২৬/১২/১৫ তারিখ ছিল অামার জীবনের স্বরণীয় দিন গুলির একটি। অামার খুব ঘনিষ্ট বন্দু সাদিয়ার নিমত্রনে হটাৎ করেই কুমিল্লা ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিলাম। সকাল ৭ ঘটিকায় সময় ঢাকার বনানী থেকে সায়দাবাদের উদ্দেশ্য রওনা হই। ৮:১৫ ঘটিকায় সময় তিশা পরিবহন করে সায়দাবাদ থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু।
মনের মাঝে খুবই কৌতুহল কাজ করতেছিল , কারণ সাদিয়ার সাথে প্রায় ১০ বছর পর দেখা হবে এবং কুমিল্লার এটা অামার প্রথম ভ্রমণ। যাত্রা পথে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সাকাল ১১ টায় দিকে কুমিল্লার শাষন-গাছার পৌছাই। বাস স্ট্যান্ড থেকে রিক্সাসা করে টমসম ব্রিজ এ যাই। ঐখান থেকে অবশ্য অটোতে চড়ে ও যাওয়া যেত। ঐ টমছম ব্রিজেই সাদিয়ার সাথে দেখা হ্য়। এখানে উল্লেখ্য টমছম ব্রিজ শুনে মনে হতে পারে ঐটা কোন ব্রিজের নাম । তবে টমছম ব্রিজ একটা জায়গায় নাম। ঐখানে কোন ব্রিজ নেই। টমছম ব্রিজ হতে অটোতে করে বিশ্বরোড যাই। বিশ্বরোড এ রাস্তা পার হয়েই অাবার অটোতে করে কোটবাড়ী এবং কোটবাড়ী থেকে অাবার অটোতে করে ময়নামতির শালবন বিহার । এখানে উল্লেখ্য প্রতিটা ক্ষেত্রে অটো ভাড়া ১০ টাকা।
এর পর ঘুরে দেখা হলো সেই ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন শালবন বিহার । যেহেতু জায়গাটা সাদিয়ার কাছে পরিচিত ছিল তাই কম সময়ে পুরোটা ঘুরা সম্ভব হয়েছে। ছবি তোলা , ঘুরে দেখা অার সাদিয়ার কন্ঠে গান শুনে ঘন্টা দুই পার হয়ে গেল। এখন যে ফেরায় পালা। এর মধ্যো রিয়াজ ভাই (সাদিয়ার বর) এর সাথে ফোনে কথা হলো। রিয়াজ ভাই অনেক অনুরোধ করলেন উনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য।
ফিরে এলাম অাবার টমসম ব্রিজে। টমসম ব্রিজ থেকে অাবার রিক্সাসা করে দূগা সাগর এলাম । দূগা সাগরে পাশে বসে চটপটি খাওয়া ঘুরাঘুরি করা অার ছবি তোলার পর এলাম কন্ঠ শিল্পী অাসিফের রেস্টুরেন্টে (বাংলায়)দুপুরের খাবার খেতে। এখানে সাদিয়ার অতিতেয়তা দেখে অামি অবাক হলাম, যা ছিল কল্পনাতীত।
দুপুরের খাবারের পর গেলাম রানী দিগী দেখতে। কুমিল্লাতে এসে কুমিল্লার বিখ্যাত জিনিস মাতৃভান্ডার এর রস-মালাই না খেলে কুমিল্লা সফর অপূণ্য থেকে যাবে তাই অামরা গেলাম মাতৃভান্ডারে। কিন্তু ভাগ্য অামাদের সুপ্রশন্য ছিল না। কারণ রস-মালাই এর যোগান শেষ।
মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম মাতৃভান্ডার এর রস-মালাই এবং সাদিয়ার অতিতেয়তা পাওয়ার জন্য অাবার যাবো কুমিল্লার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮