somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভার্চুয়াল দিনলিপি -২

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পুরাতন বইয়ের দোকান গুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বই গুলোর নাম পড়তেও ভালো লাগে। আজ নাম পড়তে পড়তে তিনটা বই কিনে ফেললাম। হারিয়ে যাওয়া শৈশবের হারিয়ে যাওয়া রাশিয়ান বই।
হুমায়ূন আহমেদ আর তিনগোয়েন্দার বই গুলোতে হাত বোলালাম। পৃষ্ঠা উলটে পালটে দেখলাম। প্রথম পাতায় আমার নাম খুঁজলাম, পেলাম না। কোন একদিন পেয়ে যাবো। আমার হারিয়ে যাওয়া বই গুলো মাঝে মধ্যে পুরনো বইয়ের দোকান গুলোতে খুঁজে ফিরি... একদিন ঠিকই পেয়ে যাবো। বইয়ের প্রথম পাতায় আমার নাম, দুয়েকটি বাক্য, কবিতার কয়েক লাইন কিংবা আমার হাতের লেখা দেখেই চিনে ফেলবো। আমার বই গুলো যেখানে আছে ভালো থাকুক। যেদিন আমার অনেক টাকা হবে সেদিন সেইসব বই গুলো আবার কিনবো। কিন্তু তিন গোয়েন্দার বই গুলো হয়তো কোনদিন পাবোনা। খন্ড খন্ড ১৫৪টি বই!সম্ভবতঃ ১৫৪টি, তিনগোয়েন্দা থেকে শুরু করে রকিব হাসানের লেখা শেষ বই পর্যন্ত সব বই আমার ছিলো। কত কষ্ট করেই না জমিয়ে ছিলাম :(


জানালার ফাঁক
গলে একচিলতে আলো...সকালের মত
পবিত্র তোমার মুখচ্ছবি,
আরো বেশী মায়াবতী মনে হয়...মায়াবিনী অথবা মায়াবতী পার্থক্য
জানিনে, আমি শুধু তোমায়
ভালোবাসতে জানি!


যে দেশে 'পাখি' জামার জন্য আত্মহত্যা করে সেই দেশে ভালো রেজাল্ট না করতে পারায় আত্মহত্যা করাটাকে আমি সাধুবাদ জানায়!

যেখানে স্বর্ন পাঁচ টাইপ রেজাল্ট ডালভাত কর্মসূচীর আওতাভুক্ত সেখানে এই ডালভাত না খাওয়াটা পাখি পোশাক পড়ার চেয়ে দুভাগ্য বৈকি!

আপফোস! তোমাদের জন্য, জীবনটাই চিনলে না। বেঁচে থাকলে আমার মত অন্তত তিনবেলা খেতে পারতে! বৃষ্টি দেখতে পারতে! আর ভীষণ ভাবে ভালোবাসতে পারতে...



দেড় প্যাকেট থেকে একটাও না! মানিয়ে নেয়া কষ্ট কর। দীর্ঘ দিনের বদ অভ্যাস। বাদ দেয়া খুব একটা সহজ না। ২ মাস হতে চললো একটা ছুঁয়েও দেখিনি!
মাঝে মাঝে ছটফট করে, ভ্যাম্পায়ারের দুয়েক ফোঁটা রক্তের মত শরীর মাঝে মধ্যে তীব্র ভাবে নিকোটিনের খোঁজ করে।
মেজাজটা খিটখিটে হয়ে যায়... মাথার মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায়। তখন...তখন একটা সিগারেট না ধরিয়ে একটা স্টাটাস দিয়ে ফেলি!

হ্যাপি এন্টিস্মোকিং!




ইফতারের পরে একটা সিগারেট না জ্বালালে ধুমপায়ীদের জীবন ই বৃথা। ইফতার শেষ করার সাথে দৌড়ে মোড়ে দোকান বসে একটার আগুন দিয়ে আরেকটা সিগারেট ধরানোর প্রবল আনন্দের বিষয় আর হয় না। একটা শান্তি শান্তি ভাব।
এই আনন্দটাই আসক্তি!
এই মূহুর্তে ব্রেনসেল সিগনাল দিচ্ছে, শরীরের প্রতিটি কোষ শিহরিত হচ্ছে।
ইশশ সিগারেট ধরে যে কি ভুল করেছিলাম। না আসক্তিটা মাথায় উঠতে দিচ্ছি না।
হ্যাপি এন্টি স্মোকিং ব্রাদার!




তখন তো আমাদের টিভি ছিলো না। অন্য বাড়িতে গিয়ে টিভি দেখার বাতিকও ছিলো না। পাকিস্তানের খেলা হলে ছোট চাচার সাথে ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে চলে যেতাম। দূরদর্শন চ্যানেলে সাদাকালো ঝিরিঝিরি ক্রিকেট ম্যাচ!

ঈদের অনুষ্ঠান দেখতে সবার সাথে 'বাসার নানী'র বাসায় চলে যেতাম।
কোন এক ঈদের অনুষ্ঠানে ব্যান্ড শো হচ্ছে বিটিভিতে। ব্যান্ড শো মানেই বড়দের নাক সিঁটকানো! সেই সময় ব্যান্ডের গান গুলোতে কোরাসের চল ছিলো।
গান চলছে-
'কাঁটার আঘাত
দেবে সুবাস দেবে না কোন
তাই কি হয়

কোরাসঃ তাই কি হয়

ঘৃণাই করবে
শুধু ভালবাসবে না
তাই কি হয়
না না না...পৃথিবীর নিয়ম এমন তো নয়
এমন তো নয়।'

পৃথিবীর নিয়ম অদ্ভুত! এই অদ্ভুত নিয়মে ৯০ দশকের এই গানটি মাথায় ঘুরঘুর করছে কিন্তু গায়ক অথবা ব্যান্ডের মনে পড়ছে না।
বাংলাদেশের বাংলা ব্যান্ড সংগীত নিয়ে আমি বরাবরই গর্বিত। সেই সময় প্রথাগত বাংলা ব্যান্ডের লিরিক থেকে বেড়িয়ে এসে 'পেপার রাইম' নামে একটা ব্যান্ড 'অন্ধকার ঘরে' নামক একটা অসম্ভব রকম সুন্দর গান গেয়ে ফেলে!
পৃথিবীর নিয়মে 'পেপার রাইম' আজ কোথায় আছে জানা নেই তবুও অন্ধকার ঘরে কেউ না কেউ অপেক্ষা করে.... পৃথিবীর নিয়ম হয়ত এমন ই!

'নিকষ কালো এই আঁধারে
স্মৃতিরা সব খেলা করে
রয় শুধু নির্জনতা
নির্জনতায় আমি একা'


আসমান হইল টুটা টুটা জমিন হইল ফাটা
মেঘ রাজা ঘুমাইয়া রইছে মেঘ দিব তোর
কেডা'

মেঘরাজার ঘুম ভাঙ্গাতে গায়ে কাদা জল মেখে গড়াগড়ি খেয়ে আল্লার কাছে বৃষ্টি চাওয়ার দল আর আসে না। ছেলেবেলার সেই বেহালা বাজানো লোকটার মত হারিয়ে গেছে। তাই এই ফটকাবাজির দেশে, স্বপ্নের পাখিগুলোও বেঁচে নেই। থাকার কথাও না!

ছবিঃ স্বপ্নবাজ সৌরভ
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×