না পাওয়ারও একটা বিশেষ ক্ষমতা থাকে,
পাওয়ার তীব্রতা কতটা মাপা যায়,
উপলব্ধিতে আসে:
আকাঙ্খা কতটা প্রকট।
সিরিয়ার যে শিশুটা,তিনবেলা উপোষ করে
কিংবা ইয়েমেনের যে শিশুটা ঘাস ফড়িঙ খুঁজে ক্ষুধার তাড়নায় ;
তার কাছে জানার নেই পেটের যন্ত্রণা!
যুদ্ধের মাঠে যে সৈনিক অস্ত্র কাঁধে মৃত্যু পাহাড়া দেয়,
দূরে ঠেলে প্রিয় হাতের স্পর্শ কিংবা ফাঁসির কাষ্ঠে ঠাঁই দাঁড়িয়ে শেষবার কল্পনারত আসামিকে
জানতে চাওয়ার কি মানে: জীবন কতটা মূল্যবান!
সবকিছুতেই ভালোবাসার বিপরীতে একটা ঘৃণা থাকে;
যে মা সন্তান বড় করে পরম মমতায় আর যে সন্তান ছুড়ে মারে ডাস্টবিনে,কিংবা বিষ মিশায় স্বজ্ঞানে-
দু'জনেরই কষ্টটা এক,গল্পটা ভিন্ন!
কে জেনেছে সে অনুভূতি: মানুষ করা আর লাশ ফেলার বাসনা কেমন?
কেউ কি মেপেছে জবাই হওয়ার আগে যে পশুটির অশ্রু ঝরছিল তা কতটা ভারী!
কিংবা ফাঁদে আটকানো ইঁদুরটির মেরুদণ্ড ভাঙ্গার যন্ত্রণা কতটা গভীর!
পশু নাহয় বাদই থাক,সে বুঝাতে ব্যর্থ ভাষাহীন!
মানুষের কথাই বলি:
গলির মোড়ে যে পাগলীটি ছেলে পুষে,
তার ছেলেরও বাবা ডাকতে ইচ্ছে হবে দু'দিন পর,
ষাটোর্ধ যে বৃদ্ধাটা বসে আছে নিষ্পলক আশ্রমের বেঞ্চিতে,তারও নাতি-পুতির হাত ছুঁতে মন চায়!
কিংবা চল্লিশ পেরুনো সেই বন্ধ্যার প্রাথর্ণারত হাতের ভাঁজে বিশ্বাস যে কিনারা খুঁজে;
ক'জন বুঝে?!
যার কেউই নেই,সে অসহায় নয়।
যার পাবার আশা নেই সে হতাশ নয়,
যার ভাষা নেই,সে কষ্টহীন নয়।
যেদিন মনুষ্য ভাষাহীনের কষ্ট বুঝবে;আর কিছু নাহোক:
বাঁচার উপলব্ধি হবে পৃথিবীর!