somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মঙ্গলধ্বনি... প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের পক্ষে

১১ ই মে, ২০১১ রাত ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রকাশিত হলো মঙ্গলধ্বনির ১ম সংখ্যা...

১ম সংখ্যার লেখা সমূহ নিম্নরূপ--

আমাদের কথা
মঙ্গলধ্বনি পরিবার

মধ্যপ্রাচ্যের আন্দোলন, বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব

মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান

রূপগঞ্জ বিদ্রোহ: রাষ্ট্র-মিলিটারি কর্পোরেশন
আর প্রতিরোধী মানুষের গল্প

বাধন অধিকারী

মধ্যপ্রাচ্যে গণজাগরণ ও সাম্রাজ্যবাদী কূটচাল
শাহেরীন আরাফাত

মে দিবস ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
জয় চৌধুরী

পৌরুষত্ব এবং তার মানবিকীকরণ
শাহীন রহমান

ক্ষুদ্রঋণঃ দশটি মন্তব্য
এম এম আকাশ

অশান্ত আরববিশ্ব ও পশ্চিমা লুন্ঠনজীবী সভ্যতা

হাসান তারিক চৌধুরী

আত্মার দ্রোহকে দুমড়ানো যায় না
অনুবাদঃ ইমন দাশগুপ্ত
--------------------------------------
প্রচ্ছদ


উৎসর্গ: পৃথিবীর তাবত মুক্তিকামী মানুষদের জীবন সংগ্রামকে।


সম্পাদনায়: শাহেরীন আরাফাত


প্রচ্ছদ: আহমেদ কবীর কিশোর

ওয়েবসাইট ডিজাইন: শাহরিয়ার রহমান সুপ্ত

সার্বিক সহযোগিতায়: জয় চৌধুরী, তৈমুর ফারুক তুষার, সুষ্মিতা তাশফিন, বাধন অধিকারী, আহসান পিংকু, শিহাব ইশতিয়াক সৈকত, জেরিন জাহান।

আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই: আয়েশা আক্তার কণা, শরিফ খিয়াম ঈয়ন, টুটুল নেসার, খোন্দকার সোহেল, রুবেল শাহ, এম.আর. খান জিতু, নাজ রুবিনা, পাইচিংমং মারমা, আলোরন খিসা সহ সকল সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্খীদের।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা: কল্লোল কর্মকারের প্রতি

যোগাযোগ:
মোবাইল: ০১১৯০৬৪৭১২৭
ইমেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: http://www.mongoldhoni.net


বিনিময় মূল্য: ত্রিশ টাকা


একটি মঙ্গলধ্বনি প্রকাশনা
---------------------------------------

প্রাপ্তিস্থান সমূহ:

পাঠক সমাবেশ,
আজিজ মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা।

লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গণ,
আজিজ মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা।

মুরাদ মোর্শেদ
রাজশাহী।
ফোন নম্বর: ০১৮২৭১৮১৭৬৩


বাধন অধিকারী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
ফোন নম্বর: ০১৭১২৫৬৭১৮১

শাহরিয়ার রহমান সুপ্ত
কোর্ট, রাজশাহী।
ফোন নম্বর: ০১১৯৩০৩৩৮৭৭

ইমন দাশগুপ্ত
শুকতারা, ৩য় তলা
কুয়েট গেট, কুয়েট রোড, ফুলবাড়ি গেইট, খুলনা।।
ফোন নম্বর: ০১৮১৯৩৫৯৯৭২

রেজাউল ইসলাম খোকন
অশ্বিনীকুমার হল, সি ব্লক, রুম নং ১৩১,
বরিশাল ডিগ্রী কলেজ, বরিশাল।
ফোন নম্বর: ০১৭২১৬৭২৭৯০

সিফাত আরেফিন প্রতীক
২১ সি.কে ঘোষ রোড, ময়মনসিংহ।
ফোন নম্বর: ০১৬৭৪৯৫০৬৮১
----------------------------------------------
শেষের পৃষ্ঠা


(বি.দ্র. এটি আমাদের ১ম সংখ্যা, তাই অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে, আশা করি সেই ত্রুটি সমূহ পরবর্তী সংখ্যায় কাটিয়ে উঠতে পারব... তাই আমাদের এই অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলোর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী... খুব শীঘ্রই প্রকাশিত লেখাগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে, এরপর থেকে ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে লেখা আপলোড করা হবে...)
-----------------------------------------------

মঙ্গলধ্বনি
প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের পক্ষে


মূলনীতি
মঙ্গলধ্বনি'র মূলনীতি হলো “মানব মুক্তির লক্ষ্যে একটি বিকল্প মিডিয়া তৈরী”, যে মিডিয়া কাজ করবে মুক্তচিন্তার বিকাশের লক্ষ্যে, প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের পক্ষে। আর তার সদস্য হবে প্রতিটি মুক্ত মনের মানুষ...

আমাদের কথা
এমন অনেক অনেক অনেক মিডিয়া দরকার, যে মিডিয়া যাবতীয় রকমের ক্ষমতাবৃত্তের বাইরে অবস্থান করবে। মানে তার সাথে সরকারের, কিংবা ব্যবসায়ের কিংবা আমলাতন্ত্রের কিংবা সেনাবাহিনীর কিংবা ধর্মীয় অন্ধত্ববাদীদের কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কিংবা বৈশ্বিক ক্ষমতাশক্তির তথা আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের তথা সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার কোনো স্বার্থের বন্ধন থাকবে না। এমন কোনো জাতীয় বা স্থানীয় দৈনিক নেই, এমন কোনো টিভি চ্যানেলও নেই। থাকবার কথাও না। কেননা, টিভি চ্যানেলগুলো অথবা পত্রিকাগুলো ব্যবসায়ীদের নয়তো সরকারের চামচাদের। স্থানীয় পত্রিকাগুলো বাদ দিলে জাতীয় দৈনিক এবং টিভি চ্যানেলগুলো বড় বড় সব কর্পোরেশনের। পত্রিকার কাজ তাই হয় ক্ষমতায় থাকা সরকারের কিংবা ক্ষমতার বাইরে থাকা বিরোধীদের কিংবা বড় বড় সব ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ করে যাওয়া। মোবাইল কোম্পানির বিজ্ঞাপন যে পত্রিকার ২ পাতা জুড়ে থাকে, সেই পত্রিকার পক্ষে কোনোভাবেই ঐ মোবাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা সম্ভব হয় না। আমরা এমন একটি মিডিয়া চাই, যারা বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভর করে থাকবে না। বিজ্ঞাপনদাতা বিজ্ঞাপন দিক না দিক, তাতে যেহেতু মিডিয়া বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই তাই বিজ্ঞাপনদাতার স্বার্থের উপর আমরা নির্ভর করে থাকবো না। মঙ্গলধ্বনি তেমনই একটি মিডিয়া হয়ে উঠতে চায়।

আমাদের দেশের প্রায় সব মিডিয়াই চলে অগণতান্ত্রিকভাবে। সম্পাদক থেকে শুরু করে ক্রমে ক্রমে স্তরে স্তরে আছে কর্তৃত্বের চাবি। এখানে একজন সংবাদকর্মী স্বাধীনভাবে চিন্তা করবার সুযোগ পায় অতীব সামান্য। উপরের লোকজনেরা তাদের বিকাশ রুদ্ধ করতে চায়, চায় যেন তার থেকে বড় হয়ে উঠতে না পারে। এজন্যই পত্রিকায় অগণিত সংবাদকর্মী কাজ করলেও মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের মতামতই সেখানে প্রাধান্য পায়। তাই কোনোভাবেই সেই মিডিয়াটি পারে না অনেক অনেক সংবাদকর্মীর মিলিত চিন্তায়, মিলিত ভাবনায়, মিলিত শ্রমে ঋদ্ধ হতে। আমরা এমন অনেক মিডিয়া চাই যেখানে সমস্ত সংবাদকর্মীর মতামতের সমান গুরুত্ব থাকবে এবং সব সংবাদকর্মীর মিলিত চিন্তায় একটি চমৎকার মিডিয়া হয়ে উঠবে। মঙ্গলধ্বনি তেমন একটি মিডিয়া হয়ে উঠতে চায়।

বেনিয়া বিজ্ঞাপনদাতা নয়, এই মিডিয়ার চালিকাশক্তি হবে অনেক অনেক মানুষ। সমাজের অগ্রগতি বলে আলাদা কিছু নেই; নিজের, নিজেদের অগ্রগতির মধ্যে দিয়েই সমাজ সভ্যতা এগিয়ে যায়। তাই যার পক্ষে ১ টা টাকা, ১ টা সংবাদ, ১ টা লেখা দেয়া সম্ভব সে ঐ ১ টা টাকা, ১ টা সংবাদ, ১ টা লেখা দিয়ে এই মিডিয়ায় অংশীদারত্ব নিন। কিন্তু মনে রাখবেন যদি আপনি ১ টা টাকা, ১ টা সংবাদ, ১ টা লেখাও না দিতে পারেন, তবুও আপনি সমান অংশীদার। যার শ্রম দেবার আছে, তার শ্রম দিয়ে, যার অর্থ আছে তার অর্থ দিয়ে আর যার কিছুই দেবার নেই তার মৌনতা নিয়ে সবাই মিলে একটি মিডিয়া গড়ে তুলতে চাই।

আমাদের দেশের কোনো মিডিয়াতেই পাঠক গুরুত্ব পায় না। পাঠক মতামত, নাগরিক মন্তব্য, চিঠি নামে কিছু জিনিস ছাপলেও মানুষের কথা উঠে আসে না। পাঠকের মতামত যথাযথ গুরুত্ব পায় না। আমরা এমন মিডিয়া চাই যেখানে পাঠক লেখক আলাদা সত্তা না। লেখক যতোটুকু বলতে পারবে চাইলে পাঠকও ততোটুকু বা তার চেয়ে বেশি বলতে পারবে। আমরা এমন একটা মিডিয়া বানাতে চাই যেখানে পাঠক আর লেখকের আলাদা কোনো সত্তা থাকবে না। পাঠকও হবে একজন সক্রিয় লেখক।
আর এইসব স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা একটা সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পৃথিবীর পক্ষে বলবো। না, শুধু ভোট হলে আর সংসদ বসালে যে গণতন্ত্র হয় সেটা নয়, সত্যিকারের গণতন্ত্রের পক্ষে বলবো আমরা। গণতন্ত্র মানে প্রত্যেক মানুষের মতামতের সমান অধিকার, প্রত্যেক মানুষের অংশগ্রহণে যে গণতন্ত্র হয় সেই অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে যাবো।

আমাদের দেশে বা আমাদের সংস্কৃতিতে এখন চলছে বেনিয়া-সংস্কৃতির আগ্রাসন। বন্ধু দিবস, ভালবাসা দিবসের নামে বেনিয়া কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বেচাকেনা। ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৩, স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি চালায় শিক্ষার্থীদের উপর, হত্যা করা হয় জয়নাল, দিপালীদের। আমাদের দেশে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রসমাজ ১৪ ফেব্রুয়ারী 'স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস' হিসেবে পালন করতো। কিন্তু এর পরেই তৎকালীন বহুল পঠিত একটি মিডিয়ার কাঁধে সওয়ার হয়ে আসে 'ভালবাসা দিবস', আর এর পিছনে ভালবাসা ছিল না, ছিল টাকার খেলা। প্রাপ্ত তথ্য মতে, বাংলাদেশে 'হলমার্ক', আরচিজের মত কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ ব্যবসা সারা বছর করে, বন্ধু দিবস ও বন্ধু দিবসে এর দ্বিগুণ ব্যবসা করে। সুতরাং এই কথা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, ভালবাসা বা বন্ধুত্ব নয়, এক্ষেত্রে ব্যবসাই কর্পোরেটদের মূল উপজীব্য। (ভালবাসা বা বন্ধুত্বের জন্য দিবসের কি প্রয়োজন? তা তো আর কোন একটি বিশেষ দিনে বেঁধে রাখার মত কিছু নয়, ভালবাসা/বন্ধুত্ব শাশ্বত)

আর সেই বেনিয়া-সংস্কৃতির বিকাশে আকাশ মাধ্যম, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের প্রচার মাধ্যম এবং সর্বোপরি আমাদের দেশের প্রচার মাধ্যম এক্ষেত্রে বহুলাংশে দায়ী। আমাদের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো যখন টক শো আর প্রতি ঘন্টার সংবাদে পরিপূর্ণ, তখন সাধারণ দর্শক এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিদেশী মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে, যা এই বেনিয়া-সংস্কৃতির কারণগুলোর অন্যতম। আর এই বেনিয়া-সংস্কৃতি রোধের জন্য প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা মুক্তচিন্তার বিকাশে বিশেষ রূপে সহায়তা করে থাকে। আর এই সাংস্কৃতিক আন্দোলন তথা মুক্তচিন্তার বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করবে মঙ্গলধ্বনি।

আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমেই পুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদী রূপ নিচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য কেবলই মুনাফা অর্জন। এই ব্যবস্থা শুধু নিজের জন্য বাঁচতে শেখায়, এর সাথে মিশেছে অপসংস্কৃতি ও ইচ্ছেমত তৈরী করা ইতিহাস। এই শিক্ষাব্যবস্থার ফলেই দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন-দিন বেড়েই চলেছে। এই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষায় পাশ করাতেই শিখাচ্ছে, তাদের নৈতিক গুণাবলী এতে খুব সামান্যই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এর ফলে দেশ চলে যাচ্ছে ক্রমেই অন্ধকারের পাণে। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-ঔপনিবেশবাদ এবং তার মধ্যস্বত্ত ও সুবিধাভোগীদের কাছে অবহেলার শিকার হচ্ছে আমাদের হাজার বছরের লালিত সম্ভবনাগুলো, ফলে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি। এই অবস্থার আশু পরিবর্তন প্রয়োজন। আর এই পরিবর্তনে মানবতাবোধসম্পন্ন সৃষ্টিশীল মানুষ গঠন ও সঠিক দিক-নির্দেশনা ও বাস্তবিকতার নিরিখে এর প্রয়োগের উদ্দেশ্যে কাজ করবে মঙ্গলধ্বনি। তাই মুক্তচিন্তা ও শুদ্ধ সংস্কৃতির বিকাশে আপনি যদি আমাদের সাথে সহমত পোষণ করেন, তবে এই আন্দোলনে আপনিও আমাদের পরিবারেরই একজন। বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন, সেখান থেকেই আপনি সংযুক্ত হতে পারেন আমাদের এই কার্যক্রমে।

সাম্প্রতিককালে ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বিশাল ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি মিশর তথা মধ্যপ্রাচ্যের গণ-আন্দোলনে এই বিকল্প মিডিয়ার ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখনো সেই হারে বাড়েনি। এতদসত্ত্বেও, এই প্রযুক্তি বর্তমানে অনেকের সাধ্যের মাঝে পৌছানোতে আমরা মঙ্গলধ্বনি নামে ইন্টারনেটের মুক্ত জমিনে এমন একটি মিডিয়া বানালাম যেখানে আমি আপনি আমরা সবাই সমান। আমরা সবাই সাংবাদকর্মী আমরা সবাই পাঠক। ইন্টারনেট আমাদের জন্য সেই ভরসার জায়গাটা তৈরী করেছে। কিন্তু প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই মঙ্গলধ্বনি সরকারী হয়রানির শিকার হয়। কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই বিটিআরসি কর্তৃক বন্ধ করে দেওয়া হয় ওয়েবসাইটটি। তবে আমরা হারিয়ে যায়নি। কিছু মানুষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আবারো শুরু করছি প্রকাশনার কাজ, আর এখন থেকে অনলাইনের সাথে সাথে সংকলিত ও নতুন লেখা সমন্বয়ে লিটল ম্যাগাজিন আকারে নিয়মিতভাবে পাঠকদের হাতে পৌছে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আমাদের। এখানে আমরা এই পত্রিকার কর্মীরাও যা, পাঠক আপনিও তাই। আমরা সবাই মিলে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সমাজের লড়াইয়ের পক্ষের একজন সৈনিক।

ঢাউস ঢাউস সব কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের প্রায় সমস্ত প্রধান মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো জিম্মি হবার কারণে ঐ সব বেনিয়াদের স্বার্থ দেখাটাই মিডিয়ার কাজ হয়ে দাঁড়ায়। মুখে দেশের কথা, মানুষের কথা বলবার নাম করে আসলে ব্যবসায়ীদের, শুধুই বড়লোকদের স্বার্থ দেখা তাদের কথা বলা, তাদের জন্য পরামর্শ দেয়া মিডিয়ার কাজ হয়ে দাঁড়ায়। সেজন্যই, পত্রিকা যখন প্রথম পাতা সাজায় সেই পাতায় খালেদা-হাসিনা-ইউনুস-আবেদ-নায়িকা-গায়িকা ছাড়া সমাজের বেশিরভাগ মানুষের সমস্যাগুলো আলোচিত হয়না বললেই চলে। যখন পত্রিকা বিদেশনীতির বিষয়ে মতামত ছাপে তখন চিন্তা করে কোনটুকু বড়লোকদের স্বার্থ। দেশের জাতীয় সম্পদ বিকিয়ে দেবার পক্ষে মতামত ছাপে, জায়েজ করে তাকে, রক্ষা করে কর্পোরেশনের স্বার্থ। পত্রিকা যখন রান্না করা শেখায় তখন এমন রান্না করাই শেখায় যেটার রসদ দেশের অগণিত মানুষের পক্ষে যোগাড় করা সম্বভ নয়। যখন পোশাক নিয়ে ফ্যাশন নিয়ে একটা পাতা করে তখন এমন পাতাই করে যেটা মুষ্টিমেয় কিছু উঁচু তলার মানুষের পক্ষেই কেনা সম্ভব। বড়লোকদের স্বার্থে নয়, সমাজের সমস্ত শ্রেনী-পেশা-বর্ণ-জাতি-ধর্মের মানুষের এবং অপরাপর প্রাণের এবং প্রকৃতির স্বার্থে কাজ করবে এমন মিডিয়া দরকার। মঙ্গলধ্বনি তেমন একটি মিডিয়া হয়ে উঠতে চায়।

দেশের সমস্ত প্রধান প্রধান মিডিয়া এক্সপার্টদের বক্তব্য প্রচার করে, যারা প্রায় সবাই কারও না কারও তাবেদার। কারও না কারও পক্ষের। বিক্রি করাটা মূল উদ্দেশ্য তাই চটকদার, মিথ্যে, উত্তেজক নিউজ ছাপায়। নিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে কারও না কারও পক্ষ অবলম্বন করে। আমরা নিরপেক্ষতার ভান করতে রাজি নই। নিরপেক্ষতা নামের অলীক বস্তুর সন্ধান করতেও উৎসুক নই। নিরপেক্ষতার আদলে আসলে অদৃশ্য কোনো না কোনো ক্ষমতা-শক্তির পক্ষপাত জারি রাখতে চাই না আমরা। আমরা আবার শুধু মানুষের পক্ষেও নই। কেননা অপরাপর প্রাণ আর প্রকৃতির কথা না ভেবে শুধুই মানুষের পক্ষে বা অপরাপর প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের উপর মানুষের আধিপত্যের পক্ষে থাকা মানে প্রজাতি হিসেবে মানুষের এবং একইসাথে এই প্রকৃতির ধ্বংসকে অনিবার্য করে তোলা। আমরা তাই প্রাণ-প্রকৃতি প্রতিবেশের পক্ষে। আমরা প্রাকৃতিক আইনকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ঐ আইনকানুন ছাড়া মনুষ্যসৃষ্ট অন্য যেকোনো আইন যেকোনো বিধান যেকোনো তত্ত্ব যেকোনো মতবাদ যেকোনো উপস্থাপনকে আমরা পরখ করে দেখতে চাই। প্রশ্ন করতে চাই। খুঁজে দেখতে চাই, তা প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ এর পক্ষে যায় কিনা।

-আমরা মানুষের পক্ষে বলবো।
-আমরা পৃথিবীর পক্ষে বলবো।
-আমরা যাবতীয় প্রাণের স্বার্থে বলবো।
-যাবতীয় প্রজাতির স্বার্থে বলবো।
-আমরা প্রকৃতির স্বার্থে বলবো।
-আমরা মানুষ-সহ সমস্ত প্রাণের এবং এই প্রকৃতিজগতের স্বার্থে বলবো।

মঙ্গলধ্বনি। মঙ্গল স্থির-স্থিতিশীল-অনড় কোনো কিছু না। আজকে যা মঙ্গল বলে বেচিত হচ্ছে গতকাল তা হয়নি, আবার ভবিষ্যতে তা মঙ্গল বলে বিবেচিত নাও হতে পারে। কিন্তু তাতে মঙ্গলের পক্ষে মানুষের আরাধনা শেষ হয় না। ক্রমাগত নতুন নতুন বোধে নতুন নতুন চিন্তা-তৎপরতায় মঙ্গলের পক্ষে মানুষের লড়াই চলমান থাকে। আমরা তাই মঙ্গলের জন্য সাইবার স্পেস থেকে একটুখানি মুক্ত জায়গা আমাদের জন্য বরাদ্দ নিয়েছি, সেই সাথে লিটল ম্যাগাজিন আকারেও প্রকাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যার প্রথম সংখ্যা এখন উন্মুক্ত। সবাই মিলে কথা হলে, তর্ক হলে বাহাস হলে তখন সত্যিকারের গণতন্ত্র হয়। সংসদীয় গণতন্ত্র নামের ৫ বছরের জন্য নির্ধারিত স্বৈরতন্ত্র নয়, এটা অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র, সত্যিকারের গণতন্ত্র। আর এভাবেই সবার অংশগ্রহণে এই মিডিয়াতে মঙ্গলধ্বনি ধ্বনিত হবে। যদি আমরা প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের জন্য যা কিছু মঙ্গলের তার পক্ষে এবং যা অমঙ্গল তার বিপক্ষে ধ্বনিত করতে পারি, তবেই আমাদের নিষ্ঠা আর মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে দেয়া নিজেদের দায়িত্ব পূর্ণতা পাবে।।

এই হলো মঙ্গলধ্বনির কথা.....

--মঙ্গলধ্বনি পরিবার
মোবাইলঃ ০১১৯০৬৪৭১২৭
ইমেইলঃ [email protected]
ওয়েবসাইট: http://www.mongoldhoni.net

ফেসবুকে মঙ্গলধ্বনির পেইজ--
Click This Link

ফেসবুকে মঙ্গলধ্বনির গ্রুপ--
Click This Link
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×