somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইত্তেফাক মঞ্জুর : মইনুলের ১০ কোটি টাকা ও ভবন : গোলাম সারওয়ার

০৩ রা মে, ২০১০ বিকাল ৪:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনিবার্য, অলঙ্ঘনীয় বাস্তবতার কাছে আত্মসমর্পণ করল ইত্তেফাক। গৌরব, অহঙ্কার ও স্ফূর্তির ৫৮ বছর স্মৃতিময় অতীতে ঠাঁই নিচ্ছে দেশের প্রাচীনতম এই সংবাদপত্রটি। নিছক একটি সংবাদপত্রই নয়, বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মজাগরণের প্রেরণার অপর নাম ইত্তেফাক। এ দেশের কিংবদন্তি অকুতোভয় সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার পরিবারের সম্পদমাত্রই নয়, ইত্তেফাক একটি ইনস্টিটিউশন। ইত্তেফাক ভবনের সমগ্র শরীরজুড়ে যেমন আনন্দ, তেমনি বেদনা ও অশ্রুপাতের নানা ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে।
মানিক মিয়ার স্মৃতির মিনার ইত্তেফাকের অখণ্ড গৌরব খণ্ডিত হওয়ার দলিল স্বাক্ষরিত হলো গতকাল। ইত্তেফাকের ঐতিহ্যের অংশীদারিত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানালেন, ইত্তেফাকের গৌরব সমুন্নত রেখেই তিনি নতুন যুগের, নবপ্রজন্মের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে
ইত্তেফাকের নবযাত্রার পথ অবারিত করবেন। ৫৮ বছর পর ১ নম্বর রামকৃষ্ণ মিশন রোড থেকে বিদায় নিয়ে ইত্তেফাক নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবে হাতিরঝিলে এক বিঘার একখণ্ড জমিতে। ইত্তেফাকের এই নবযাত্রায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে রয়েছেন তার এক বোন ও অন্য বোনের সন্তানরা। ইত্তেফাকের গৌরবখচিত 'মাস্টহেড', ছাপাখানার দুটি ইউনিট, সব দায়দেনা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর। ইত্তেফাকের ১ নম্বর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের জমি, একটি প্রিন্টিং মেশিন, কিছু কম্পিউটার মইনুল হোসেনের। সঙ্গে নগদপ্রাপ্তি ১০ কোটি টাকা। ইত্তেফাক আপাতত যাবে কাজলায় মঞ্জুর একটি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানে। যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে হাতিরঝিলে। ইত্তেফাক ভাগাভাগির ঘটনাটিকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন মঞ্জু। তার মতে, পিতা-মাতার সম্পদ তো পরের প্রজন্মে ভাগাভাগি হতেই পারে। এর মধ্যে বিশেষ তাৎপর্য আরোপ অসঙ্গত। মঞ্জু যা-ই বলুন, সুশীল সমাজ ইত্তেফাকের অহঙ্কারের বিভাজনকে বেদনাদায়ক বলেই মনে করছেন। এ ব্যাপারে মঞ্জুর বক্তব্য, তিনি কিংবা তার বড় ভাই বিভক্তি চাননি। চেয়েছে তৃতীয় প্রজন্ম। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছেন, মঞ্জুর উচ্চাভিলাষের কারণে মানিক মিয়ার ইত্তেফাকের ঐতিহ্য খণ্ডিত হলো।
অতঃপর ইত্তেফাকের প্রিন্টার্স লাইন থেকে মইনুল হোসেন ও সাজু হোসেনের নাম মুছে যাবে। প্রকাশক ও মুদ্রাকর হিসেবে উৎকীর্ণ হবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নাম। সম্পাদক কি আনোয়ার হোসেন থাকবেন না পেশাদার কোনো সাংবাদিক হবেন তা এখনও একটি গুরুতর অমীমাংসিত প্রশ্ন।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জীবনাবসানের পর ইত্তেফাকের সম্পাদক হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। প্রকাশক মোতাহার হোসেন সিদ্দিকী। স্বাধীনতার পরও কিছুদিন মইনুল হোসেনই ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের নির্ভীক মুখপত্র ইত্তেফাককে জ্বালিয়ে দেয়। কয়েক মাস পর মইনুল হোসেনের প্রচেষ্টায় অবরুদ্ধ বাংলাদেশে ইত্তেফাক পুনঃপ্রকাশিত হয়। এ সময় তার ভূমিকা ও সময়ের নতুন দাবির কারণে স্বাধীনতার পর ইত্তেফাকের সম্পাদক পদ ছেড়ে দেন মইনুল হোসেন। সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তরুণ আনোয়ার হোসেন। এরপর প্রিন্টার্স লাইনে একাধিকবার পরিবর্তন এসেছে। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ঘনিষ্ঠজন মোতাহার হোসেন সিদ্দিকীকে প্রকাশকের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হওয়ায় সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে তাকে। এরপর সম্পাদক পদ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা, ইত্তেফাকের প্রকাশনা বন্ধ, এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে ইত্তেফাকে। তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।
সুদীর্ঘ সাতাশ বছর আমি ইত্তেফাকের কর্মী হিসেবে এর আনন্দ-বেদনার অংশীদার হয়েছি। শুধু প্রচারসংখ্যায় নয়, জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্যতা ও গুণমানে ইত্তেফাক থেকে যখন অন্যান্য পত্রিকা সহস্র যোজন দূরে, তখন তরুণ বয়সে এর বার্তা সম্পাদকের গুরুদায়িত্ব একান্ত আস্থার সঙ্গে আমার কাঁধে ন্যস্ত করেছিলেন দুই ভাই। এই দায়িত্ব পালনকালে নানা আনন্দময় অভিজ্ঞতায় আমি যেমন উৎফুল্ল, তেমনি দু'দুটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতক্ষদর্শী হিসেবে বেদনাবিদ্ধ। ইত্তেফাকের ঘটনাবলি দুই ভাইয়ের বিরোধ কিংবা দ্বন্দ্ব নয়_ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বারবার এ কথা বললেও আমার মতো অনেকেই মনে করেন দ্বন্দ্ব ও স্বার্থের সংঘাতেই ইত্তেফাকে বারবার সংকট সৃষ্টি হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে। বারবার অনির্ণেয় ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা করেছে ইত্তেফাক। গত কয়েক বছর ইত্তেফাক নানা সংকটে নিমজ্জমান ছিল। ভালো হোক, মন্দ হোক মালিকানা বিভক্তির এই চুক্তিতে ইত্তেফাক নির্ভার হয়ে নতুন প্রজন্মের প্রয়োজনের কথা মনে রেখে নিজেকে বিনির্মাণের সুযোগ পাবে বলেই আমার বিশ্বাস।
ঐতিহ্য ভাগ হলো এ জন্য দুঃখবোধের কথা আগেই বলেছি। তবে এই ভেবে আমরা আশ্বস্ত হব যে, এই ভাগাভাগির মধ্য থেকে ইত্তেফাক বেঁচে গেল। অন্যথায় এর পরিণতি খুব একটা মঙ্গলজনক নাও হতে পারত। আগের কথা বাদই দিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উপদেষ্টা হওয়ার পর একক কর্তৃত্বের কারণে ইত্তেফাকে নানা সংকট ঘনীভূত হয়েছিল। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সপরিবারে দেশত্যাগ, নতুন সম্পাদক নিয়োগ এবং মইনুল পরিবারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার রন্ধ্রপথে ইত্তেফাকে নানা সমস্যার সূত্রপাত হয়। সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা তখন অকারণে ও অপ্রয়োজনে ইত্তেফাকের গৌরবের সিঁড়ি তৈরিতে যারা মেধা ও শ্রম দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই চাকরিচ্যুত হয়েছেন। যারা রয়েছেন, তাদের আর্থিক সুবিধা সংকুচিত হয়েছে। ইত্তেফাক কর্মীরা অনশন করেছেন, রাজপথে মিছিল করেছেন। চাকরিচ্যুত কিংবা দুঃসহ গ্গ্নানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের, আমার সেইসব পুরনো বল্পুব্দর চোখে আমি অশ্রু দেখেছি। তাদের দীর্ঘশ্বাস ইত্তেফাকের বর্তমান বিচলিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অবসান ও গণতান্ত্রিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের প্রেক্ষাপটে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রত্যাবর্তনের পর চাকরিচ্যুতরা চাকরি ফিরে পেলেন, কর্তিত আর্থিক সুবিধা প্রত্যর্পণ করা হলো। বৈরী বাস্তবতার কারণে মইনুল হোসেন পরিবারের সদস্যরা ১ নম্বর রামকৃষ্ণ মিশন রোডে আসা থেকে বিরত থাকলেন। মামলা-মোকদ্দমা ও আইনি জটিলতার ফলে ইত্তেফাকের প্রিন্টার্স লাইনে সম্পাদক হিসেবে রাহাত খান রয়ে গেছেন। অবশ্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রত্যাবর্তনের পর থেকে রাহাত খান ইত্তেফাক ভবনে আর যাচ্ছেন না। খুব শিগগিরই ইত্তেফাকের প্রিন্টার্স লাইন থেকে এই নামগুলো মুছে যাবে।
সংকটে যারা ইত্তেফাককে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাদের অনেকেই আমার অন্তরঙ্গ সুহৃদ। তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে যে, দুর্ভাবনার একটি গুরুভার তাদের বুক থেকে নেমে যাচ্ছে। নতুন যুগের সংবাদপত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ইত্তেফাকের ক্রমশ পিছিয়ে পড়ার যে হতাশা তাদের গ্রাস করছিল তা কেটে যেতে শুরু করেছে। তাদের বিশ্বাস ইত্তেফাক নতুন ধারার সংবাদপত্রের মিছিলে নিজেকে যুক্ত করে হারানো ঐতিহ্য আবার পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হবে।
বদমেজাজি বলব না। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন একটু রাগী তো বটেই, যুক্তির চেয়ে আবেগেই তার অধিক আস্থা। একটি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কোনো সংবাদপত্রের অগ্রযাত্রা শুধু মালিকের আদেশ-নির্দেশেই নিশ্চিত হয় না_ এ সত্য বুঝতে চান না তিনি। ইত্তেফাকের বিশাল সাফল্যের পেছনে রয়েছে এর মালিকদের পরিকল্পনা-ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের নিরলস শ্রম এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি একাত্মবোধ। এই সত্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বোঝেন। আর বোঝেন বলেই তিনি ইত্তেফাকের সৌভাগ্যের একটি বড় অংশ কর্মীদের দিতে কখনোই আপত্তি তোলেন না। এ কারণেই ইত্তেফাক কর্মীদের সঙ্গে তার আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অবশ্য মনে করেন, মঞ্জু নিজের দলে ভেড়ানোর জন্যই কর্মীদের 'ঘুষ' দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করছেন।
'আমার কিছু কথা এবং'
কোম্পানির রেজুলেশন মানা না মানা নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ইত্তেফাকের ভেতরে যে রক্তক্ষরণ হয়েছে, চরম অস্থিরতা বিরাজ করেছে এবং প্রতিষ্ঠানের নিরীহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যে তার অসহায় শিকার হয়েছে তার দালিলিক বিবরণ রয়েছে আনোয়ার হোসন মঞ্জু সংকলিত 'দৈনিক ইত্তেফাক : আমার কিছু কথা' শীর্ষক প্রামাণ্য গ্রন্থে। এই সংকলনটি সম্পাদক, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সীমিতভাবে বিতরণ করা হয়। এই গ্রন্থের ভূমিকায় আনোয়ার হোসন মঞ্জু লিখেছেন : তিনি (মইনুল হোসেন) অন্য কোন শেয়ারহোল্ডার বা ডাইরেক্টরের মতামত কিংবা রেজুলেশনকে তোয়াক্কা না করে তাদের নিজ মনগড়া আইন কোম্পানির পরিচালক, সম্পাদক, প্রকাশক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর চাপাইয়া দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাইয়া আসিতেছেন। ৩৭৪ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ৩০ বছরে ইত্তেফাকের পরিচালক, সম্পাদক, মহাব্যবস্থাপক, বার্তা সম্পাদক ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে যে কয়েক শত পত্র দিয়েছেন তার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এই চিঠিগুলোই প্রমাণ করে বছরের পর বছর এ দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার হৃদয়ের কীভাবে অবিশ্রান্ত রক্তপাত হয়েছে। এই গ্রন্থে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ব্যারিস্টারের বিরুদ্ধে কোম্পানির রেজুলেশন লঙ্ঘন এনেছেন। ব্যারিস্টার মাইনুল হোসেন তার অসংখ্য পত্রে একই অভিযোগ এনেছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে।
মইনুল চাননি
শুনেছি ইত্তেফাকের সুখে-দুঃখে সুদীর্ঘকাল গভীরভাবে জড়িত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ইত্তেফাক থেকে আপন অস্তিত্ব বিলোপ করতে চাননি। তবে তার স্ত্রী সাজু হোসেন ও দুই পুত্র অবমাননাকর পরিস্থিতি মেনে নিয়ে ইত্তেফাকের অস্তিত্ব রক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন না। তারা নতুন দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছেন।
গতকাল কথা বললাম আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে। জানতে চাইলাম ইত্তেফাকের নবযাত্রা নিয়ে কী ভাবছেন। বললেন, আপনার মতো যারা ইত্তেফাকের সুদীর্ঘ দিনের বল্পুব্দ, তাদের সঙ্গে কথা বলব। পরামর্শ নেব। তিনি ইত্তেফাকের বার্তাকক্ষে মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, ওই রাতে হত্যাকাণ্ডের পরও আপনি ইত্তেফাক প্রকাশের সাহসী সিদ্ধান্ত না নিলে কী যে হতো জানি না! একেবারেই তরুণ বয়সে দুই ভাইয়ের যৌথ স্বাক্ষরে পদোন্নতি পেয়ে আমি ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক হয়েছিলাম। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও ছিলেন ইত্তেফাকের তরুণ সম্পাদক। নতুন প্রজন্মের কথা ভেবে ইত্তেফাককে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর স্বপ্নের কথা বলতেন তিনি। বর্তমান সময় থেকে তিনি অনেক সামনে এগিয়ে ছিলেন। এখন সংবাদপত্রের পাতায় রঙের ছড়াছড়ি। পাতায় পাতায় দৃষ্টিনন্দন রঙ। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অনুপ্রেরণায় সত্তরের দশকেই ইত্তেফাক চার রঙে ছাপা হলো_ বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে সৃষ্টি হলো নতুন ইতিহাস। তখন এগিয়ে থাকলেও জানি না কেন ইত্তেফাক এখন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
শুনেছি, ইত্তেফাককে নতুন রক্তসঞ্চালনের পাশাপাশি এর দায়িত্ব পেশাজীবী কোনো সম্পাদকের ওপর প্রত্যর্পণের কথা ভাবছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি তার স্বভাবসুলভ রহস্যময়তা ছড়িয়ে যে কথা বললেন তাতে মনে হলো এখনও তিনি দ্বিধাগ্রস্ত কিংবা সম্পাদকের পুরো দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পছন্দমতো কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে তিনি একথা স্পষ্ট করে বললেন, পেছনে পড়া ইত্তেফাককে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে যা কিছু করা দরকার সবকিছু করবেন তিনি।
সমকাল : ৩ মে, ২০১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয় দিবসের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানিয়ে । সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ২০২৫, ১৬ই ডিসেম্বর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৯




দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রানের এক সাগর রক্তের বিনিময়। দুই লক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রম হারানো। লক্ষ শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত‍্যু। এক কোটি মানুষের বাস্তুহারা জিবন। লক্ষ কোটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×