somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুখের রহস্য

১৮ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শারমীনা


আমারা ছোট্ট জীবনে সুখের খোঁজ করি, সুখি হতে যা করতে পারি:

এনজয় ইচ আদার:

পরিবারকে সুখি, অর্থবহ এবং স্বার্থক করতে সঙ্গির সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো অানন্দ নিয়ে উপভোগ করুন।যখন সঙ্গি বাড়িতে আসে, তাকে হাসি মুখে ঘরে স্বাগত জানানো, বাইরে যাওয়ার সময় দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়া, এই ছোট বিষয়গুলোই পরিবারে সুখের আবেশ নিয়ে আসে।

গল্প করা:

সারাদিন পর বাড়ি ফিরে শুধু টিভিতে মুখ গুজে না থেকে সঙ্গির সঙ্গে গল্প করুন। সারাদিন কী করলেন এসব নিয়ে কথা বলুন, সঙ্গি কী করেন এটাও জানতে চান।

রিমোর্ট শেয়ার করুন:

অনেক পরিবারের কর্তা আছেন, সব চ্যানেলের সংবাদ দেখেন। তিনি যতক্ষণ থাকেন রিমোর্ট তার হাতে। এটা ঠিক না, সঙ্গিরও কোনো পছন্দের অনুষ্ঠান থাকতে পারে। তাকে সুযোগ দিন এবং সে সময়টা আপনিও উপভোগ করুন।

একসঙ্গে খান:

সঙ্গির জন্য না খেয়ে অপেক্ষা করাটা যেমন আন্তরিকতা আর তাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রকাশ করে, তেমনি অপর সঙ্গিরও দায়িত্ব বাইরে দেরি না করে সময় মতো ঘরে ফেরা এবং সঙ্গিকে নিয়ে একসঙ্গে খাওয়া।

বন্ধুর্ আগে পরিবার:

বন্ধু অবশ্যই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে বন্ধুত্বের স্থান যেন পরিবারের আগে না হয়। সঙ্গিকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবারের প্রয়োজন আগে মেটাতে হবে, তবেই আমাদের ছোট ঘর সুখে ভরে উঠবে।

ঘরের কাজে সাহায্য করুন:

একসঙ্গে রান্নাঘরে কিছুক্ষণ কাটাতে পারেন। সঙ্গি যখন রান্না করেন আপনি যদি তার পাশে থাকেন এতে দুজনের মধ্যে সমপর্ক আরও মধুর হবে। আর সঙ্গির কাজও সহজ হবে।

নমনীয়তা:

সঙ্গি সব কাজ ১০০ ভাগ পারফেক্ট করবে। এই আশা সব সময় পুরন নাও হতে পারে। ছোট কোনো ভুলের জন্য সঙ্গিকে তিরস্কার না করে বুঝিয়ে দিন। সঙ্গির সঙ্গে ব্যবহারে নমনীয় থাকুন, আর তার সিদ্ধান্তেরও মূল্য দিন।

ফোন করুন:

দিনে কয়েকবার সঙ্গির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করুন। শুধু কাজের প্রয়োজনে নয়, এমনিতেই খোঁজ নিন। এতে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হবে না।

যা করা যাবে না:

অভিযোগ:

সঙ্গি ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে দেরি হলো কেন বা প্রয়োজনীয় কোনো কিছু আনতে ভুলে যাওয়ার জন্য অভিযোগ করা ঠিক নয়। ভুলেও সঙ্গি সম্পর্কে বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে অভিযোগ করা যাবেনা।

তাচ্ছিল্য:

অন্যের অবস্থান, পেশা বা স্বচ্ছলতা নিয়ে সঙ্গিতে তুলনা করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা যাবেনা।

চিৎকার-চেচামেচি:

ছেলে বা মেয়ে কেউই চিৎকার-চেচামেচি পছন্দ করে না। সঙ্গির কোনো কিছু পছন্দ না হলে বুঝিয়ে বলুন। চেচামেচি করে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট করা যাবেনা। আর নিজেদের সমপর্ককে অন্যদের সামনে হাস্যকর বানানো ঠিক নয়।

তৃতীয় ব্যক্তি:

নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলুন। ব্যক্তিগত বিষয়ে তৃতীয় ব্যক্তিকে হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×