আকাশঃ বাবু রাগ করেনা... ওকে আজ তোমার সাথে সারা বিকাল বেড়াব, ফুচকা খাব আর সন্ধ্যেবেলা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কোন এক রিকশা চড়ব।
হিমাঃ কোন কথা বলবা না। তোমার ঐ বাদরামু আর সহ্য হয়না! ইচ্ছে হচ্ছে চুলগুলো ছিড়ে ফেলতে! চুলই নেই, টাকলা একটা! হা হা হা...
আকাশঃ তোমায় হাসলে লক্ষী পেঁচার মত লাগে। হা হা হা...
হিমাঃ এই ভালো হচ্ছেনা বলে দিচ্ছি; প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে বুঝি?
আকাশঃ একদম ই না! একটা গল্প শুনবা?
হিমাঃ ওগুলো বলতে জানো এখনো? (অভিমানী কন্ঠে)
আকাশঃ হুম এখনো তুমি বুকের মধ্যে মাথা রাখলে ওই চুলের গন্ধ আমাকে কবি হতে বলে, চুলের সৌন্দর্য নিয়ে এক হাজার পৃষ্টার প্রবন্ধ লিখতে ইচ্ছে করে।
হিমাঃ ওরে আমার টাকলু সোনা, আপনার চুল নিয়ে কবিতা কিংবা রচনা লিখতে হবেনা। তাড়াতাড়ি গল্প বলে ফেল। ঘরে এখনও অনেক কাজ পড়ে আছে।
আকাশঃ হে হে হে... তাহলে শুনো। ভালো লাগার রঙ সাতটি এটা তো জানো। কিন্তু ভালোবাসার রঙ কয়টি সেটি জানো? মাত্র একটি! ভালো লাগার সাত রঙ সাত জনের মধ্যে দেখলেও আজ পর্যন্ত সাত রঙ এর মিশ্রণে যে একটি রঙ হয় তা তুমি ছাড়া অন্য কারো মধ্যে দেখতে পেলামনা!
হিমাঃ চুপ! আর গল্প বলতে হবেনা। এত ভালবাসো কেন আমায়? ভুলবেনা তো মরে গেলেও? আর খবরদার(!) আমি ছাড়া অন্য কারো মধ্যে কোন রঙ ই তোমার দেখা লাগবেনা! (রাগান্বিত মায়াবী কন্ঠে)
আকাশঃ চোখ হাত দিয়ে চেপে ধর, তাহলে তুমি ছাড়া আর কেউ চোখ পর্যন্ত পৌছাতে পারবেনা। আর আমিও তোমার হাতের স্পর্শ আর গন্ধ পেতে চাই।
হিমাঃ ঠাশ করে একটা চড় দেব তাহলে দুইটাই পাবে। হা হা হা...
আকাশঃ মরণের কালেও যেন এই হাসিটাই দেখতে পাই!