somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ফাঁসি চাই

০৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

না, আমি কারো ফাঁসির দাবি নিয়ে আসিনি

আমি আমার নিজের ফাঁসির জন্যই প্রস্তুত এখন
শকুনের দল, তোরা আমার ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে রাখ্
তবে জেনে রাখ্, দশ-বিশটা শকুন না মেরে আমি তোদের মঞ্চে উঠছি না

তোরা দেশটাকে নিয়ে কুকুর-শকুন খেলা খেলবি
আর আমরা বসে বসে নিজের চুল ছিড়ব—
আর নয়, এবার আমরা পথে নেমেছি
প্রয়োজনে অস্ত্রও সিঁধে দেব তোদের হৃদপিণ্ড বরাবর

বিপ্লব নয়, আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আমরা--

শকুনের দল, তোরা ভুলে গেছিস যে আমরা তাদেরই উত্তরপূরুষ
যারা দেশের জন্য নিঃশংকোচে ট্যাংকের নিচে ঝাপিয়েছিল বুকে মাইন বেঁধে
মাতৃস্নেহ, নববধূ কিংবা সন্তানের ভালবাসাকে পাশে ঠেলে ফেলে
লাঙলের বাট ফেলে স্টেনগান হাতে বেরিয়েছিল এ দেশের জন্য
চোখে অশ্রু নয়, আগুন নিয়ে—

আমার চোখেও আজ আগুন
মৃত্যুর জন্য আমার রক্ত আজ টগবগ করে ফুটছে
কোন মানুষ নয়, আমি আমার শরীরে অনুভব করছি সেই ঘটোৎকচের রক্ত
একাগ্নি বাণ ধেয়ে আসছে দেখেও যে এতটুকু বিচলিত হয় না
বরং নিজের মৃতদেহের নিচে পিশে ফেলতে চায় কয়েক হাজার শত্রু

হিরণ্যকশিপুর ন্যায় অমিত শক্তিধর আমি
দাঁত নখ দিয়ে তোদের বুক বরাবর ছিড়ে খুড়ে নেব
তোদের হৃদপিণ্ড নাড়িভুড়ির দলা ছুড়ে দেব কাক শকুনের মাঝে

শুনেছি শকুনের মাংস শকুন খায় না—

শকুনের দল, আমার বাবার রোদেপোড়া চামড়ার টাকায় তোরা এসি গাড়িতে ঘুরিস
কোদালের হাতলে ফোসকা পরা হাতের জন্য তিনি মলম কিনতে পারেন না
অথচ তোদের বাথরুমে বিদেশি হ্যান্ডওয়াশ আর সুগন্ধীর ছড়াছড়ি
আমার মা চিকিৎসার অভাবে মারা যায়
তোরা তাঁর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা তো করিসই না
উল্টো তাঁর জন্য ওষুধ কিনতে গিয়ে পণের শতাংশ ট্যাক্সের ভারে ওষুধই কেনা হয় না


এদেশের প্রতিটা ভিক্ষুকও প্রতিটা পণ্যের জন্য পনের শতাংশ ট্যাক্স দেয়
শকুনের দল, আমার বাবার ঘাম ঝরা সে ট্যাক্সের টাকা দিয়ে
তোরা প্রকল্পের নামে হরিলুট করিস
আমার মায়ের মুখের ভাতের দলাটি,
আমার বোনের ইজ্জত ঢাকার কাপড়ের টুকরোটি
তোদের উপপত্নীদের গলায় হার হয়ে ঝোলে
আমার মার উপোসী রাতে
তোদের উপপত্নীদের সাত সাতবার অর্গাজম আসে

ড্রাকুলার দল, এতদিন তোরা আমার বাবার রক্ত খেয়েছিস
এবার নেমেছিস আমার মাকে বিক্রি করতে
আমরা পথে নেমেছি
তোদের সে ইচ্ছা আমরা পূরণ হতে দেব না

আজ থেকে আমি আর কবিতা লিখব না
সৃষ্টির সুখকে বিসর্জন দিয়ে আজ আমি ধ্বংসেই সুখ খুঁজে নেব
যে হাতে এতদিন কবিতা লিখেছি
বারুদে রাঙা সে হাত এখন বোমা তৈরিতে সিদ্ধহস্ত
সৃষ্টির লক্ষে ধ্বংসকেই অনিবার্য মেনেছি আমি
শকুনের দল, তোদের ধ্বংসই এ মাতৃভূমির জন্য সৃষ্টির পথ খুলে দিবে

শকুনের দল, তোরা আমার ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে রাখ্
তবে জেনে রাখ্, গোটা বিশেক শকুন না মেরে আমি তোদের মঞ্চে উঠছি না

===================================

মেজাজটা সত্যিই চরম বিগড়ে আছে। গতকাল সকালে বি.আর.ডি.বি-এর একজন কর্মীর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাধের প্রজেক্ট ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তিনি জানালেন যে এখন পর্যন্ত অল্পই ফান্ড এসেছে। কিন্তু যা ফান্ড এসেছে তা সত্যিকারের কৃষক কিছু পায়নি বললেই চলে। কৃষকের নামে গ্রামের মাতব্বর, আওয়ামী লীগের নেতা-চামচাদের মধ্যেই ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে। দু’একজন সত্যিকারের কৃষক পেয়েছেন যারা আসলে অতটা অভাবী নয় কেবল নেতাদের পছন্দের তালিকায় আছেন বলেই পেয়েছেন। ক’দিন আগে দেখেছি শ্রমিকদের নামে ৪০-দিনের কর্মসূচীর টাকা কিভাবে সবাই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। এর পূর্বের ৪০-দিনের কর্মসূচী এবং ভি.জি.ডি/ভি.জি.এফ কার্ড প্রকল্পের ব্যাপারে আমার আরো দুটো লেখা নিচের লিংকে পাবেন।

সরকার চলে ডালে ডালে, নেতারা চলে পাতায় পাতায়
মাননীয় পেরদানমন্ত্রী,.......


কনোকোফিলিপসের সাথে সরকারের চুক্তির প্রতিবাদে ডাকা হরতালে দিনমজুরসহ কয়েকজন নেটিজেন গ্রেফতার হয়েছিলেন। ন্যায্য কথা বলতে গিয়েও অনেকে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। দেখে দেখে মনটা বিষিয়ে ছিল। আমাদের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড দেখে দেখে, তবুও ঘুরেফিরে এই একই বৃত্তে আমাদের বারবার পাক খাওয়ার নিয়তি ভেবে ভেবে কখনো মনে হয় নিজেই একটা পরিবর্তনের ডাক দিই। কিন্তু আমার সে ডাক যে দেয়ালে লেগে আবার ফিরে আসবে, এ ভেবে আরো ব্যথিত হই,ব্যাথায় কুঁকড়ে যাই, কষ্টে চোখে জল আসে।

বেঁচে থাকার কোন মানে খুঁজে পাই না। ইচ্ছে করে খুদিরামের মত অস্ত্র হাতে নেমে যাই, নিজের ফাঁসির দাবি তুলে।



“বন্ধুগো, বড় বিষজ্বালা এই বুকে
দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া গিয়াছি
তাই যাহা আসে কই মুখে।
রক্ত ঝরাতে পারিনাতো একা
তাই লিখে যাই রক্ত লেখা।"
-কাজী নজরুল ইসলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৪১
৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×