ছাত্র রাজনীতি করতাম। সেই সুবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় ছিলো। চারুকলায় পড়তেন রায়হান রাব্বী। স্থানীয় আরেক দৈনিক নতুন প্রভাতে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার। ক্যাম্পাসের সাংবাদিকতায় তখন ব্যাপক গ্রুপিং। কে কাকে ল্যাং মারবে তার চেষ্টা জোরতাল। জনকণ্ঠের আনিসুজ্জামান, সংবাদের জাহাঙ্গীর আলম আকাশ সবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে এসে স্টাফ রিপোর্টার হয়েছেন। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার শূন্যতা। প্রেসক্লাবে বিভক্তি। প্রেসক্লাবে সবাই বসেন না। শহরে নতুন প্রেসক্লাব মেট্রোপলিটন। রমরমা অবস্থা। আনু মোস্তফারা তখন মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে। ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের বাইরে তারা মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব থেকে নিউজ পাঠাতেন। প্রথম আলোর ফারুক হোসেন চৌধুরী (এখন পাবনার নিজস্ব প্রতিবেদক) একদিন জানতে চাইলেন, সাংবাদিকতা করতে চাই কি না।সম্মতি দিলাম। তিনি বললেন, সুযোগ হলে জানাবেন। এভাবে কয়েক মাস কেটে যাবার পর একদিন রায়হান রাব্বী আমতলায় ধরে বললেন, সোনালী সংবাদ থেকে মাহবুব আলম লাবলুর চাকরি চলে গেছে। আমি যদি চাই তো সেখানে কাজ করতে পারি। সম্মত হলাম। যোগাযোগ করলাম তখনকার চিফ রিপোর্টার (এখন বার্তা সম্পাদক) হাসান মিল্লাতের সঙ্গে। সোনালী সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারের চাকরি পেলাম। 4শ টাকা মাসিক সম্মানী! কিন্তু মাহবুব আলম লাবলু আর কথা বলেন না। তার ধারণা, আমার জন্যই তাকে সোনালী সংবাদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে! দীর্ঘ প্রায় 7 মাস সেই ভুল ধারণা পুষে রেখে মাহবুব ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেননি। দেখা হলেই মুখ ঘুরিয়ে চলে যেতেন। অবশেষে তার ভুল ভাঙলো এক সময়। কথা শুরু হলো। সেই শুরু। এরপর তার ক্যাম্পাসজীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত আমরা ছিলাম এক অপ্রতিরোধ্য জুটি। এখন মাহবুব ভাই যাযাদির ক্রাইম রিপোর্টার। ক্র্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক। আমরা আশাবাদী, মাহবুব ভাই অনেক ভালো করবেন। কিন্তু সেই দিনগুলো কি ভুলতে পারবেন? কতোদিন কথা বলেননি আমার সঙ্গে? মনে পড়ে?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



