somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যান্সার আক্রান্ত নাহিদ জাহান লিনার জন্য সহযোগিতার আবেদন

১৭ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
নাহিদ জাহান। ডাকনাম লিনা। হাসিখুশি, চঞ্চল, উচ্ছল ও বন্ধুবৎসল লিনা হঠাৎ করেই ২০০৯ সালের অক্টোবরে আক্রান্ত হলো স্তন ক্যানসারে। ক্যানসার ধরা পড়ার কিছুদিন পরেই অপারেশন হলো লিনার। কেটে ফেলতে হলো বুকের একটি পাশ। চলল দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক কেমোথেরাপি। লিনার মুখের উজ্জ্বল হাসিটি তবু ম্লান হলো না। কেমোর ফলে ওর মাথার চুল পড়ে গেল।
আমাদের বলল, ‘ক্যানসার হয়েছে তো কী? আমি অন্য সব সারভাইভারকে খুঁজে বের করছি। সবার জন্য অনেক কাজ করতে হবে।’
আমরা হতবাক হই। বন্ধুর হাতে হাত রাখি। বলি, আমরা সবাই তোমার লড়াইয়ের সাথি হব। লিনা শুধু মুখে মুখে নয়, কাজেও ক্যানসারে আক্রান্তদের পাশে এসে দাঁড়াতে শুরু করল। স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সংসদ ভবনের সামনে শোভাযাত্রা হবে। লিনা তার অসুস্থ শরীর নিয়েও সেখানে উপস্থিত। নতুন কেউ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছে, তাকে কোথায় যেতে হবে, কী চিকিৎসা নিতে হবে—সব পরামর্শ দিতে লিনা হাজির। যেন লিনা হার মানতে জানে না। ক্যানসার যেন সত্যিই পরাজিত হবে লিনার কাছে।
নাহিদ জাহান লিনা গবেষক হিসেবে একুশে টেলিভিশনে কাজ করেছে, নিউজ রুম সমন্বয়ক হিসেবে এটিএন বাংলায় এবং অ্যাসাইনমেন্ট প্রডিউসার হিসেবে কাজ করেছে বন্ধ হয়ে যাওয়া টিভি চ্যানেল সিএসবিতে। এখন কাজ করছে এনটিভিতে। ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতি করেছে লিনা, যুক্ত থেকেছে সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে।
সেই লিনা ক্যানসারের প্রথম ধাক্কাটা ভালোই সামলে নিয়েছিল। দ্বিতীয়বার ২০১০ সালে ওর পায়ের হাড়ে আবার ফিরে এসেছিল ক্যানসা। সেই ক্যানসার সারাতে আবার ইনজেকশন, আবার রেডিওথেরাপি। তার পরও লিনা হতাশ হয়নি, চিকিৎসা শেষে আবার ফিরে এসেছিল হাট-বাজার-অফিস, আড্ডা আর পলাশ-আনাকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে। বুকের ব্যথা, পায়ের টনটনানি, তীব্র মানসিক চাপ—সব নিয়েই লিনা ছুটছিল তার সাড়ে চার বছর বয়সী মেয়ে আনাকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য। লিনার জীবনটা যে এখন আনাকে ঘিরেই। ছোট্ট আনা জানে না, মায়ের বুকের ডান পাশটা কেটে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসকের কড়া নিষেধ, ভারী কিছু তোলা যাবে না, আনাকে কোলে নেওয়াও বারণ।
মনে পড়ে, স্তন ক্যানসারের সঙ্গে কঠিন যুদ্ধের দিনগুলোর কথা বলে যে লিনা একবারও কাঁদেনি, সেই লিনার চোখে ততবার পানি আসে যতবার ও বলে, ‘আনাকে একটু কোলে নিতে পারি না। মেয়েটা ছটফট করে।’
ক্যানসারের মতো সর্বগ্রাসী রোগকে পরাজিত করা তো সহজ কাজ নয়। নইলে সপ্তাহে আগে করা ল্যাব টেস্টের রেজাল্টে কেন থাকবে ক্যানসারের আবার পূর্ণোদ্যমে ফিরে আসার খবর, কেন চিকিৎসকেরা আবার জানাবেন, নতুন করে কেমো নিতে হবে, নতুন করে শুরু করতে হবে চিকিৎসা।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হবেন লিনা
তবে উচ্ছল, বন্ধুবৎসল এই মানুষটি এখন অনেকটাই হতাশ। ২০১০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যান্সার ধরা পড়ে পায়ের হাড়ে। সপ্তাহখানেক আগে করা ল্যাব টেস্টে আবারও ধরা পড়ে ক্যান্সার। সর্বগ্রাসী ক্যান্সারের চিকিৎসায় এরই মধ্যে ৭ লাখেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এবার চিকিৎসকরাও বলতে পারছেন না কতগুলো কেমো লাগতে পারে। কতগুলো টেস্ট আছে যা বাংলাদেশে করানো সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে যেতে হবে। ব্যয় বহুল চিকিৎসায় খরচ হবে ২৫ লাখ টাকারও বেশি। কীভাবে আসবে এত টাকা! সাহস, ধৈর্য্য আর শক্তি নিয়ে যে মানুষটি হাসিমুখে ক্যান্সারের মোকাবেলা করেছেন তার কন্ঠেও ঝরে পড়ছে এমন হতাশা।
অসুস্থতার কারণে চার বছরের মেয়ে আনাকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছেন না। অবুঝ মেয়েটি জানে না ক্যান্সার কী। তার কোলে উঠার নিষ্পাপ আবদারটিও মা পূরণ করতে পারছে না। লিনা কখনো পরিস্থিতির কাছে হার মানেন নি। তবে এবার বাস্তবতা একটু ভিন্ন। ক্যান্সারকে হারাতে চাই প্রায় ২৫ লাখ টাকা। লিনার এই যুদ্ধ জয় আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হবে না। যে মানুষটি সব সময় মানুষের স্বার্থে কাজ করেছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন- আজ তার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর সময়।

আমরা চাই, লিনার জন্য আমাদের বাড়িয়ে দেওয়া হাতটা আপনিও ধরুন। আমরা চাই, লিনা বাঁচুক। আনাকে কোলে নিতে না পারলেও অন্তত ওর হাত ধরে হাঁটতে পারুক লিনা।
আর্থিক সহযোগিতা পাঠাতে পারেন নিচের ব্যাংক একাউন্টে:
'' Nahid Jahan Lina
Standard Chartered Bank AC no: 18341104401''

বিস্তারিত যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-
০১৬৭৪৮৬০৩৩৬
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
৫৫টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×