অসহায় মানুষদের নিয়ে সব সময় ভাবি,সবসময়ই ইচ্ছে হয় তাদের জন্য কিছু একটা করি । যাদের ঘামের উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অর্থনীতি, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে আমরা দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছি । অথচ তাদেরকে চাষা বলে গালি দিতে দ্বিধা করছি না ।
এখন জ্যৈষ্ঠ মাস । চারিদিকে ধান কাটার হিড়িক পড়েছে । চলাফেরার পথে একটু আশেপাশে তাকালেই বুঝতে পারবেন কৃষক ভাইদের কষ্ট, প্রচণ্ড তাপ-দাহে পুড়ে যাচ্ছে কিন্তু কাজ থামছে না । যেসব কৃষকদের অবস্থা ভালো না তারা কাজের জন্য আলাদা লোক নিতে পারছে না, কৃষক ভাই ধান কিংবা গম কাটছে আর তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েরা ধানের আঁটি মাঠায় নিয়ে এসে বাড়িতে রাখছে । আর সেই ধান সিদ্ধ করতে গিয়ে মায়েদের কি অবস্থা হচ্ছে তা না হয় নাই বললাম ।
কিন্তু ফলাফল কি ?? এক মণ ধান বেচে যখন এক কেজি মাছ আর তাকে সুসজ্জিত করার কিছু তেল, মশলাই কিনতে পারলো না তখন এই পরিশ্রমের দামটা কোথায় ?
সরকার কি করছে সেটা জানিনা । কিন্তু আমরা কি করতে পারলাম তাদের জন্য ! অথচ রিকশাওয়ালাটা যখন ৫ টা টাকা বেশি চায় তখন এ মেজাজটা চড়ক গাছে উঠে যায়, কাজের বুয়াটা কে মাস শেষে ৫০ টা টাকা দিতে সামর্থ্য থাকে না ।
উপদেশ দিতে যাবো না, আমরা সবাই বুঝি প্রচণ্ড গরমে রিকশা চালানোর কষ্ট , চুলার পাশে বসে থাকার যন্ত্রণা , কিংবা সূর্যটাকে পিঠে নিয়ে ধান কাটার কষ্ট ।
শুধু আমাদের ইচ্ছের অভাব, আসুন তাদের নিয়ে একটু ভাবি । তাদের জন্য একটু কিছু করি, তাদের প্রতি করুণা নয় বরং তাদের ন্যায্য হিস্যাটা বুঝিয়ে দেই ।
আসুন আজ থেকে একটা প্রতিজ্ঞা করি , কখনো দুর্বলের উপর অত্যাচার নয়, বরং তাদেরকে ভালবাসতে শিখবো , রিকশাওয়ালাটাকে ২ টা টাকা বেশি দিব ।
আসুন ভালোবেসে একটু পাশে দাঁড়াই , একটু হাতটা বাড়াই ।