিয়ে অথবা মহাখালি দিয়ে অথবা নদ্দা দিয়ে গুলশান ঢোকার রাস্তা সারাক্ষন মানুষের ব্যাস্ত পদচারনা, কারো দিকে কারো ফিরে তাকাবার সময় নাই। এই রাস্তাগুলা এমন যে বেশিরভাগ শুধুমাত্র চাকরিজীবী আর ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা সকালে দৌড়ানোর মত করে হাঁটতে থাকেন। কে স্টুডেন্ট আর কে ইমপ্ল্রয়ী কীভাবে বুঝবেন? স্টুডেন্টদের হাতে বইখাতা না নিলেও মোবাইল আর কানের মধ্যে গুঁজে রাখার জন্য হেডফোন অবশ্যই থাকে। ইমপ্লয়ীদের সেটা থাকেনা তারা থাকেন মার্জিত পরিষ্কার ধবধবে পোশাকে।
আমি সব এরিয়া দিয়েই গুলশান ঢুকি যখন যে দিকের গাড়িতে চড়তে পারি সেই দিক দিয়েই যাই, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর গুলশানের নিরাপত্তা আরো জোরদার করায়, চেকপোস্টের কার্যক্রম জোরদার করায়, প্রায়ই সাধারণ জনগণের সাথে পুলিশের ক্যাঁচাল চোখে পড়ে।
পুলিশ যদি বলে ভাই দাঁড়ান ব্যাগের চেইন খুলেন একটু চেক করি কিংবা ম্যাডাম আপনার ব্যাগে খুলেন দেখি, ব্যাস একদল ঝগড়া পার্টি প্রচণ্ড তর্ক জুড়ে দেয় তখন, পুলিশদের ভেতরে যারা একটু বোকা ওরা তখন প্রফেশনাল ব্যাবহার ভুলে পাল্লা দিয়ে ঘরোয়া ঝগড়ায় মেতে ওঠেন এবং ফলাফল স্বরূপ যত দোষ নন্দ ঘোষের পড়ে, জনগণ তখন হয়ে যায় সাধু সন্ন্যাসী অশরীরী আর সব দোষ পুলিশ নামক খারাপদের।
হলি আর্টিজানে আক্রমণ করার জন্য যেই পরিমান অস্ত্র ওরা গুলশান সাপ্লাই করেছিলো তা সহজেই হয় নাই, কিংবা এক দুদিনেও হয় নাই, দীর্ঘ সময়ের প্লান এবং পার্সেল। তখনো নিরাপত্তা ছিল, গার্ড ছিল এবং এসবের ফাঁকফোকর দিয়েই তারা সেই অস্ত্র নিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। কাজেই চোরের মার বড় গলা ধরণের মানুষকে পুলিশ চেকের নামে হয়রানী করছে কথাটা সব সময় সঠিক নয়।
কোন জ্বালাময়ী মন্তব্য চাচ্ছি না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬