জিলাপি আমাকে খুব টানে। বাড়িতে থাকতে প্রায় প্রতিদিনই খেতাম। ১টা ২টা না ৭/৮টা । গরম গরম জিলাপি। কামড় দিতেই রস গড়িয়ে পড়তো।
একবার বাজিতে দেড় কেজি খেয়েছিলাম। খাওয়ার কথা ছিল ২ কেজি। পারিনি। প্রতিদিন ৭/৮টা খাওয়ার আর একবারে ২ কেজি খাওয়া এক না ।
তবে এখন ৫ টার বেশি খেতে পারবোনা।
গুড়ের জিলাপি সব সময় পাওয়া যেত না। মেলা কিংবা বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া গুড়ের জিলাপির দেখা মিলতো না। আমার খুব মজা লাগতো। গ্রামের ভিতরের কিছু দোকানে খুঁজলে পাওয়া যেত।
ঢাকায় বেড়াতে এলে খেতাম শাহী জিলাপি। গাউছিয়া মার্কেটের একটা দোকানে খুব শাহী জিলাপি বানাতো। আমার খেতাম নিউমার্কেট ওভারব্রিজের নিচের একটা দোকান থেকে। ওই দোকানে এখনো জিলাপি বানায় তবে শাহী জিলাপি রোজা ছাড়া বানায় না। ওই দোকানে একবার দুইকেজি শাহী জিলাপির অর্ডার দিয়েছিলাম আমি আর আমার চাচাতো ভাই।
দোকানি পার্শেল ভেবে প্যাকেট করতে ছিল। আমার এখানেই খাবো শুনে বেশ অবাক হয়েছিল।
আগে মিলাদ মানেই জিলাপি। এখন মিলাদ কম। বিদায়াত বলে অনেকে। মিলাদ শেষে নিজ স্থানে বসে এক প্যাকেট জিলাপির জন্য অপেক্ষা করা খুব কষ্টকর ছিল। তবে আমি নিতান্তই নরম ছিলাম বলে গরম গরম জিলাপি লোভ উপেক্ষা করতে পারতাম। সেই সুবাদে মাঝে মধ্যে দুই প্যাকেটো পেতাম।
ইদানিং ঢাকা শহরে ভালো জিলাপি খুব খুঁজি। নীলক্ষেতের ফটোকপির গলিতে বেশ ভালো জিলাপি বানাতো। এখন আর তেমন পাইনা। এখন আবার জিলাপিতে তিল ছিটিয়ে দেয়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছে। গাউছিয়ার স্ন্যাকস কর্নার ফুলুরি , কলিজার সিঙ্গারা আর জিলাপির জন্য বিখ্যাত। সেখানে কত খেয়েছি তার হিসেবে নাই। টিনের প্লেটে ফুলুরি আর জিলাপিদিতো। এখনো দেয়। আগের স্বাদ নাই।
ফুলুরি হয়ে গেছে পাকোড়া আর জিলাপি হয়ে গেছে জালেবি !
আমরা জিলাপি খাওয়া পাবলিক। জিলাপি খেতে খেতে জামার হাতায় রস লাগানো পাবলিক। জালেবিতে আমাদের রোচে না।
ছবি: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২