আজ ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো। অনেক বাসা বাড়িতে দেখা যায় একের পর এক রোগ, বালাই, অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। ডাক্তার কবিরাজ, ওঝা, বৈদ্য, ঝাড়-ফুক করেও কিছুতেই কিছু হয় না। কিছুতেই রোগ,শোক, বালা,মুসিবত, অসুখ বিসুখ বাড়ি ছাড়ে না৷ শেষমেশ কপালের দোষ দেন। হায় উতাশ করে জীবন কাটান ।
মনে রাখবেন, অসুখ বিসুখ এমনি এমনি আসে না। কিছু অসুখ-বিসুখ আমরা নিজেরাই নিজেদের অজান্তে ডেকে আনি। মানুষ তার খাসলত এর কারণে বিপদে পরে৷
যারা এ ধরনের অসুখ-বিসুখ বালা মসিবত রোগব্যাধি নিয়ে যন্ত্রণায় আছেন তারা আমার কথা ফলো করলে অতি অল্প সময়ে পরিত্রাণ পাবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রথমেই খেয়াল করুন, আপনার বাসা বা ফ্লাট যেখানে আপনি থাকেন, সেটার "ওয়াশ রুমের" দরজা খোলা অবস্থায় থাকে কিনা। যতোই দামী ঝকঝকে তকতকে ওয়াশ রুম হোক না কেন ব্যবহারের পর সেটার দরজা খোলা রাখা যাবে না।
খোলা রাখলে জীবাণু আসবে এর জন্য বন্ধ রাখতে বলছি না। বন্ধ রাখতে বলছি এ কারণে, ওয়াশ রুমে বদ জীন থাকে। তাদের কু দৃষ্টির ফলে বাসা বাড়িতে রোগব্যাধি লেগে থাকে। একটু খেয়াল করে দেখুন, সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কিন্তু ওয়াশ রুমে পরে গিয়ে হয়।
ওয়াশ রুমে দোয়া পড়ে প্রবেশ করুন। দোয়া না পারেন মনে মনে বিসমিল্লাহ বলে প্রবেশ করুন। ওয়াশ রুম থেকে বের হবার আগে অজু করুন না পারেন পায়ে পানি দিন। এক মাসের মধ্যে দেখবেন, রোগ বালাই কমে যাবে৷ শুধু রোগ বালাই নয় অভাব অনটন এ কারণে বৃদ্ধি পায় । তাই একটু সচেতন হউন সুস্থ ও অভাব মুক্ত থাকুন ।
দুই,
সন্ধ্যার পর বাসার বারান্দায় কোন কাপড় রাখা যাবে না। আমাদের কারো কারো মা, খালা, স্ত্রীরা এতোটাই মডার্ন হয়ে গেছেন যে, ধুয়ে শুকাতে দেওয়া জামা কাপড় সারা রাত্রি বারান্দায় ফেলে রাখেন৷
রাতে কাপড় চোপড় বাহিরে থাকলে তাতে শয়তান, বদ জীন প্রসাব করে৷ সেই কাপড় পরিধান করলে রোগ বালাই পিছু ছাড়ে না। একান্ত বাধ্য হয়ে কোন কাপড় বাহিরে রাখতে হলে,তাতে বিসমিল্লাহ বলে দম করে দিতে হবে।
কথায় আছে, "মানুষ চেনা যায় ধর্মে আর বান্দর চেনা যায় কর্মে ।" ভাল কথা বান্দরের পছন্দ হবে না এটাই স্বাভাবিক ৷ তাই এসব কথা পছন্দ না হলে এড়িয়ে যাবেন। মানলে মানেন না মানলে কান্দেন।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬