হৈমন্তীর সাথে দেখা করে এসে যখন
রবীন্দ্রনাথকে কৃতজ্ঞতা জানাতে
গেলাম তখন জীবনানন্দ দাশ বলল তুমি
নাকি বনলতা সেনের সাথে দেখা করে
এসেছ। আমার উত্তরের অপেক্ষা না
করে হুমায়ুন আহমেদ বলল ওটা রূপা ছিল।
লিওনার্দো দ্যা ভেঞ্চি তীব্র
প্রতিবাদ করে উঠলো, সে বলে ওটা
নাকি মোনালিসা!
এইটা তো হওয়ারই ছিলো, চোখের
সামনে যখন বরুণা বসা। নিজের চোখকে
বিশ্বাস করতে পারিনি, এটাই কি সেই
পারু!
সে বসেছিলো আমার কিছুটা
মুখোমুখি। প্রশ্ন একটাই মনে মানুষ
কিভাবে এতো সুন্দর হয়? এর আগে
আমার চোখে যে সবচেয়ে সুন্দরী
ছিলো তাকে হার মানাল এই অপ্সরী।
তার চোখের দিকে তাকালাম কিন্তু
চোখ দেখতে পেলাম না সেখানে
ছিলো কিছু স্বচ্ছ জলকণা। সে চুলে
শ্যাম্পু করেছিলো,চুলটা ছেড়ে
দিয়েছিলো। মনেহয়েছিলো রবীদা
মনেহয় একে দেখেই কেশবতী
লিখেছিলেন। তার হাসি, আহ্ এরূপ
নিষ্পাপ হাসি কেই বা দিতে পারে!
এতোদিন মনেহতো গালে টোল পড়লে
মেয়েদের সুন্দর লাগে তবে এবার
মনেহলো তার গালে টোল পড়লে তাকে
অপ্সরীরা হিংসা করতো। নাক ফুরিয়ে
নাকে অলংকার না থাকলে যেকোন
মেয়ের খারাপ লাগে কিন্তু তাকে
অলংকার ছাড়াই দৃশ্যমান আলেয়া
লেগেছে। মেহেদী আমার পছন্দ নয়
কিন্তু তার হাতের মেয়েদী যেন আজ
নতুন এক আভার জন্ম দিয়েছে। মাঝে
মাঝে তার চোখের সাথে আমার
চোখের চোখাচোখি,তার হাসির সাথে
আমার হাসাহাসি! কিছু পরপর বাতাসে
চুল যাচ্ছে তার মুখে সে বারবার সেটা
সরিয়ে দিচ্ছে। পুরো রাস্তা তার
দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সে লজ্জা
পাচ্ছিলো কিন্তু আমি তো নিরুপায়।
তাকে না দেখলে যেন সৌন্দর্যটা কি
তা জানায় হতো না। এতোদিন বইয়ে
পড়েছি গ্রামের মেয়েরা প্রকৃত সুন্দর
কিন্তু সেটা যে আজ প্রাকটিক্যাল করব
তা জানতাম না। পরিবারের অনেকেই
পাশে ছিলো তবু মনেহচ্ছিলো লজ্জার
মাথা খেয়ে ওকে বলি " বলো ভালো
আছো তো?"