বর্তমান সময়ে সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে ব্যধিতে আমাদের সমাজ আক্রান্ত সেটি হচ্ছে পরকিয়া। বিয়ের পূর্ববর্তী প্রেমের চেয়ে ও ক্ষতিকর পরকিয়ার মত ব্যধি। বিয়ের আগে আমাদের সমাজে সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য প্রেমের ব্যাপারটা এখন আর ট্যাবু নয়। এখন বিয়ের আগেই ৫ বছর, ৭ বছর রিলেশনশিপের সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় অনেককেই। কিন্তু একবার ও কি চিন্তা করি, যে সম্পর্ক সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয় সে সম্পর্কের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে জীবনের অনেক গুরত্বপূর্ণ সময় এবং অর্থ যখন নষ্ট করে বুঝতে পারি সম্পর্ক টা আর চালানো সম্ভব না তখন কে এর দায়ভার নেয়? সবচেয়ে বড় কথা, হারানো সময় কিংবা অর্থ কি আর ফেরত পাওয়া যায়? আর তার পরবর্তি সময়ে এর জন্য উভয়কেই ব্যক্তি কিংবা পারিবারিক জীবনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যদিও আমার আলোচনার ব্যাপার এই সম্পর্ক না। তবুও আমি পরকিয়া যে এর চেয়ে মারাত্নক ভুল সেটি বুঝাতে এ ব্যাপারটি সামনে আনলাম। পরকিয়া বলতে বুঝায়, বিবাহ পরবর্তী সময়ে স্বামী কিংবা স্ত্রী ব্যাতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানো। বর্তমানে বিভিন্ন আর্ট ফিল্ম বা মুক্ত চিন্তার মুভি গুলোতে এগুলোকে এক রকম শিল্পের সম্মান দিয়ে দিছে। মুক্ত চিন্তা করা অবশ্যই কল্যানকর। কিন্তু যে মুক্তচিন্তা আমাকে আমার মানবিক গুণের বিপর্যয় ঘটাতে পারে সে চিন্তাকে কেন আমি লালন করবো? মূল প্রসংগে আসি, বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্দ্রে পরকিয়ার বিষ ঢুকে গেছে। আর এর মূলে রয়েছে অসুস্থ চিন্তা-ভাবনা, সঙ্গদোষ, চটি গল্প সহ যাবতীয় নোংরামীর সহজলভ্যতা। ইন্টারনেটের এই যুগে একজন কিশোর কিংবা কিশোরী খুব সহজে অসুস্থ চিন্তাভাবনায় নিজেকে ডুবাতে পারে। শুরুটা এখান থেকেই। কিশোর বয়সেই তাই তাদেরকে সম্পর্কের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। তারা এসময়ে সংকোচে থাকে তাই তারা সাধারণত প্রশ্ন করবেনা। তাদেরকে নিজ থেকে বলতে হবে কেনে বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক এড়িয়ে চলা উত্তম? বিয়ের সময় কী কী ব্যাপার লক্ষ্য রেখে জীবন সংগী বাছাই করবে আর বিয়ে পরবর্তি সময়ে কীভাবে পরিবারের সদস্যদের প্রতি উত্তম আচরণ বজায় রাখবে, বিশেষ করে জীবন সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক কীরকম হওয়া উচিত, কীভাবে নিজেকে বিশ্বস্ত রাখা যায়, কীভাবে খারাপ সম্পর্ক থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করা যায় সেসব ব্যাপারে কিশোর বয়স থেকেই বাচ্চাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। তবে সবগুলো একসাথে নয়। ধীরে ধীরে বলতে হবে যেন সম্পর্কের মধ্যে সম্মানবোধটা ও থাকে আবার খোলামেলাভাবে আলাপ করার পরিবেশ ও থাকে। তবেই পরিবার থেকেই শেখানো যাবে সম্মান-অসম্মান, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের পার্থক্য এবং এর ভালো-খারাপ উভয় দিক। এবার আসা যাক, যারা বিয়ে করে ফেলেছেন তারা অনেক সময় আশংকা করি আমাদের পার্টনার কি পরকিয়াতে লিপ্ত? এক্ষেত্রে বলব, আগে নিজে বিশ্বাসী হোন, তবেই অপরকে বিশ্বাস করতে পারবেন। আমরা অনেকে শিক্ষিত আর রুচিশীলতার পরিচয় দিতে গিয়ে লাইফ পার্টনারের অনেক ব্যাপারে নিজেকে জড়াতে চাইনা। কিন্তু যেখানে আপনাদের সম্পর্ক জড়িত সেখানে উচিত হবে একজন আরেকজনকে নিজ থেকে সে ব্যাপারে জড়িত করতে হবে। মনে করেন আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আপনার স্ত্রী জানেননা। তখন আপনার উচিত হবে নিজ থেকে সেটা স্ত্রীর সাথে শেয়ার করা তবে আপনি চাইলেও আপনার কোন মেয়ে বন্ধুর সাথে বাজে আড্ডা দেওয়ার সাহস করবেননা একপ্রকার দায়বদ্ধতা থেকে। আপনি যখন আপনার সকল ব্যাপার শেয়ার করবেন আপনার স্ত্রীর সাথে তখন উনিও আপনার সাথে সব ব্যাপারে শেয়ার করবেন। আর এ থেকে একজনের প্রতি আরেকজনের সম্মানবোধটাও আপনা-আপনি বেড়ে যাবে। সব সময় জীবন সঙ্গীর কাজের প্রতি, মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে তবেই আপনাদের সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর আরেকটা গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো জৈবিক চাহিদার ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। শুধু নিজেরটা চিন্তা না করে সঙ্গীর চাহিদার ব্যাপারটা খেয়াল করবেন। তৃতীয়ত, নিজের কাজ শেষে সঙ্গীর কাজে সাধ্যমত একটু আধটূ সাহায্য করুন। অন্তত না পারলেও তার প্রশংসা করুন। তবে দেখবেন আপনাদের সম্পর্ক অন্যদের জন্য ঈর্ষনীয় হয়ে যাবে। সবশেষে যে ব্যাপারটা খেয়াল করবেন, যে সব সম্পর্ক থেকে দুর্ঘটনা বেশি হয় যেমন-শালী-দুলাভাই সম্পর্ক, ভাবী-দেবর সম্পর্ক, বন্ধু-বান্ধবী সম্পর্ক সেগুলো থেকে সব সময় নিজেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সম্পর্ক রাখবেন তবে আপনার সঙ্গীও অবশ্যই আপনার মত নিজেকে গড়ে নিবে। সবশেষে একটা কথাই বলবো, নিজেদের মধ্যে সম্মানবোধ, ভালোবাসা আর নৈতিকতা ধরে রাখুন, অবসর পেলে সঙ্গীকে সময় দিন, সুযোগ হলে ঘুরাঘুরি করুন মাঝে মধ্যে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করুন জীবনে সুখী হবেন। পরকিয়ার মত দাবানল আপনার সংসারকে আচ দিতে ও পারবেনা। পরকিয়া একটি সাজানো সংসারকে ধ্বংস করে ফেলে, সন্তানদের মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত করে তোলে তাই সর্বদাই এর কুফল যেন প্রত্যেকটা হৃদয়ে স্মরণ হয় বাগান ধ্বংস করার আগে।
পরকিয়া থেকে মুক্তির পথ
নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে
গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে
আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।
প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।
ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাম গাছ (জামুন কা পেড়)
মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান
গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনির্বাণ শিখা
রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।
আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=
©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....
মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।
ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন