[ধর্ষণ - ১]
ওকে, সবাই আবার কেপে উঠেছে ধর্ষণ নিয়া, চারিদিকে শুধু ধর্ষণ আর ধর্ষণ, আর নিয়ম অনুযায়ী আমাদের সবার ফেসবুকেও একটা ধর্ষণ status প্রসব করা লাগবে,
আমিও করলাম।
(বেশি বড় status পোলাপান পড়ে না তাই একটু short এ লিখার চেষ্টা করলাম, আর ছোট ছোট পার্ট এ পোস্ট দিলাম)
তো যখনি কেউ এই ধর্ষণ, ইভটিজিং সম্পর্কে কোন status দেয়, আমি একটা কমেন্ট প্রায় করি,
''তোমার/আপনার মতে এই সমস্যার সমাধান কি?''
কেউ এর উত্তর দিতে পারে নাই বরং সহজাত তর্কে জেতার স্বার্থে পাল্টা প্রশ্ন ছুরে দেয়। ''আগে তুমি বলো এর সমাধান কি?''
১. আগে সেই বিখ্যাত ইসু যেটা না বল্লেই নয়, ''আমি ল্যাংটা হয়ে ঘুরে বেরাবো, তুই তাকাবি কেন? ইসলামে কি বলা আছে এটা? কই তোমরা যখন রাস্তার পাসে হিসু করো, আমরা কি তোমার নুনু ধরে টান দেই?''
হাহা, এর থেকে ভালো ভাষা ব্যাবহার করতে পারলাম না।
একটা কথা নবী ﷺ বলেছেন, “কোন ব্যভিচার ব্যভিচারের সময়ে মুমিন অবস্থায় ব্যভিচার করে না। কোন চোর চুরির সময় মুমিন অবস্থায় চুরি করে না। কোন মদখোর মদ খাওয়ার সময় মুমিন অবস্থায় মদ পান করে না,
কোন লুন্ঠনকারী লুন্ঠন করার সময় মুমিন অবস্থায় লুন্ঠন করে না”। [বুখারি,মুসলিম ও আবু দাউদ]''
তো যখনি কেউ এই সব কাজ করে তারা মুমিনদের লিস্ট এ আর থাকে না, ইসলাম এর তাদের আর কোন জায়গা নেই, সো কোন কুরআন হাদিস এর কথা তাকে শুনিয়ে লাভ নেই।
এখন আপনাকে আমি একটা কাজ করতে বলবো, পারবেন?
আপনাকে যদি বলি আওনি বাথরুম এ হাগু করতে যাবেন মাগার শর্ত হলো আপনি হাগু করতে পারবেন মাগার হিসু করতে পারবেন না, পারবেন?
হাগু করতে হলে আপনার হাগু ও হিসু দুইটাই করতেই হবে, ঠিক তেমনি যদি আপনার এটাও মানতে হবে যে আপনাদের মেয়েদের পর্দাও মানতে হবে, আর ছেলেদের দৃষ্টিও সংযত রাখতে হবে। কিছু অংশ মানলাম আর কিছু অংশ মানলাম না তা হবে না। কারন দুইটাই ইসলামের নিয়ম, ফরজ, না মানার কোন পথ ই নাই।.
আল্লাহ বলেন “তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশ প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং যারা এরূপ করে তাদের জন্য প্রতিফল পার্থিব জীবনে লাঞ্চণা, গঞ্চণা এবং কিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে।” (সূরা: আল-বাকারা-৮৫)
আর সেই বিখ্যাত আয়াত গুলি একবার দেখে নাও যার দেখে তোমরা শধু দুইটা শব্দই মনে রেখেছ, পর্দা দৃষ্টি হাউ ফানি
"হে নবী, বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে, তাঁরা যেন তাঁদের বহিরাবরণ পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)। এটা তাঁদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী। (তাঁরা যেন পরিচিত হয় বিশ্বাসী নারী
হিসেবে) তাহলে আর অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান।" (সূরা: আল-আহযাব-৫৯)
"হে নবী ! আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাদেরকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।"
(সুরা আহযাবঃ ৫৯)
"প্রত্যেক বিশ্বাসী পুরুষদের বল, তাঁরা যেন তাঁদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে। এবং তাঁদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাজত করে। এটাই তাঁদের জন্য উত্তম পন্থা। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
(সূরা আন-নূরঃ৩০)
এখানে একটা জিনিস দেখবেন লেখা আছে বিশ্বাসী নারী কিংবা বিশ্বাসী পুরুষ, অর্থাৎ এই বিধান আল্লাহ্কে বিশ্বাসকারীদের পালোন করতেই হবে।
মানে হল আপনি android software use করতে চাইলে তো lumia দিয়ে কাজ হবে না, ঠিক তেমনি আপনাকে আগে android এর মতো ইসলামের operating system এ আসতে হবে।
ইসলামের অপারেটিং সিস্টেম এ এইসব জায়গায় যাওয়াই হারাম (হ্যাঁ তাইলে তো আর আমি বাঙ্গালি থাকলাম না, এই নিয়া পরে একদিন কমুনে) সো এই খানের সায় দায়িত্ব আল্লাহ কেন নিবে?
গেছো গনতান্ত্রিক সরকার(N.B-গনতন্ত্র ইসলামে হারাম, এই নিয়ে পড়ে কোন দিন কথা হবে) আর পুলিশের উপর ভরসা করে, সো দায় তাদের দাও, আল্লাহ কে কেন টানো? তার নবীর ﷺ এর হাদিস কেন টানো?
এখন একজন চোর চুরি করার পর যদি বলে ভাই আমারে মাফ করে দেন, ইসলামে তো বলা আছে ক্ষমা করা মহৎ গুন, আপনি ইসলামের নিয়ম কেন মানতাছেন না?
আরে ব্যাটা ইসলাম এ তো চুরি করাও নিষেধ, তাইলে এহন কি কবি?
সো আগে ইসলাম এর OS এ আসেন, দেখবেন একটা চুল পরিমান ভুল পাবেন না, না জাইনে ভগর ভগর বন্ধ করেন।
আল্লাহ আগেই বলেছেন “এবং মানুষের মাঝে এমন কিছু লোক আছে যারা আল্লাহর পথ থেকে [মানুষকে] বিচ্যুত করার জন্য কোন জ্ঞান ছাড়াই অনর্থক কথাকে ক্রয় করে, এবং একে ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে, এদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।” [সূরা লোকমান :৬]
২. কেউ বলেন এদের এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যেন অন্য কেউ ভয় এ আর এই কাজ না করে,
তো আপনি কি জানেন? বাংলাদেশ এর আইনে যদি ধর্ষণের স্বীকার নারী মারা যায় তবেই অনেক সাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে যদি প্রমান করা যায় তাহলে হ্যাঁ মেয়েটা আসলেই ধর্ষণের স্বীকার তাহলেই শেষ মেস মৃত্যু দণ্ড হয়,
তা ছাড়া এর শাস্তি অতি নগণ্য, আর বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থার সম্পর্কে আর কি মন্তব্য করবো, খুনিরা জামিনে ঘুরে বেড়ায় আর তো ছোট খাটো ধর্ষণকারী।
কিন্তু ইসলাম কি বলে?
ইসলামী আইন অনুসারে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্ত ধর্ষক বিবাহিত হলে তাকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে হয়। ধর্ষিতাকে কোন প্রকার শাস্তি দেয়া হয় না। শাস্তি প্রকাশ্যে জনসম্মুখে প্রদান
করতে হয়, যেন উপস্থিত জনতা শাস্তি দেখে ভীত হয়ে ধর্ষণ থেকে বিরত থাকে। [source-(সূরা: নিসা, আয়াত: ১৬-১৮)(সহিহ মুসলিম,17:4191/17:4194)(সুনান আবু দাউদ, 38:4364)]
এইবার আপনি চিন্তা করেন আপনার চোখের সামনে যদি কাউকে ধর্ষণের জন্য এভাবে মারা যেতে দেখেন তাহলে আপনি কি আর এই কাজ করার সাহস পাবেন?
৩. এইবার আমার কথা হল শাস্তি দেওয়া আমার মতে কখনোই কোন সমাধান না, এমন কিছু কি আছে যা আমাদের এই ধর্ষণ থেকেই বিরত রাখবে?
হ্যাঁ আছে, খুব সিম্পল একটা উত্তর, ধর্মীয় ও পারিবারিক অনুসাশন।
আপনি যদি একজন আদর্শ মা হন, হন একজন আদর্শ বাবা, আপনার সন্তান কখনোই এমন কাজ করবেনা। আই চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু আফসোস, এই যুগে কেউ এইটা বলে না আমি হব একজন আদর্শ মা কিংবা একজন বাবা, সবাই তো অফিস আদালতেই ব্যাস্ত,
কিন্তু ইসলাম এ এই জন্যই নারীদেরকে তাদের সন্তান লালনের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে, আর নারী বাদীরা এখনি বলবে হেহ ইসলাম নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখছে, এই বিষয়ে আরেকদিন বলবো,
কিন্তু একটা কথা একজন আদর্শ বাবার থেকে একজন আদর্শ মায়ের বেশি দরকার। তাই সমাজ পরিবর্তন এর কথা মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন, আগে নিজে, পরিবারকে ঠিক করুন, যোগফল আপনার কল্পনারও বাইরে।
চলবে..........................................
তবে একটা কথা বলে যাই, আজ যদি নারী পুরুষ এর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলাদা হইতো তাইলে ওই মেয়েটাকে কোন পুরুষ অন্তত ধর্ষণ করার সুযোগ পাইতো না,
আয় হায় আমি হেফাজত হয়ে গেচি রে, এই নিয়া পরের Post হবে, আম্মু লাঠি আনতে গেচে মারবে এখন আমারে, HSC চলে আমার, নেক্সট Chemistry egg-jam...
আর আমার কথায় দ্বিমত থাকলে অবশ্যই ধরায় দিবেন, আমি খুব ই মূর্খ।