ডিজিটাল বাংলাদেশ তখনি সম্ভব যখন সাধারন মানুষকে ডিজিটাল সেবা সমুহ সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়া হবে। সরকার ২০০৮ সালে ৭২,০০০ টাকার ব্যান্ডউইথ কমিয়ে ৭০০-১০০০ টাকার মধ্যে দাম নির্ধারন করে। অথচ মোবাইল কোম্পানী গুলো তাদের ইন্টারনেট রেট কমাইনি। নিসন্দেহে বলা যায় সরকার জনগনের জন্য এই বিষয়ে কিছুই করেনি যা করেছে বিদেশী কোম্পনীরর জন্য! তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী এ বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্টাটাস দিয়েছেন কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। তাহলে কোন অশুভ শক্তির ছায়ায় মোবাইল কোম্পানীগুলো এভাবে ডাকাতি করছে?
ঈদে বাড়ীতে আসার পর একটা বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করছি সারাক্ষন ব্রাউজ করে বিভিন্ন অনলাইন এক্সপার্টদের আর্টিকেল পড়ি, ভিডিও টিটোরিয়াল গুলো স্কিপ করি মেগাবাইটের অপচয়ের ভয়ে, তারপরেও দিনে ১জিবি ডাটা শেষ! প্রতিদিন এতো টাকার বিনিময়ে ১জিবি ব্যবহার করার সামর্থ্য সাধারন মানুষ রাখে না। ফলে সবাই নিজেদের আপডেট রাখতে পারে না।
সরকারের প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়, মাননীয় মন্ত্রী পলক আহম্মেদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের তরুন সমাজকে কে আইটি সেক্টরে যে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, সেটা বাস্তবায়ন হবে কিভাবে? আপনার আকাশে উড়তে স্বপ্ন দিচ্ছেন অথচ প্যারাসুট, হেলিকপ্টার এবং প্লেন কিছুই দেবেন না, সেটা কিভাবে হয়? নাকি আওয়ামীলীগের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা আওয়ামীলীগের কিছু নির্বোধ নেতৃত্ব যারা দলীয় প্রধানের এবং প্রযুক্তমন্ত্রীর স্বপ্নকে ফরমালিন মেখে জাদুঘরে রাখার চিন্তা করছেন!
এটা সত্য সজীব ওয়াজেদ জয় এবং পলক আহম্মেদের সরাসরি তথ্য-প্রযুক্তির তদারকিতে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এটা আশানুরুপ নয়। বাংলাদেশের গ্রাম গন্জের তরুন প্রজন্মকে এখন পর্যন্ত ন্যায্য মূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম শর্ত।
দেশে ফ্রিল্যানসার, অ্যাপডেভলোপার, ওয়েবডিজাইনার, এসইও এক্সপার্ট, এফিলেয়েট মার্কেটারদের সহ সব অনলাইন প্রোফেসনালদের সারা বিশ্বের নতুন প্রযুক্তি, থিওয়রী, নতুন মেথড সম্পর্কে আপডেট রাখতে হয়। এখন পর্যন্ত সরকার এই অতীব প্রয়োজনীয় ইন্টারনেটই বাংলার মানুষের জন্য নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু গলা ফাটিয়ে #ডিজিটাল_বাংলাদেশ না বলে, ডিজিটাল সেবা সমুহ নিশ্চিত করা উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯