তোমার চেহারা স্পষ্ট আমার চোখের পাতায়, সে চেহারা ঝাঁপসা হচ্ছেনা তো। সেদিন রাতের শেষে এলে মন কালো করে, মুখটা দেখে বুকের ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠে, স্পষ্ট বুঝতে পারছি এ কালো অন্তরের অসুখ, ব্যাথা আর অশান্তি। এতো খারাপ আছো তুমি!
কালি করা মুখে, জ্বলজ্বলে হয়তো ভেজা নয়নে, শুকনো ওষ্ঠ-অধরে আমাকে জানালে 'দেখাই যাচ্ছে- কে, কাকে, ভালোবাসে?'
-একথা বলছো কেনো?
আমি সরোবে, নীরবে, খুঁচিয়ে, ধাক্কিয়ে সবভাবে ডেকেছি শুধুমাত্র তোমাকে। তাহলে কেনো অপবাদ দাও আমাকে? তুমি তোমার অহংকার নিয়েই থাকলে।
আমি তোমার এতটাই 'অসহ্য' যে যখন কিছু লিখেছো 'তুমি' শব্দটা পর্যন্ত 'আমার' শব্দটার পাশে বসাওনি; কি ভেবেছো বুঝিনি, দেখিনি? হ্যাঁ তোমার অনেক জ্ঞান, আমি তোমার কাছে নস্যি, মেনে নিয়েছি। তুমি সর্বোচ্চ অহংকারী।
তুমি আমাকে ঈঁদুর মারার মত মেরেছো, এখন তোমার খুশি থাকা উচিত। তুমি বলো তুমি ভালো না, কারণগুলো বলোনি, খুব জঘন্যতম অপরাধ করেছো? ধরেই নিলাম তাই, তবুও তোমার প্রতি আমার অনুভূতিরা মরেনা, কি জন্যে এমন হচ্ছে! তুমি তো তোমার অহংকার নিয়েই আছো, ভালো থাকা উচিত।
না অনেক টাকার দরকার নাই তোমার আমার কারোর ই না। ছিমছাম, সাধারণ কিন্তু ভালোবাসায় পরিপূর্ণ জীবন হলেই সুখী হয়ে যাই আমরা। বেড়াতে যাবো না আমি, তোমাকে ছাড় দেয়ার ইচ্ছে, তুমি বন্ধুদের সাথে যাবে আর কখনও টাকা পয়সা জমিয়ে পারলে যাবো দু'জনে কাছাকাছি কোথাও; কথাগুলো বলার জন্য ছটফট করেছি কত! তুমি গায়েই লাগালে না। তুমি তোমার অহংকার নিয়েই থাকলে।
হ্যাঁ আমি উপার্জনক্ষম না, তাই বলে থাকবে না একসাথে? আমাকে দেখভাল এতটাই ভার হয়ে গেলো তোমার কাছে? তুমি ই তো বলেছিলে 'মনে সুখ থাকলে অন্যসব এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়, সকল অসুস্থতা চলে যায়।' তাহলে প্রকাশ্যে ভালোবাসলি না কেনো আমাকে? থাকিস না কেনো আমাকে নিয়ে, অহংকারী মানুষ?
আমি জানি তুমি একান্তে গোপনে ভালোবাসো আমাকে, কিন্তু তোমার অহংকারের চেয়ে কম। শোন! তুমি যত খারাপই হও, তোমার প্রতি আমার অনুভূতিরা মরেনা।
আমি তোমার যাইই হইনা কেনো, তুমি আমার প্রিয়। তাই একটা কথা মানতে বলছি, পারলে মানো- ভালোবাসায় 'ইগো' আসতে দিও না, সে কাবাবে হাড্ডির দায়িত্ব পালন করে। অবশ্য সে অমৃতের যোগ্য হয়তো আমি নই।
জানো! তুমি নির্বোধ। তোমাকে নির্বোধ লাগে খুব, আমাকেও।