আজ নীল আকাশে খানিকটা মেঘ
জমেছে, অঝোড়ে যে বৃষ্টি নামবে
তাও নয় । শীতকালে দুএকবার তিক্ত
বৃষ্টি হয়ে থাকে যার পরিনামে
গায়ে কাপড় উঠে একটার পরিবর্তে
তিন চারটা তবে বিমল কেবল একটা
লাল টিশার্ট পড়েছে । আজ বিমলের
খুব ইচ্ছে করছে এই তিক্ত বৃষ্টিতে গাঁ
ভাঁসিয়ে দিতে ,মনের সুখে অজানা
কোন শহরের নিরব পরিবেশে খানিক
সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে কিন্তু
পিছন থেকে একটা মায়াবি হাতের
নিষেধ তাড়া করছে ,অপর্ণা কোন
ভাবেই বৃষ্টিতে ভিজবে না তবুও
বিমল অপর্ণার মায়াবি হাতকে টান
দিয়ে বৃষ্টির ধোঁয়াসায় উভয়
হারিয়ে যায় অচেনা পৃথিবীর কোন
স্বর্গপুরীতে ।
বৃষ্টির পরিবেশ খানিকটা নিরব ,বলা
যায় জন মানবহীন কেবলই আকাঙ্খা এই
পথ যদি আর শেষ না হতো ,চাওয়া
পাওয়াই কেবল সাধারন বন্ধুত্বই
তাঁদের মধ্যে ,খানিকটা ঘনিষ্টতা
খানিকটা দূরত্ব নিয়েই তাঁদের সম্পর্ক
বাদল বৃষ্টির মত এগিয়ে যাচ্ছে । এই
এগিয়ে যাওয়া যেন থামতে চাই না
তাঁরা চলতে চাই অনাদি সময় ধরে
কিন্তু সন্ধ্যা নামার আহবানে উভয়ই
নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দুখন্ড মেঘ
টুকরার মত আলাদা হয়ে চলে যায় দুটি
পথে । রাতের গভীরতায় যখন চোখের
লালবর্ণ তখনও বিমল জাগ্রত ,নিজের
অজান্তেই অপর্ণাকে কেন জানে
অনেক বেশি মনে পড়ছে ,মনে হচ্ছে
এখন যদি একটু কথা বলা যেত ,বুকের
বাম সাইটে কেমন যানে ব্যকুল
আকাঙ্খা তবুও ভদ্রতা বলে কথা আছে
,বিমল নিজেই ভাবছে সে কি
অপর্ণার প্রেমে পড়ে গেল ,প্রেম
নাকি মানুষকে নির্লজ্জ বানিয়ে
দেয় ,আবার ভাবছে এতো রাতে ফোন
দিলে কি মনে করবে অপর্ণা কে
জানে । এমন দুটানার মধ্যে তন্দ্রা
এলো চোখে আর অপর্ণাকে ভাবতে
ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়ল বিমলমিত্র