somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উন্মোচন কিংবা একজন ঊনমানুষের গল্প(রিপোষ্ট)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইটের তলায় চাপা পরা লতা ঘাসের স্মৃতি নিয়ে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিল অথবা যারা ঘাস লতা পাতা আর পাখিদের ছায়ায় ঘিরে থাকা এই বাউল ভুখন্ডে একা থেকে থেকে একদিন করতলে ফড়িংয়ের ভাঙ্গা ডানা দেখে ব্যাথা পেয়েছিল। তারা একদিন এও দেখেছিল যে পাতা আর পাখির গান নগরীর সকল গলিতে মর্মর বাজেনা। তারা বুঝতে শিখেছিল ছাত্রত্ব চলে যাবার পর কি নিদারুন অস্তিত্বহীনতা তৈরী হয়েছে। অথচ একদিন তুমুল আলোড়নের মাঝে স্বপ্ন, ডানা মেলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশে আকাশে। তারা একে অন্যের হাত ধরেছিল, ঝাঁক বাধা পাখিদের কাছে জেনেছিল উড়ার সাধ ভাগ হলেও কমেনা বরং ক্রমাগত স্বাদ বাড়তে থাকে। বিষন্ন বাতাশে মাঝে মাঝে উড়ুক্কু গন্ধও মাখে। এক সময় তারা নিজেদের দেখতে পেলো, বিষন্ন এক শহরের গলির মোড়ে সিগারেট হাতে দাড়িয়ে প্রতিমুহূর্তে শুন্য হয়ে যেতে। যখন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দুর্দম সময় দুমড়ে গেছে। তখন তারা জ্যা পল সাত্রের অস্তিত্ববাদ নিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়লো। তারপর থেকেই ক্রমাগত কমতে থাকলো আজিজ সুপার মার্কেটের বারান্দার ধুলো,চায়ের দোকানের অপরিপক্ক পাতা। কখনো রাতে কখনো সন্ধ্যায় কখনোবা ভরা দুপুরে। শহরের দিকভ্রান্ত বাতাশে যেসব ধুলো উড়ে, জমা হতে থাকলো আব্রুর আস্তিনে আর কলারে। প্রতিদিন, প্রতিদিন। সেসব ধুলোর মহিমা বাড়াতে একদিন আবারো হাতের উপর হাত রাখার ইচ্ছা জাগে তাদের। জন্ম হয় উন্মোচনের ভাষা। একদিন তাদের প্রত্যেকের করতলে শোভা পায় উন্মোচন নামের একটি ছোট কাগজ। তবু কাগজ বিক্রেতাদের কাছে সেই কাগজের দামে কোনরকম হেরফের হয়না। ঐ কাগজের বিনিময়ে পাড়ার কটকটি মিঠাইওয়ালাও মিঠাইয়ের পরিমান একটু বাড়ায় না। ইট চাপা স্মৃতি নিয়ে বেড়ে উঠা ঘাসেদের গায়ে গায়ে একদিন রোদ্দুর লাগে। একদিন সেসব চাপা দেয়া ইটের উপর ইমারতও হয়। তবে তাদেরই কারো কারো আকাশে রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়েনা কখনোই।
অনেক বছর পর এমনই রোদ্দুর না পাওয়া আরো একদল ঘাসেদের দেখা যায় সোহরাওয়ার্দীর গড়া বিকৃত বাগানটিতে। তারা আবার জ্যা পল সাত্রের অস্তিত্ব বাদ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে.....
মা মা তোমার চাপা পড়া ঘাসের ঘোর লাগা সন্তানটি যখন রাস্তায় উঠে, যখন তাকে দ্রুত রোদের খুঁজে যেতে হবে বলে সিএনজির সন্ধানে ব্যস্ত ছুটাছুটি করতে হয়। তখন একদল মানুষ চিৎকার করে জানতে চায় ওই সিএনজি যাইবো নি? যখন তোমার ঘোরলাগা অসংসারী সন্তান বাসে উঠে হাতল ধরে ঝুলতে থাকে, তখন পাশের যাত্রীরা আড়চোখে বার বার তাকায় আর নিজেদের পকেটের উজন নিশ্চিত হতে সেখানে হাত রাখে গোপনে। মা মা সোহরাওয়ার্দীর সবুজ ছায়ায় যাদের আজ দেখা গেল তারা আবার হাত ধরতে চায়। আমি পালিয়ে এসেছি, আমার হাতে কুষ্ঠ মা। মা আমার হাতে কুষ্ঠ। আমার গাড়ির পাশে দাড়িয়েছে এক অন্ধ। বলছে ...বাবা আমার চোখ নাই কিছু করতে পারিনা।.... শহরের ভ্যাপসা গরমে গাড়ির কাচে বাড়ি খেয়ে গড়িয়ে একসময় চাকায় পিষ্ট হয়েছে অন্ধ ভিখিরির সরল শব্দ। "আমি অন্ধ কিছু করতে পারিনা।" মা মা আমি অন্ধ নই তারপরও আমি কিছু করতে পারিনা। সাদা ঘাস, চাপা পড়া অবস্থায় বেশি দিন বাঁচেনা মা। (এডিট হবে)
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×