somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ বেলা বারোটা

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সুইসাইড নোটটা হাতে নিয়ে হারুন সাহেব কাঁপছেন উনার মেয়ের হাতের লেখা-

‘বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, স্ব-ইচ্ছায় এই জীবন থেকে চলে গেলাম, আমায় যত দ্রুত পারা যায় ভুলে যেও, তোমাদের তো আরেকটি ছেলে সন্তান আছে তাকে নিয়ে সুখী হও।‘’

নোট পড়ে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতন স্তব্ধ হয়ে গেলেন কয়েক সেকেন্ড উনি, দৌড়ে গেলেন মেয়ের রুমে, দরজা ধাক্কা দিতেই খুলে গেলো, থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে ভেতরে উঁকি দিলেন।

ফ্যানের দিকে যদিও উনার তাকাতে ভয় লাগছিল তবু সাহস করে আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে ভালো করে তাকালেন, নাহ কোথাও কিছু নেই।

মেয়ের রুম একদম খালি, ও যে হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে রোজ ভার্সিটিতে যায় সেটিও পড়ে আছে ড্রেসিং টেবিলে, মোবাইল ফোনও টেবিলেই রাখা যদিও ওটার সুইচ অফ, খুলে লাভ নেই যেহেতু ওটা সবসময় লক করেই রাখে, তবু হাতে নিয়ে দেখলেন একবার।

নিশিতা নিশিতা আনমনে দুইবার ডাকলেন মেয়ের নাম ধরে, কোথায় যেতে পারে তার অতি আদরের মেয়েটা।

এতক্ষনে হতে পারে ও বিষ পান করে কোথাও পড়ে আছে, কিংবা কোন গাড়ির নীচে ঝাঁপ দিয়েছে, যে কোন কিছুই হতে পারে।

আতংকে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে হারুন সাহেবের, নিশিতার মা ছোট ছেলে বাবুকে নিয়ে কোচিং ক্লাসে গিয়েছেন, এখন একা হারুন সাহেব কি করবেন কই যাবেন কিছুতেই কিছু ভেবে পাচ্ছেন না।

আজ সকাল থেকেই অজানা কারনে অস্থির বোধ করছিলেন তিনি, কি জানি কি হতে চলেছে;‌
মনে হচ্ছিল সে সময় একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসলে মাথা কিছুটা হাল্কা হতো কিন্তু অস্থির মন নিয়ে পুরোটা সময় পড়ে ছিলেন বিছানায়।

সকালের নাস্তা এখনো করা হয়নি, ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলেন বেলা বাজে এগারোটা পঁয়ত্রিশ মিনিট, হারুন সাহেব চেইন স্মোকার না হলেও এতক্ষনে অন্যদিন হলে দু-চারটা সিগারেট অন্তত জ্বালাতেন।

মেয়ের সুইসাইড নোট এক আকাশ আতঙ্ক নিয়ে তাকে ঝাঁপটে ধরে আছে, সে বুঝতে পারছে না কি করবেন।

কিছুক্ষণ আগে বিছানা থেকে নামতে গিয়ে দেখলেন এক পা অস্বাভাবিক ভুলে আছে, এটা কেন হয়েছে সে কিছুতেই অনুমান করতে পারছেন না, যেমন অনুমান করতে পারছেন না তার মেয়ে এমন কেন করতে গেলো, এরকম তো কোন ঘটনা তার জানা মতে ঘটেনি যে মেয়ে একেবারে আত্মহত্যা করতে যাবে।

কোন প্রেম ভালোবাসাও তো বোধহয় ছিল না মেয়ের জীবনে, কিংবা হয়তো থেকে থাকতে পারে তাকে হয়তো বলেনি কখনো, আজকালকার মেয়ে বলে কথা।
মাথার ভেতর ভুমিকম্পনের মতন কম্পন হচ্ছে, চিন্তায় চিন্তায় ছুটে বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি, সারা বাড়িতে, বাড়ির পেছনে, কর্নারে, সামনে, সবখানে খুঁজলেন, উপড়ে তাকাতেই ছাদের কথা মনে করলেন দৌড়ে ছাদে ও গেলেন।

কেউ নেই সেখানে, রাস্তায় বেরিয়ে এলেন, বাইরে আসতেই প্রথমেই মনে এলো রেললাইনের কথা, ওখানে বিকেলে নিশিতা প্রায়ই হাঁটতে যেত, অসাবধান বশত রাস্তা পার হতে গিয়ে কিছুদিন পর পরই বিভিন্ন পথচারী ট্রেনে কাঁটা পড়ে মরে যায় সেখানে, এমনকি নিশিতার মা ও একদিন রাগ করে রেললাইনে গিয়ে বসেছিল, ট্রেন এলে তাতে ঝাঁপ দিবে বলে, যত্তসব অলুক্ষনে জায়গা।

বাসা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রেইললাইন, পাঁচ মিনিটে পায়ে হাঁটা পথ, রিক্সা নিলে জ্যাম জটলা পেরিয়ে যেতে যেতে ১০ মিনিট লেগে যাবে, কাজেই সে হাঁটতে শুরু করলেন, অজানা ভয়ে হারুন সাহেবের বুক দুরু দুরু কাঁপছে।

দুই কদম এগোতেই নিশিতার মায়ের ফোন, বুক ধরাস করে উঠলো তার; নিশিতার কিছু কি ঘটেছে! হতে পারে তার আগেই নিশিতার মা জেনে গেছেন। রিসিভ করে কানে নিতেই নিশিতার মায়ের ঝাঁঝাঁ কণ্ঠস্বর

– দরজা জানালা খোলা রেখে কোথায় যাওয়া হয়েছে শুনি? কি এমন কাজ পড়লো যে আমাকে ফোন করে বলতে পর্যন্ত পারলে না, এখন যদি চোর ঢুকে সব খালি করে নিয়ে যেত? তোমার মাথায় কমন সেন্স বলতে কি কিছু নেই নাকি? নিশিতা কোথায়?

– নিশিতা?

– ওর কি দোষ ও তো ভার্সিটিতে চলে গেছে মে বি

– তুমি সকালে ওকে যেতে দেখেছো?

– হ্যাঁ দেখেছি তো

– ভার্সিটিতে যেতে দেখেছো?

– এভাবে প্রশ্ন করছো কেন? কি হয়েছে?

– না কিছু না ফোন রাখো, কথা বলতে বলতে রেললাইনের কাছাকাছি চলে এসেছেন হারুন সাহেব,

গাছগাছালির ফাঁক ফোঁকর গলে যতটুকু দেখা যাচ্ছে! সব ফাঁকা। দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভয় আতংক ঝেঁকে ধরেছে তাকে।

রেললাইনের উপর উঠে দাঁড়াতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে যেতে সামলে নিলেন নিজেকে কিন্তু ঘড়িটা কীভাবে যেন হাত থেকে খুলে পড়ে তখনই।

ওটা হয়তো ভালো করে পড়াই ছিল না হাতে, ভেঙ্গে গিয়েছে কিনা! কয়েক মুহূর্তের জন্য এই চিন্তা নিশিতার কথা ভুলিয়ে রাখলো তাকে, টিকটিক একটা আওয়াজ বের হচ্ছে ওটা থেকে, পড়ে যাবার জন্যই হয়তো ওটার সেটিংয়ে কোন পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে এতদিন ধরে ব্যবহার করছে এরকম টিকটিক আওয়াজ তো আগে শোনেননি, সময় দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট, বেলা বারোটা।

রাস্তা থেকে তুলে পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো ঘড়িটা এবং তারপরই হারুন সাহেবের চোখে পড়লো ব্যাপারটা, একটা ছোট ঝটলা, অদূরে।

কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, তারা স্বাভাবিক কিছু দেখছে বলে মনে হলো না, বুকের ভেতর কিছু একটা খাঁমচে ধরলো তার।

নিশি আমার নিশিতা, অস্ফুট আওয়াজ বেরিয়ে এলো গলা দিয়ে।

তার কিছু সামনেই ঘন কালো চুল আর আশ্চর্য নিষ্পাপ চেহারা নিয়ে রেললাইনের উপর পড়ে আছে নিশিতা, জীবিতকালে কেউ ওকে ওখানে শুইয়ে দিতে পারতো না বাজি ধরে বলতে পারবেন নিশিতার বাবা হারুন সাহেব।

ডান পাশের কাঁধ থেকে তেরছা করে পুরোটা বুক পর্যন্ত কাঁটা, বাকী অংশ দূরে চাকার সাথে পিষে গেছে। আহারে আহারে মাথা চেপে শুয়ে পড়লেন পাথরের উপড়ে।

লোকজন তাকে ধরে রেল লাইনের উপর থেকে নীচে নামালেন, ট্রেন চলে আসবে আবার যখন তখন, কয়েক সেকেন্ড পর, এলো ও সত্যি সত্যি! লোকজনকে উপেক্ষা করে আবার ছুটে যেতে চাইলেন নিশিতার কাছে, চিৎকার করে উঠলেন হারুন সাহেব নিশি ও নিশিরে কেন এমনটা করতে গেলি মা, কার উপর তোর এত অভিমান? ও নিশি?

ফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে তার , ঘড়ির কাঁটাও আশ্চর্যজনক ভাবে টিকটিক টিকটিক আওয়াজ তুলে যাচ্ছে।

হারুন সাহেবের কানে কিছু ঢুকছে না। চোখের সামনে মেয়ের কাঁটা ডেড বডি, বুক চেপে মাটিতে পড়ে থাকে সে, কারা যেন খবর দিয়েছে পুলিশে, তারা এসে বডির কাঁটা অংশ তুলছে একটা কাগজের পলিথিনে, নিয়ে যাচ্ছে পোস্ট মর্টেমের জন্য কিছু সাইন আর ফরমাল কথাবার্তা বলে লাশ ডেলিভারি দেয়ার টাইম দিয়ে চলে গেলো তারা নিশিতাকে নিয়ে।

টলমল পায়ে বাসায় ফিরেছে হারুন সাহেব কি যে বিচিত্র আর অদ্ভুত আর মিথ্যা লাগছে পৃথিবীটাকে।

গেটের কাছেই নিশিতার মা লুবনা দাঁড়িয়ে, কিছু কি আন্দাজ করেছে সে, কেমন শুকনো মুখ তার। ঘড়িতে তখনো বেলা বারোটা, ব্যাপারটা উনি লক্ষ্য করলেন না।

এই এক ঘণ্টায় হারুন সাহেবের পুরো পৃথিবীটা অর্থহীন হয়ে গেছে ভাবছেন তিনি।

– কোথায় গিয়েছিলে তুমি?

কি জবাব দেবে লুবনাকে, যে এতদিন এত স্বপ্ন নিয়ে যে বুকের মানিককে তিল তিল করে বড় করেছেন, বুকে আগলে রেখেছেন, সে কিনা কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রেনের নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে!! সেই সাত রাজার ধন কে নিয়ে গেছে এখন পোস্ট মর্টেমে! কি বলবেন তিনি!!

– লুবনা এক গ্লাস পানি দাও

– সকালে নাস্তা খেয়েছ? নাস্তা দেবো?

– না শুধু পানি দাও

– লেবুর শরবত বানিয়ে দিই?

– লাগবে নাআআআ চিৎকার করে ওঠেন হারুন সাহেব, লুবনাকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে গিয়েই পকেট থেকে মেঝেতে পড়ে যায় আবার ঘড়িটা।
টিকটিক টিকটিক টিকটিক—-

থমকে যায় হারুন সাহেব। খুব মনোযোগ দিয়ে মেঝের দিকে ঝুঁকে শুনতে থাকেন টিকটিক টিকটিক টিকটিক।

চোখ কুঁচকে সেদিকটায় তাকিয়ে থাকেন, বেলা এগারোটা পয়ত্রিশ মিনিট, দেয়ালের ঘড়ির দিকে তাকান, একই টাইম সেখানে।

লুবনাকে পৃথিবীর নিষ্ঠুর খবরটা দিতে ইচ্ছে করে না তার। সামনে পা বাড়ায়। কি মনে হতে আবার ঘড়ির দিকে তাকায়।সকাল এগারোটা তিরিশ মিনিট, হোয়াট! সময়! সময়ের কি হল! দু দুবার পড়ে সেটিংয়ে গড়বড় হয়ে গিয়েছে, ভাবতে থাকেন, ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষন পর আবার দেয়ালের ঘড়িটা দেখেন তিনি।

আশ্চর্য দেয়ালের ঘড়িতে এখন এগারোটা বেজে বিশ মিনিট, হাতের ঘড়িও তাই, আর এক কদম সামনে এগোয় সে, দুই মিনিট পর আবার তাকায়; যা ভেবেছে তাই, এগারোটা বেজে আঠারো মিনিট, দেয়ালের ঘড়িও তাই।

চোখ মুখ জ্বলজ্বল হয়ে উঠে আনন্দে তার, একি হচ্ছে! এসব কি হচ্ছে! গভীর কালো অতল সমুদ্রের বুকে যেন এক চিলতে দ্বীপপুঞ্জ।

পা বাড়ায় সামনে, হারুন সাহেব যতই সামনের দিকে এগিয়ে যায় ততই সময় পেছাতে থাকে।

আনন্দ আতঙ্ক ভয় সবকিছু এক সাথে পেয়ে বসে হারুন সাহেবকে। কি! হচ্ছেটা কি এসব। স্বপ্ন না তো!

স্বজোরে চিমটি কাটেন হাতে, নাহ ব্যাথা তো লাগছে, রেললাইনে আসার পাঁচ মিনিটের পথ ঘুরে ঘুরে অনেকটা হেঁটে তারপর রেললাইনে পৌছান তিনি, ঘড়িতে সময় পিছিয়ে সকাল দশটা হয়েছে গিয়েছে তখন।

রেললাইনের আশেপাশে সকালের কর্মব্যস্ততা। ছোটাছুটি কাজকর্ম কথাবার্তা শুনে তার মনে হলো এখনো খারাপ কিছু ঘটেনি এখানে।

ঘড়ির সময় শেষবারের মতন; আরেকবার মিলিয়ে নেয়ার জন্য তাকে ক্রস করে যাচ্ছে এরকম একজন কর্মব্যাস্ত চাকরিজীবীকে জিজ্ঞেস করলেন ভাই কটা বাজে?

হারুন সাহেবের হাতে ঘড়ি থাকা সত্ত্বেও তার এহেন ন্যাকামো দেখে চোখ মুখ কুঁচকে উত্তর না দিয়ে চলে গেলো লোকটি। না দিক উত্তর।

মনের আনন্দে গুন গুন করে গান গেয়ে ওঠেন, সে ভালো করেই জানে ঘড়িতে কয়টা বাজে, প্রকৃতি তাকে ভয়ঙ্কর এক শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছে, সময়কে তার হাতে ছেড়ে দিয়েছে কিছু সময়ের জন্য।

এখন বাকী যা যা করার তাকেই করতে হবে বুঝে নিয়েছে হারুন সাহেব।

বেলা সাড়ে দশটার দিকে নিশিতাকে দেখা গেলো, ঐ তো মেরুন রঙের জামাটা পড়নে, এই জামাটা রঙ থেকে কিনে দিয়েছে লুবনা দিন পনেরো হবে,
এই পনেরো দিনে মেয়ে অসংখ্যবার পড়েছে এই জামাটা, খুব হয়তো পছন্দ হয়েছে হয়তো তার।

হাঁটতে হাঁটতে নিশিতার দিকে এগিয়ে যান হারুন সাহেব, কি গো মা এত সকাল সকাল রেললাইনে কি? ক্লাস নেই?

প্রচণ্ড চমকে ফিরে তাকায় নিশিতা, বলে-

– তু তুমি এখানে! কি করে! তোমাকে তো ঘুমাতে দেখে এলাম, কাগজটা পড়েছো?

– কিসের কাগজ?

– তুমি পড়োনি? মা বাবুকে নিয়ে বাসা থেকে বের হবার পর টেবিলে রেখে এসেছিলাম।

– দেখিনি তো, গুন গুন করে গান গাইতে গাইতে বললেন হারুন সাহেব, আমি তো একটু বাজার করতে এসেছি,

– ও আচ্ছা

– তুই কি কোন সমস্যায় আছিস? কেউ তোকে কষ্ট দিয়েছে?

ছল ছল করে ওঠে নিশিতার চোখ

– সীমান্ত আমাকে ছেড়ে গিয়েছে, গতকাল রাতে আমার সাথে ব্রেকআপ করেছে বাবা, আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না, আমি এই জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই না বাবা। মেয়ের কান্না দেখে হুহু করে কেঁদে ওঠেন হারুন সাহেব ও, সে কেন ওভাবে কাঁদছে নিশিতা জানেনা।
তার কিছুক্ষন পর বাপ বেটি একসাথে রিকশায় বাসায় ফিরতে ফিরতে

– সীমান্ত তোর বয়ফ্রেন্ড? বলিসনি তো কখনো
- এখন তো আর নাই, চিট করেছে আমার সাথে শয়তান একটা।
- তোর ই তো ভুল শয়তানের সাথে প্রেম করেছিস তুই কি ডাইনী।
হিহিহি করে হেসে ফেলে নিশিতা।

কিছুক্ষন চুপ থেকে নিশিতার কাঁধে হাত রেখে হারুন সাহেব বলেন, মা রে, আমাকে কি তুই খুন করতে পারবি?

– মানে? কখনোই না বাবা,

– কেন নয় তুই যদি নিজেকে খুন করতে পারিস, তাহলে আমাকে পারবি না কেন?

– বাবা কি বলো এসব?

– তোর চিরকুট টা আমি পড়েছি, তোকে ছাড়া বেঁচে থাকার চাইতে আমাদের মরে যাওয়া সহজ মা। কারন বাবা মা’র সামনে সন্তান হারানোর কষ্ট প্রেমিক হারানোর কষ্টের থেকে কয়েক কোটি গুন বেশিরে।
- বাবা আমি আর কখনো এরকম করবো না।

ডাইনিং টেবিলে বাবা মেয়ে খেতে বসেছে, নাস্তা না করে বাবা মেয়ে কই হাওয়া হয়ে গিয়েছে কেন গিয়েছে এই নিয়ে নিশিতার মায়ের অভিযোগ।

হাসছে নিশিতা। হারুন সাহেব ও হাসছেন। তাকিয়ে আছেন দেয়াল ঘরিটার দিকে ঘড়িতে তখন মাত্র ১২ টা বাজলো।


সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×