somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

বাইক - একটি গল্প । তবে কারো সাথে মিলে গেলে আওয়াজ দিবেন ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সন্ধ্যা হই হই করছে । দিনের আলো কমতে কমতে রাত্রির অন্ধকারের কাছে নিজেকে সন্তর্পণে সমপর্ণের সকল আয়োজন শেষ করে এনেছে । এলিডি বাতিগুলো একটা কটা করে জ্বলে উঠে এয়ারপোর্ট এলাকাটাকে অন্যরকম এক রূপ দিয়েছে । এ' ক বছরে বড্ড পাল্টে গেছে ঢাকা শহরের পরিবেশ, সাজসজ্জা । হঠাৎ হঠাৎ করে দেশটাকে ধনী রাষ্ট্র বলে মনে হয় । দেখে, মনেই হয় না যে, এদেশে এখনো শতকরা ৫০ জন লোক দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। যদিও সরকারী মাধ্যমগুলো সে কথাটা কখনোই স্বীকার করতে চায় না। বুঝে আসে না, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ সম্পর্কে তথ্য লুকিয়ে কারা লাভবান হয়।

এক বন্ধু কাম কলিগ'কে তার সদ্য কেনা এভিএস সিস্টেমসহ বাইকে করে এয়ারপোর্ট নামিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম । বন্ধু যাবে চট্টগ্রাম দু'দিনের অফিশিয়াল ট্যুরে । তাই ওর সাথে লাগেজ নাই । ছোট্র হ্যান্ড ট্রাভেল ব্যাগ কাধে ঝুলিয়ে নিয়েছে । আজকাল দেশের মানুষের কাছে ছোট খাটো কাজে এই ধরনের বিমান যাত্রা কোন বিলাসিতা নয় বরং অনেকটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে ।

কে, কবে কোথায় কোন ট্যুরে বিমানে গেছে সেটাই অফিস পাড়ায় কলিগ'দের মধ্যে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়ায়। কেউ অফিস ট্যুরে বিমানে চড়ার সুযোগ পেলে অফিসে পজিশন বেড়ে যায়। সেইম পোস্টের কলিগ'রা দাম দিতে না চাইলেও পিয়ন বয়,বেয়ারাদের মধ্যে গুরুত্ব বেড়ে যায় । চাওয়া মাত্র ই চা,কফি চলে আসে । মেয়ে কলিগরা ভাইয়া ভাইয়া করে পেছন পেছন ঘুরে ।

সুমন যে দু'দিন চট্টগ্রাম থাকবে বাইকটা আমিই চালাবো । প্রস্তাবটা অবশ্য সুমন ই আমাকে দিয়েছে । এ যেন ঈদের চাঁদ হাতে পাওয়া । মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি । কলেজ লাইফ থেকেই একটা বাইকের স্বপ্ন দেখে দেখে বড় হয়েছি । সরকারী অফিসের কর্মকর্তা বাবার কাছে ধন্যা দিয়ে কোন লাভ হবে না জেনেও প্রতি বছর পরীক্ষার পর পর ভাল রেজাল্টের দোহাই দিয়ে আবদার করে গেছি । কিন্তু সৎ পথের উপার্জনে পাঁচ পাঁচজনের পরিবারের সদস্যদের মুখে তিন বেলা অন্ন যুগিয়ে , বাড়ি ভাড়া, স্কুল কলেজের খচর মেটাবার পর কোন সন্তানকে বাইকে কিনে দেওয়া একজন মধ্যবিত্ত দরিদ্র পিতার জন্য জমিনে জান্নাত বানাবার মতো দুঃসাধ্য কাজ । এটা বুঝতে পারার পর বাবার টাকায় বাইক পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছি ।

স্বপ্ন নিয়ে ই তো মানুষ বেচে থাকে ।
তাই, বাইক কেনার স্বপ্ন নিয়েই বন্ধু বান্ধবের বাইক দিয়ে বাইক চালানোটা শিখে নিয়েছি । টিউশনির জমানো টাকা দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সটাও করে ফেলেছি । ঘোড়ার কেনার আগে চাবুক কেনা যাকে বলে । লেখাপড়া শেষ করে ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দু'মাস হলো একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানিতে যোগ দিয়েছি । তাতে একটু একটু করে অর্থনৈতিক মুক্তির হাতছানি দেখছি । হয়তো কয়েক বছরের মধ্যেই অবস্থা পাল্টে যাবে । স্বপ্ন থাকলে তা একদিন সত্য হয়ে ধরা দিবেই দিবে । নিজের বাইকে করে অফিসে যাতায়াত করতে পারবো এটা ভেবেই পুলকিত হয়ে উঠি । গত মাসে, বেতনের টাকাটা মায়ের হাতে তুলে দেবার পর মা যেভাবে কেঁদে ফেলেছিলেন, সেদিন দৃশ্য কোন দিন ভুলবো না । মধ্যবিত্তদের স্বপ্নগুলো যেমন ছোট ছোট হয় তেমনি অনেক হারাবার মাঝে একটু পাওয়াতেই ভরে উঠে তাদের প্রাপ্তির ঝুলি ।

সুমন চলে যেতেই বাইকে বসে হ্যালমেট পরে নিলাম । মনে মনে ভাবছি, এখন ভর দুপুর হলে বেশ ভাল হতো । পকেটে রাখা সানগ্লাসটা তাহলে পরে নিতে পারতাম । কলেজে থাকতে ইংজেরি শিক্ষক নীলা ম্যাডাম'কে দেখতার তার স্বামীর সাথে বাইকে করে ঘুরে বেড়াতেন । তখন ওনার স্বামীর চোখে থাকতো কালো রং এর একটা সানগ্লাস । দেখতে সিনেমার হিরোদের মতো লাগতো । তখন থেকেই সানগ্লাস পরে কাউকে বাইক চালাতে দেখলে, নীলা ম্যাডামের বরের কথা মনে পরে যায় ।

এয়ারপোর্ট এক্সিটওয়ে'তে বড্ড বেশি ভিড় । দু তিন' জন নিরাপত্তা কর্মী চেষ্টা করেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না । কয়েটা প্রাইভেট কার উল্টো পথে চলে আসায় বের হবার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে । সে জন্য অনেকটা সময় দাড়িয়ে থাকতে হলো । অগত্যা পকেট থেকে মোবাইল বের করে নিয়ে সময় দেখে , কি মনে হতে ভিড়ের কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম । ইচ্ছে হচ্ছিলো নিজের গটা দুয়েক সেলফি তুলি । কিন্তু লজ্জার কারণে সেটা করতে পারলাম না । লোকজন নির্ঘাত খ্যাত ভাববে ।

ভিড়ের মধ্যে, অনেকক্ষণ যাবত কুড়ি,পঁচিশ বয়সের সালোয়ার কামিজ পড়া একটি মেয়েকে ট্যাক্সি, সিএনজি ভাড়া করার চেষ্টা করতে দেখছি । খালি কোন ট্যাক্সি বা সিএনজি দেখলে , মেয়েটি সেটার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আর ঘার নিচু করে ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করছে যাবে কিনা । ড্রাইভার না করতেই সে দুনিয়ার বিরক্তি নিয়ে চারপাশে তাকাচ্ছে । মেয়েটির সাথে আমার বেশ কয়েকবার চোখাচোখি হলো । প্রতিবারেই আমি চোখ সরিয়ে নিলাম, পাছে মেয়েটা যেনো মনে না করে আমি তার অসহায় অবস্থা দেখে মজা পাচ্ছি ।

আরো কিছুটা সময় অতিবাহিত হবার পর মেয়েটা সরাসরি আমার দিকে এগিয়ে এলো । তারপর মিষ্টি করে হেসে বলল, একটু হেল্প করবেন প্লিজ ? আমি একটু ঘাবড়ে গেলেও মাথা নেড়ে বললাম, জি বলুন ?
মেয়েটি অসহায় ভাবে বলল, চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। একটাও ট্যাক্সি ,সিএনজি পাচ্ছি না । একটু লিফট দেবেন প্লিজ । মেয়েটি কাছে আসতেই , মিষ্টি একটা পারফিউমের গন্ধ এসে নাকে দোলা দিয়ে গেলো । হালকা পাতলা লম্বা গড়নের মেয়েটি দেখতে আহা মরি সুন্দরী না হলেও ফেলে দেবার মতো নয় ।

মেয়েটির কথা শুনে আমি ভয়ানক চমকে উঠলাম । হায় হায় এ মেয়ে বলে কি ? হঠাৎ করেই নিজেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হলো । নিজেকে ম্যাডামের স্বামীর মতো হিরো বলে মনে হতে লাগলো । একটু ভাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুঝলাম, গলাটা কেপে কেপে উঠছে । নিজেকে সামলে নিয়ে কপালে গোটা দুয়েক ভাজ ফেলে বললাম, তা, কোথায় যাবেন ?

মেয়েটি আগের চেয়ে ও মিষ্টি করে হেসে বলল, উত্তরা যাবো ।
হায়! হায় ! মেয়েটির হাসিতে যেন মুক্ত ঝরছে । মেয়েটিকে এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী বলে মনে হচ্ছে ।
আমাকে চুপ থাকতে দেখে মেয়েটি , "বলল, শুনতে পাচ্ছেন ? হ্যালো ?"

অচেনা,অজানা ধনী একটা মেয়ে, আমাকে বিশ্বাস করে লিফট চাচ্ছে । এটা কি চাট্টিখানি কথা । নিজেকে সত্যি ই অন্যরকম লাগতে লাগলো । মনে হলো, রাজ হংসের মতো পাখা গজিয়েছে । কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি, আমি বাইক চালাচ্ছি, মেয়েটি আমাকে আঁকড়ে ধরে বসে আছে । বাতাসে তার চুল উড়ছে । আশে পাশের লোকজন কুন্জুস দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে । হিংসায় ঝুলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে ।

নিজেকে একটু সামলে নিয়ে, বললাম , "তা,উত্তরা, কোথায় যাবেন ?"
আমার কথায় মেয়েটি ভরসা খুঁজে পেয়ে মিষ্টি করে হাসলো । তারপর সাথে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটুকরো কাগজ বের করে একটা ঠিকানা দেখে বলল, "উত্তরা ১১ নাম্বার, রোড নাম্বার ১৫ বাসা নাম্বার ৩২ । " তারপর একটা টিস্যু দিয়ে কপালে জমে থাকা ঘাম এমন ভাবে মুছল আমার কাছে মনে হলো পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ কোন দৃশ্য দেখছি আমি । আশে পাশে থাকিয়ে দেখি, অনেকেই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ।

আমার বাসা দক্ষিণ খাঁন । বাসায় যেতেই হাতের বামে পড়বে উত্তরা । তবে , ১১ নম্বার সেক্টরটা কোন দিকে সেটা মনে করতে না । তবে সেটা খুঁজে বের করা কঠিন কোন কর্ম না । তাই অসহায় ললনাকে লিফট দেওয়া যেতেই পারে । কাল ই এটা নিয়ে বন্ধু বান্ধবের সাথে জমিয়ে গল্প করা যাবে ।

বাইকের পেছনে ঝুলিয়ে রাখা অতিরিক্ত হেলমেট খুলে মেয়েটির হাতে দিতে দিতে বললাম, সাবধানে বসবেন , আমার বাইকে কিন্তু ব্রেক নাই । আমার কথায় মেয়েটি খিলখিল করে হেসে উঠলো ।

দুই


এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে হতে আটটা বেজে গেলো । ভিআইপি মুভম্যান্ট চলছে তাই রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম লেগে গেছে । এর মধ্যে মেয়েটির সাথে টুকটাক কথা জমে উঠেছে । মেয়েটির নাম, লিসা । বাড়ি চট্টগ্রামে। সেখানে ওদের অনেক বড় বড় ব্যবসা রয়েছে । ঢাকায় এসেছে এক বান্ধবীর জন্মদিনে এটেন্ট করতে । রাতে রেডিসনে থেকে সকালে আবার ফিরে যাবে । ইত্যাদি ইত্যাদি .....

এয়ারপোর্ট ছাড়ার পর খুব একটা জ্যামে পরতে হলো না । কিন্তু জসিমুদ্দিন আসতেই মেয়েটি বলল, "যদি কিছু মনে না করেন, একটা কথা বলি ?"
আমি বাইক চালাত চালাতে বললাম , বলুন ।

মেয়েটি তখন একটু ঝুঁকে আমার কানের কাছে মুখ এনে বলল, "চলুন, একটু কপি খেয়ে নেই । বড্ড মাথা ধরেছে ।" মেয়েটির উষ্ণ ছোঁয়ায় আমার বৈরাগী মন চনমন করে উঠলো ।

আমি আপত্তি না করে রাজলক্ষ্মী মার্কেটে কেএফসি'র সামনে দাঁড়ালাম । বাইক রাস্তার পাশে পার্ক করার জন্য থামাতেই মেয়েটি বলল, "এখানে থামলেন যে, মামলা খাবেন তো ?" ওই যে, দেখুন একজন সার্জেন্ট দাড়িয়ে আছেন । এসেই মামলা দেবে ।

আরে তাই তো , আর একটু হলেই মামলা খেতাম । হিরো হতে গিয়ে মেয়ের চক্ররে পরে মামলা খেলে সুমনের কাছে ধোলাই খেতে হবে । আমি এগিক ওদিক তাকিয়ে পার্কিং এ জায়গা খুঁজতে থাকলে মেয়েটি হেসে বলল, "ঠিক আছে, বাইক এখান থেকে নড়াতে হবে না । আপনি চট করে গিয়ে দুটো কফি নিয়ে আসুন । এখানে দাড়িয়েই খাই । এরপর মেয়েটি ১ হাজার টাকার একটা নোট বের করে আমার হাতে দিয়ে হেসে বলল, প্লিজ............

আমি একান্ত বাধ্যগত ছাত্রের মতো মেয়েটির হাত থেকে নোটটা নিয়ে , দুটো কফি নিয়ে এসে দেখি , মেয়েটি বাইকে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে । আমাকে দেখে এমন ভাবে হাসলো তাতে মনে হলো আমার পুরো দুনিয়া দুলে উঠলো । হায়! মরেছি , মরেছি আমি তোমার প্রেমেতে , রাত কাটে না কোন কিছুতে ............

ফুটপাতে দাড়িয়ে গরম কফিতে চুমুক দিতে যে এতো মজা সেটা আগে কখনো বুঝিনি । কফি খেতে খেতে মেয়েটি বলল, "এক কাজ করুণ আপনিও চলুন আমার সাথে । "
আমি অবাক হবার ভান করে বললাম, "কোথায়,কোথায় যাবো ?"
মেয়েটি বলল, "কোথায় আবার, আমার বান্ধবীর বাসায় । "
আমি বললাম, "না , না, সে কি করে হয় ? আপনার বন্ধুর বাড়িতে আমি যাবো কেন ?"
মেয়েটি হেসে বলল, "আমরাও তো এখন বন্ধু , তা, নয় কি ? বন্ধুর বাড়িতে বন্ধুর বন্ধু গেলে কোন দোষ হয় না । "
আমি বললাম, না । আমার কাজ আছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
মেয়েটি তখন কৃত্রিম ভাবে গাল ফুলিয়ে, আহ্লাদী কণ্ঠে বলল, "ঠিক আছে তবে যেতে হবে না । আমার ফোন নাম্বারটি নিন । চট্টগ্রামে আসলে ফোন দিবেন । উপকারটুকু ফেরত দেবো । "

আমি মনে মনে তখন পরাগত । এলোমেলো নানান কথা, নানান সুর সুমধুর হাবুডুবু যাচ্ছি । হায়! হায় এসব কি হচ্ছে আমার সাথে ? এ মেয়ে তো দেখছি, প্রথম দেখাতেই আমার প্রেমে পরে গেছে । ইশ ! বন্ধুদের যদি একবার এ দৃশ্য দেখাতে পারতাম । আফসোস আর কষ্টে বুকটা মমতাজের গানের মতো ফেটে যেতে লাগলো ।

১১ নাম্বার সেক্টর খুঁজে পেলেও ১৫ নম্বর রোডের ৩২ বাসা নাম্বার বাসা আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না । কফি খাওয়ার পর থেমে মাথাটা ঝিমঝিম করছে । দৃষ্টি শক্তি মনে হচ্ছে, একটু একটু করে কমে আসছিলো । চরকির মতো পুরো একটা ঘণ্টা চক্রর কাটতে কাটতে উল্টো দিক থেকে আসা একটা মিনি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে পরে গেলাম । এর পর আর কিছু মনে নেই ।

যখন জ্ঞান ফিরল, তখন গভীর রাত । চোখ খুলে কোথায় আছি কিছু বুঝতে পারলাম না । মনে হচ্ছিলো একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছি । তবে ধীরে ধীরে স্বজ্ঞা ফিরে পেতে লাগলাম। এক সময় দৃষ্টি শক্তি , চিন্তা শক্তি ফিরে এলো । বুঝতে পারলাম আমি রাস্তার পাশে কাদার মধ্যে পরে আছে । উঠে বসে চারপাশে তাকালাম । কেউ কোথাও নেই । চারপাশে শুনশান নিরবতা । বাইকের কথা মনে হতেই, বুকের ভেতরটা দপদপ করে উঠলো । চমকে লাফিয়ে উঠে চিৎকার করে উঠলাম, "আমার বাইক , আমার বাইক , কোথায় ?" কিন্তু কোথাও বাইকটি কিংবা মেয়েটিকে চোখে পরলো না ।

শেষ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×